এক সময় ছিল যখন বলা হতো, পশ্চিম বাংলা পুরো ভারতকে পথ দেখায়। আর এখন পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা এমন যে পুরো দেশ থেকে ছিঃ ছিঃ ছাড়া আর কিছুই শোনা যায় না। গণতন্ত্র বলে পশ্চিমবঙ্গে কোনো কিছুর অস্থিত নেই। পুরো দেশে নির্বাচন চলছে, কোথাও কোনো হাঙ্গামা নেই, অশান্তি নেই। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ছবি একদম আলাদা। পশ্চিমবঙ্গে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের হনন শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ খুনের খবর নিয়ে পুরো দেশ নিন্দায় সরব হয়েছিল। বার বার পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন প্রত্যেক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে রাজি নয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী শুধু ৮০%, ৯০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিচ্ছি বলে সংখ্যার খেলা শুরু করেছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, যে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না সেখানে রাজ্য পুলিশ দেওয়া হবে। এখন রাজ্য পুলিশ কতটা নিজের দায়িত্ব ও কাজ পালন করতে পারছে তা মিডিয়ার রিপোর্টে ধরা পড়ছে। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনেও ব্যাপক হারে গুন্ডামি ও জিহাদের স্বীকার হতে হয়েছে রাজ্যের মানুষকে। রায়গঞ্জের এক স্থানে হিন্দুদের চিহ্নিতকরণ করে তাদের ভোট প্রদানে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং ভোটার কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
ইঙ্গিত স্পষ্ট যে পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে বড়সড় ষড়যন্ত্র চলছে। আর নিবার্চন কমিশন নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। প্রসঙ্গত জানিয়ে দি, নির্বাচন কমিশনের মুখ্য আধিকারিকের নাম আরিজ আফতাব। পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে গুন্ডাবাহিনীর উৎপাত চলছে সেই ইস্যুতে বড় মন্তব্য করেছেন সুব্রামানিয়ান স্বামী। বিজেপি সাংসদ সুব্রামানিয়ান স্বামী পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন। উনি বলেছনে পশ্চিমবঙ্গে যদি গুন্ডারা এইভাবে উৎপাত চালায় সেটা গণতন্ত্র এর জন্য ভালো ইঙ্গিত নয়। রাজ্যের পুলিশ যদি তাদের কাজ সঠিকভাবে না করে তবে সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া উচিত।