বুধবার হাওড়া আদালতের আইনজীবী এবং কর্পোরেশন কর্মীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধের পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাধাকৃষ্ণন। বৃহস্পতিবার এজলাসে বসে আইনজীবীদের বলেন, “আমি এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছি। এক সপ্তাহ মানে এক সপ্তাহই। সোমবার সেই রিপোর্ট দেখব। তাতে যদি সন্তুষ্ট না হই, তাহলে নিজে থেকে ব্যবস্থা নেব।”
এ দিন তিনটি মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের আশ্বস্ত করে বলেন, “এক্ষুণি মামলার দরকার নেই। আমি রিপোর্ট চেয়েছি। আমার উপর ভরসা রাখুন।”
আইনজীবীদের উপর পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ তুলে রাজ্যের সমস্ত আদালতে বৃহস্পতিবার কর্মবিরতি চলছে। বিচারক এসেছেন, বিচারপ্রর্থীরাও এসেছেন। কিন্তু কাজ করছেন না আইনজীবীরা। কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যের আদালত।
আইনজীবীদের বক্তব্য, বুধবার বিকেলে বিক্ষোভরতদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ নির্বিচারে লাঠি চালিয়েছে। আদালত চত্বরে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটিয়েছে। তাঁদের কথায়, ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থাতেও এমন দৃশ্য দেখেনি দেশ।
বুধবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে সন্ধে সাড়ে পাঁচটা। সাড়ে সাত ঘণ্টা ধরে চলে উকিল-পুরকর্মী সংঘর্ষ। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেও ফিরে যান রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়। আইনজীবীরা ঘিরে থাকেন কর্পোরেশন দফতর। দফায় দফায় চলে ইটবৃষ্টি। আহত পুরকর্মীকে নিয়ে যাওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ। কর্পোরেশনের দক্ষিণ-পূর্ব দিকের নতুন গেটের সামনে এক আইনজীবীর গাড়ি পার্ক করা ছিল বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, কর্পোরেশনের অস্থায়ী কর্মীদের কেউ সেই গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এর পর খবর যায় কোর্টে। উকিলরা ঢুকে পড়েন কর্পোরেশনে। পুরকর্মীদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় আইনজীবীদের। রক্তাক্ত হন বেশ কয়েক জন আইনজীবী।
![](https://i2.wp.com/ritambangla.com/wp-content/uploads/2019/04/WhatsApp-Image-2019-04-25-at-12.12.58-AM.jpeg?fit=1024%2C473)