কার্টুন দেখতে দেখতে ছয় বছরের বালকের মৃত্যু চন্দননগরে! অসুস্থতা ছিল না, বলছে পরিবার

বাড়িতে একা একা কার্টুন দেখছিল বছর ছয়েকের বালক। কার্টুন দেখতে দেখতেই ঘুমিয়ে পড়ে। বিকেলে মা ও দিদির ডাকে সাড়া না-দেওয়ায় সন্দেহ হয় তাঁদের। এর পর ওই নাবালককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের নাম নিখিল বিশ্বাস (৬)। চন্দননগর কুন্ডুঘাট এলাকার বাসিন্দা ওই শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে হুগলির ইমামবাড়া হাসপাতালে।

কুন্ডুঘাট এলাকার বাসিন্দা নবকুমার বিশ্বাস ও তনুশ্রী বিশ্বাসের এক ছেলে ও এক মেয়ে। জানা গিয়েছে, নবকুমার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাম্প অপারেটর। বুধবার সকালে তিনি কাজে বেরিয়ে যান। দুপুরে বাড়িতে ছেলেকে একা রেখে কিছু ক্ষণের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন তনুশ্রী। তাঁদের মেয়ে স্কুলে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল। মা আর দিদি বিকেলে ফিরে এসে দেখেন দোতলার ঘরে নিখিল ঘুমিয়ে আছে। উঠছে না দেখে ডাকতে যায় দিদি। তখনই নিকিলের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান অনেক ক্ষণ আগেই বাচ্চাটির মৃত্যু হয়েছে।

খবর পেয়ে চন্দননগর থানার পুলিশ হাসপাতালে যায়। পরে বাড়িতে গিয়ে শিশুর মা-বাবার সঙ্গেও কথা বলে তারা। তনুশ্রী বলেন, “ছেলে কার্টুন দেখছিল। পরে মেয়ে এসে দেখে কম্বল গায়ে দিয়ে শুয়ে আছে। ভাইকে ডাকতে গিয়ে দেখে বমি করে ফেলেছে। ওর বাবাকে ফোন করে খবর দিই। নবকুমার বলেন, “ছেলের কোনও শরীর খারাপ ছিল না। কী করে এমন হল বুঝতে পারছি না।”

পুলিশ জানিয়েছে, অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর। তার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই বলেই প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তার দেহের ময়নাতদন্ত হবে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলেই পুলিশের দাবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.