ভারত ও পাকিস্তান— দুই দেশই রাজি হয়েছে সংঘর্ষবিরতিতে। শনিবার বিকেলে সেই কথাই নিজের সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে জানান আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার পরেই ভারত এবং পাকিস্তান— দু’দেশের সরকারের তরফেই সংঘর্ষবিরতির কথা জানানো হয়। ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে ‘নজিরবিহীন’ বলে উল্লেখ করে কংগ্রেসের তরফে পরবর্তী বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে।
কংগ্রেসের তরফে জয়রাম রমেশ মনে করিয়ে দিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের কী করা উচিত। তিনি মনে করেন, তাঁর দাবিগুলি আগের তুলনায় সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পর অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে একটি সর্বদল বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন জয়রাম। তিনি মনে করেন, এই পরিস্থিতিতে সব রাজনৈতিক দলের আস্থা নেওয়া প্রয়োজন মোদী সরকারের। শুধু তা-ই নয়, সংসদে একটি বিশেষ অধিবেশন ডাক দেওয়ারও পক্ষেও সওয়াল করেন জয়রাম। তাঁর দাবি, পহেলগাঁও কাণ্ডের পর থেকে গত ১৮ দিনে কী কী ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে আলোচনা করতেই বিশেষ অধিবেশনের প্রয়োজন। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন। তবে কংগ্রেসের তরফে সংঘর্ষবিরতির পরেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর একটি ছবি পোস্ট করে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ছবি খুবই অর্থবহ। ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা টানার চেষ্টা চলছে।
ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তবে তিনি এ-ও মনে করেন, ‘‘যদি এই যুদ্ধবিরতি আরও দু’-তিন আগে ঘোষণা করা হত তবে আমরা যাঁদের হারিয়েছি, তাঁদের জীবন যেত না।’’ বিগত কয়েক দিনে ভারত-পাক উত্তেজনায় পঞ্জাবের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘সংঘর্ষবিরতি’ ঘোষণার পরেই স্বাগত জানিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান। সিপিএমের তরফেও যুদ্ধবিরতি সিদ্ধান্তকে ‘ইতিবাচক’ বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে প্রথমে নিজের সমাজমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমেরিকার মধ্যস্থতায় রাতভর (আমেরিকার হিসাবে) আলোচনার পর, আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, যে ভারত এবং পাকিস্তান অবিলম্বে পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।’’