মূর্তিপুজো খ্রিস্টান ভাবধারার বিরোধী, দুর্গাপুজোর অনুমতি দিল না পাপুয়া নিউ গিনির সরকার

দুর্গাপুজো মানে মূর্তি পুজো। যা খ্রিস্টান ভাবধারার বিরোধী। তাই দুর্গাপুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে না। এই কারণ দেখিয়েই পুজোর অনুমতি বাতিল করে দিল পাপুয়া নিউ গিনি সরকার। এই নির্দেশিকা জারির পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিন্দায় সরব হয়েছে ভারতের হিন্দুরাও।

দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনি। মূলত খ্রিস্টান দেশ। তবে কর্মসূত্রে বহু হিন্দুও এদেশে বাস করেন। তাঁদের তরফেই দুর্গাপুজোর অনুমতি চেয়ে সরকারকে চিঠি লিখেছিলেন মোরেসবি দুর্গা পুজো কমিটির সভাপতি পুষ্পেন্দু মাইতি। কিন্তু সে দেশের সরকার পুজোর অনুমতি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, দুর্গাপুজো মূর্তিপুজোর একটি রূপ। যা নৈতিকভাবে অনুপযুক্ত এবং এই দেশের খ্রিস্টান মূল্যবোধের বিরুদ্ধে।

পুষ্পেন্দু মাইতিকে এই চিঠিটি পাঠিয়েছেন পুলিশ কমিশনার ডেভিড ম্যানিং। পাপুয়া নিউ গিনির করোনা নিয়ন্ত্রকের প্রধান হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন। চিঠিতে ম্যানিং লিখেছেন, ‘আপনার অনুরোধ বিবেচনা করা হয়েছে, তবে এও লক্ষ্য করা হয়েছে যে এটি মূর্তিপুজোর একটি রূপ যা নৈতিকভাবে অনুপযুক্ত এবং আমাদের খ্রিস্টান মূল্যবোধের পরিপন্থী। সে কারণেই এই অনুষ্ঠান করার অনুমোদন দেওয়া হল না’।

ডেভিড ম্যানিংয়ের সই করা এই চিঠিটি টুইটারে শেয়ার করেন অস্ট্রেলিয়ার বিদেশ মন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের আধিকারিক বেন প্যাকহাম। তা প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড় ওঠে। পাপুয়া নিউ গিনি সরকারকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র কটাক্ষে বিদ্ধ করেন নেটিজেনরা। প্রশ্ন ওঠে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়েও। এরপরই ম্যানিং ক্ষমা চেয়ে একটি চিঠি জারি করে বলেন যে আগের বিবৃতিটি ‘একটি গুরুতর এবং দুর্ভাগ্যজনক ত্রুটি’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.