মন কি বাতেও করোনা নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

মন কি বাতের ৬৩ তম সম্প্রচার জুড়ে রইল করোনা নিয়ে
সতর্কতা
। রবিবারের জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ফের দেশবাসীর
কাছে লকডাউন পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে না বেরোনোর ​​আর্জি জানান। পাশাপশি সংকটের এই
মুহূর্তে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের প্রশংসা করেন তিনি।

এদিন
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, লকডাউন পরিস্থিতিতে অনেকেই আইন ভেঙে রাস্তায় বেরিয়ে নিজের
জীবন বিপন্ন করে তুলছেন। বাড়িতে থেকে নিজেকে ও নিজের পরিবারকে সুস্থ রাখা উচিত প্রত্যেকের।
আগামীদিনে ধৈর্যের সঙ্গে এই অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। কিন্তু পরিস্থিতির ভয়াবহতাকে
অগ্রাহ্য করে অনেকে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসেছে। এরকম করলে করোনা থেকে তাদের রক্ষা
করা মুশকিল হয়ে পড়বে। বহু মানুষ আছে যারা বাড়িতে থেকে করোনার (Corona) বিরুদ্ধে প্রতিরোধ
গড়ে তুলছে তাদের থেকে অন্যদের অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত।

করোনা (Corona) মোকাবিলায় কড়া সিদ্ধান্ত
নিতে প্রশাসন যে পিছুপা হবে না, তা  স্পষ্ট
করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার (Corona) মোকাবিলায় কঠিন সংগ্রাম চলছে এমন পরিস্থিতিতে
কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়াটা বাঞ্ছনীয়। দেশবাসীকে রক্ষা করা জরুরি। দেরি করলে পরিস্থিতি
ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। ধনী-গরীব, ক্ষমতাবান ও দুর্বল, জ্ঞান ও বিজ্ঞানের কাছে বড়
চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে করোনা (Corona)। দেশকালের ঊর্ধ্বে উঠে মানব জাতির উপর আক্রমন করেছে
করোনা (Corona)। ফলে ঐক্য বদ্ধ ভাবে করোনার (Corona) বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। লকডাউন পরিস্থিতিতে
বহু গরিব মানুষের অনেক অসুবিধা হচ্ছে সেই কারণে তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী।
চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের ফ্রন্টলাইন সোলজার হিসেবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister)
বলেন, করোনার (Corona) বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা লড়াই
করে চলেছে। আত্মত্যাগের মাধ্যমে যে সকল চিকিৎসক টাকার মায়া না করে রোগীদের পাশে গিয়ে
দাঁড়িয়েছে তাদের প্রশংসা করেন তিনি।

করোনা (Corona) পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নিজেও যে লকডাউনে  তা বুঝিয়ে দেন তিনি। পাশাপশি সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য যোগ ব্যায়ামের বিকল্প
নেই তাও মনে করিয়ে দেন।দেশবাসীকে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে আরও বেশি করে সময় কাটানোর
পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister)। চিকিৎসা পরিষেবা বাদে অন্যান্য জরুরী পরিষেবা সঙ্গে যুক্ত
কর্মীদের মনোবল বাড়ান প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) নিজের মন কি বাত অনুষ্ঠানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.