‘এক বিশ্ব, এক স্বাস্থ্য’, জি-৭ সম্মেলনে কোভিড মোকাবিলায় বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী

কোভিড-দুর্যোগের মধ্যে ইংল্যান্ডে বসেছে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সম্মেলন। গতকাল সেখানেই আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উল্লেখ্য, ভারত উন্নত অর্থনৈতিক বিশ্বের এই গোষ্ঠীর সদস্য নয়। তবু ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আহ্বানে ভার্চুয়ালি নিজের বক্তব্য রাখেন মোদী। আজ, রবিবারও অতিমহামারীর আবহে পরিবেশ সুরক্ষা ও সামাজিক মৈত্রী বজায় রাখা বিষয়ে তাঁর আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী ভাষণের শুরুতেই ‘এক বিশ্ব এক স্বাস্থ্য’— এই বার্তা তুলে ধরেন। পাশাপাশি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জি-৭ দেশগুলির সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদও জানান।

Rupnagar
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে— এই পাঁচ মাসে ক্রমশ আঁচ বাড়িয়েছে কোভিড। প্রাণ হারিয়েছেন দেশের ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ। সংক্রামিতের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। এই অবস্থায় ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে কানাডা, জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো একাধিক দেশ। পাঠানো হচ্ছে চিকিৎসা সরঞ্জাম। মেডিক্যাল অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে সরবরাহ করা হয়েছে সিলিন্ডার, রেগুলেটরও।

এই বিষয়টি সামনে টেনেই প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিনের কাঁচামালের অবাধ ও উন্মুক্ত বণ্টনের ওপর জোর দেন। সাপ্লাই চেন অক্ষুণ্ণ রাখলে আগামী দিনে ভারতের মতো করোনা-বিধ্বস্ত একাধিক দেশ উপকৃত হবে বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি গতকালের বক্তৃতায় ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’-র সাফল্যের খতিয়ানও পেশ করা হয়৷ মোদী জানান, নিরবচ্ছিন্ন গণটিকাকরণের মতোই তাঁর সরকার কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের ক্ষেত্রে ‘ওপেন সোর্স ডিজিটাল টুল’ কাজে লাগিয়েছে। এই কাজে নাগরিক সমাজের মতোই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে সরকারি ও বেসরকারি একাধিক সংস্থা। আর সকলের একযোগে প্রচেষ্টার ফলে অতিমহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই আরও সুগম হয়েছে।

ভারতের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, শুধু করোনা নয়, আগামী যে কোনও মহামারীর বিপর্যয় রুখতে স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক সমাজ তৈরি একান্ত জরুরি। আর এই কাজে দুনিয়ার সমস্ত দেশকে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.