রসগোল্লা (Rasgulla) তুমি কার? – এই নিয়ে কবে থেকে গলাবাজি চালিয়েছে বাংলা (Bengal) ও ওড়িশা (Odisha)। শেষমেশ জিতেছে বাংলাই। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে জিআই ট্যাগ পায় রসগোল্লা। তারপর থেকেই ‘বাংলার রসগোল্লা’ স্বীকৃতিকে সম্মান দিতে রসগোল্লা দিবস পালিত হল। বাংলা ও ওড়িশা এই নিয়ে একে অপরকে কব্জির জোর দেখালেও খাবারের ব্যাপারে তাদেরRead More →

মাছে-ভাতে বাঙালি। ঈশ্বরী পাটনি দেবী অন্নপূর্ণার কাছে বরদান চেয়েছিলেন, “আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে।” সেই ভাত তৈরির জন‍্যই ধানচাষ। আর সেই ধানচাষেই বাংলার অর্থনীতি পরিপুষ্ট হয়ে এসেছে দীর্ঘদিন। বাংলার ধানের কতই না ধরন- তুলাইপাঞ্জি, জলকামিনী, জামাইশাল, কবিরাজশাল, ঝিঙাশাল, আলতাপাটি, রূপশাল, সীতাশাল, দাঁড়শাল, রাবণশাল, বোরমাসা, রক্তশালী, খেজুরছড়ি, তিন সতীন, ফুলমতি। সবকটিই একRead More →

মধুকবি বলেছিলেন, ‘হে বঙ্গ, ভান্ডারে তব বিবিধ রতন’। সত্যিই তাই। কৃষ্টি-সংস্কৃতি, শিল্পে বাংলা চিরকালই অগ্রণী। তার মধ্যে ঐতিহাসিক ভাবে অন্যতম আলোকজ্জ্বল অংশ হল গ্রামবাংলার কুটিরশিল্প ও ক্ষুদ্রশিল্প। পাট, মাটি, গালা, পোড়া ইঁট, এ সমস্তই শিল্পীর হাতের জাদুতে যেন প্রাণ পায়। হয়ে ওঠে নান্দনিক। নিত্য ব‍্যবহারের সামগ্রী থেকে ঘর সাজানোর উপকরণ,Read More →

প্রভাশঙ্কর, অনুপম, ভাদুরী, ভবানী – দেখে মনে হতে পারে, একগুচ্ছ নামবাচক বিশেষ্য তুলে আনা হয়েছে এলোমেলোভাবে। এগুলি পশ্চিমবঙ্গের ২০০-র বেশি ধরনের আমের মধ্যে চারটি। পশ্চিমবঙ্গে আমের বৈচিত্র্য সারা ভারতের মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি। তবে যত বড়োই আমপ্রেমী হন, অধিকাংশ বাঙালিই ১০-এর বেশি রকম আমের নাম বলতে পারবেন না। বাংলার প্রধান ফল আম।Read More →

‘লাদা দোম্বা’???? সে আবার কী রে ভাই! কেমন যেন ‘হাম্বা’ ‘হাম্বা’ শুনতে লাগছে!  অনেকেই এই রেসিপির বিচিত্র নামটি শুনে এহেন ঠাট্টা করে থাকেন। কিন্তু, যাঁরা এই খাদ্যবস্তুটি একবার চেখে দেখেছেন তাঁদের মুখে শুধুই ‘বাহ্ বাহ্ আর বাহ্’।   ভারত স্বাধীন হয়েছে মাত্র ১০৭ দিন। ৩০ নভেম্বর, ১৯৪৭ সাল। এই দিনেইRead More →

শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ডাউন রেললাইন চলে গেছে নামখানা পর্যন্ত। তার পূর্বদিকে গেলে পড়ে মজিলপুর। সুন্দরবন অঞ্চলের আদিগঙ্গার প্রবাহপথে রয়েছে মজিলপুর শহর। আদিগঙ্গার মজাগর্ভে অবস্থিত হওয়ার জন‍্য এর নাম হয়েছে মজিলপুর। ১৭ শতকে এই এলাকায় জনবসতির গোড়াপত্তন হয়। ঐতিহাসিক এই অঞ্চল বিখ‍্যাত তার পুতুলশিল্পের জন্য। বাংলার সবাই একডাকে চেনে মজিলপুরের মাটির পুতুল (Majilpur clayRead More →

“খাইখাই কর কেন, এস বস আহারে,খাওয়ার আজব খাওয়া, ভোজ কয় যাহারে।যত কিছু খাওয়া লেখে বাঙালীর ভাষাতে,জড় করে আনি সব, থাক সেই আশাতে।” সুকুমার রায়ের এই ছড়া পড়ে আমরা যতই হেসে লুটিয়ে পড়ি না কেন, মনে রাখতে হবে এটি একটি ব্যাঙ্গাত্বক ছড়া। বাঙালির খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ব্যঙ্গ করেই তিনি এটি লিখেছিলেন। আমরাRead More →

স্কুলের জন্য সাদা কেডস অথবা কালো নিউকাট, ঘরে পরার স্লিপার আর বিয়েবাড়িতে পরার জন্য একজোড়া হাইহিল, ছেলেদের জন্য বুট কিংবা বর্ষায় পরার কিটো, হরেক রকম জুতোর বাহার এখন বাঙালির ঘরে ঘরে। অথচ এমন একটা সময় ছিল, যখন খালি পায়ে গটগটিয়ে চলাই ছিল দস্তুর। কিন্তু ‘ধরণীর মলিন ধূলা’ থেকে পা দু’খানিকেRead More →

বাংলায় ডিস্কো জ্যাজ? ধুস্ ওসব আবার হয় না কি! যত্ত সব ঢপের কথা। গানবাজনা নিয়ে বাঙালির এই ধরনের সনাতনী ভাবমূর্তির জন্যই বোধহয় তাঁরা এখনও জানেন না রূপা বিশ্বাসের নাম। বাংলা ভাষায় ‘বুগি’ জঁরের গানবাজনা হতে পারে একথা এখনও ভাবতে শেখেননি বাঙালিরা, ৮০-র দশকের কথা বাদই দিলাম। কিন্তু, সেই সময়ই অভাবনীয় কাণ্ডটি ঘটিয়েছিলেনRead More →

১৯২১ সালে চন্দননগরে নির্মিত হয়েছিল দুর্গাচরণ রক্ষিত ঘাট। যাঁর নামে এই ঘাটের নামকরণ, তিনি ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তকে উপেক্ষিতই থেকে গেছেন। বেশিরভাগ বাঙালির একটা ভুল ধারণা আছে যে, ভারতীয়দের মধ্যে সর্বপ্রথম ফরাসি দেশের সর্বোচ্চ সম্মান লে’জিয়ঁ দ’ন্যর (Chevalier de legion d’Honour) সম্মান লাভ করেছিলেন নাকি সত্যজিৎ রায়। লে’জিয়ঁ দ’ন্যর প্রদানের রেওয়াজ চালুRead More →