নিমাই পণ্ডিত আজ যেন অন্যরকম, রোষানলে টগবগ করে ফুটছেন। চাঁদকাজি অপরাধ করেছে, তার হরিনামের দলের উপর আক্রমণ করেছে, নবদ্বীপ নগরে কৃষ্ণনাম নিষিদ্ধ করেছে। তাই নিমাই পণ্ডিত আজ চলেছেন কাজিকে শাস্তি দিতে। দুঃসাহস বলে দুঃসাহস! কাজি নবাব-নিযুক্ত বিচারক, শাস্তিদাতা, সেই সঙ্গে কাজি নবাব হুসেন শাহের ভাগ্নে। একজন সনাতনী হয়ে সেই মুসলমান কাজির বিরুদ্ধে অভিযান! যথাসময়ে নবদ্বীপের পথে মশাল জ্বলে উঠল। মৃদঙ্গ-করতালের সঙ্গে হরিনাম যোগে বৈষ্ণবদের অগ্রবর্তী হয়ে নিমাই চলেছেন কাজি দমনে। চাপা উত্তেজনায় ফুটতে থাকা নগরবাসীর দরজা খুলে গেল। কী হয় এবার? নিমাই সদলবলে এগিয়ে চলেছে কাজির বাড়ির উদ্দেশে। পিছনে ভেঙে পড়েছে কৌতূহলী নগর। কেউ নিমাইয়ের জন্য আতঙ্কিত। নিমাই কেমন জব্দ হয় তা দেখে চোখ সার্থক করতে চায় কেউ। কারো কাছে এটা নিছকই বিনোদন। পায়ে পায়ে এগিয়ে চলেছে তারাও নিমাইয়ের দলের পিছু পিছু, হাতে প্রদীপ, লণ্ঠন বা মশাল। কেউ লক্ষ্য করেনি, কতিপয় বৈষ্ণবের সে যাত্রা অজান্তেই কখন কৌতুহলী জনতার মিশ্রণে জনজোয়ারে পরিণত হয়েছে। লক্ষ্য করল একজন, কাজি স্বয়ং। খবরটা তার কাছে আগে থেকেই ছিল, নিমাইয়ের লোকবল বা হাতে গোনা গুটিকয় শাগরেদের খবরও তার ভালোই জানা ছিল। লেঠেল আর পাইকদের নিয়ে প্রস্তুত হয়েই ছিল সে। কিন্তু এবার প্রমাদ গুনল, এ কী করে সম্ভব? লেঠেল, পাইকরা আগেই যে যেদিকে পারে পালিয়েছে, কাজিও সোজা বেগম মহলে আত্মগোপন করল। চতুর নিমাই বাড়াবাড়ি করলেন না, অবনত কাজিকে ক্ষমা করে যা হাসিল করার ছিল তা করে ফিরে এলেন। কাজ কয়েক ধাপ এগিয়ে গেল; আগ্রাসী ইসলাম এবার থেকে কিছুটা সংযত হলো। গুটিয়ে যাওয়া সনাতনীরা অনেকটাই আত্মবিশ্বাস ফিরে পেল। আর নেতা রূপে নিমাইয়ের প্রতিষ্ঠা হলো।
ড. এস কে দে তার ‘বৈষ্ণব ফেথ অ্যান্ড মুভমেন্ট’ গ্রন্থে বলেছেন— “চৈতন্যচরিত্রে দেবত্ব ও অলৌকিকত্ব ধীরে ধীরে আরোপিত হওয়ায় তার অসাধারণ বুদ্ধি, বিদ্যা, চতুরতা, উপযুক্ত লোক সংগ্রহের ক্ষমতা, প্রতিভা ও গুণাবলী আলোচিত না হয়ে হারিয়ে গেছে।” এভাবে আমরা মহাপ্রভুকে দেখতে অভ্যস্ত নই। আমাদের কাছে তিনি শুধুই কৃষ্ণপ্রেমে উন্মাদ এক ভক্ত বা স্বয়ং কৃষ্ণাবতার। প্রকৃতই কি তাই, নাকি এসব কিছুর পিছনে আছে সুচারু পরিকল্পনা?
মানুষ শুধু মায়ের কোলেই জন্মগ্রহণ করে না, একটা বিশেষ সময়ের কোলেও জন্ম নেয়। মায়ের যেমন স্বপ্ন থাকে, এই সন্তান একদিন তার সকল দুঃখ-কষ্টের অবসান করবে, কর্ম দ্বারা দেশ ও দশের মঙ্গল করে পিতা-মাতার নাম উজ্জ্বল করবে, তেমন প্রত্যেক সন্তানের প্রতি চাহিদা থাকে সময়েরও। মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের কাছে কি সময়ের আহ্বান পৌঁছেছিল? তিনি কি শুধুই কৃষ্ণপ্রেমে উন্মাদ এক ভক্ত বা স্বয়ং কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ নামে কি পাপীতাপী উদ্ধার হয় ? আমাদের চারপাশের কৃষ্ণভজনা-মুখরদের সঙ্গে অন্যদের কর্ম, চরিত্র, আচরণে কি বিশেষ পার্থক্য দেখা যায় ? তাদের দেখে কি মনে হয় তারা সকলে কলুষমুক্ত, স্বর্গের অধিকারী? তা যদি না হয় তবে পাপীতাপী উদ্ধারার্থে শ্রীচৈতন্যের আবির্ভাব, তাঁর সন্ন্যাস ও কর্মের সার্থকতা কোথায়? তবে কি আরও বেশি কিছু?
সময়টা তখন পনেরশো শতকের শেষ দিক। তৎকালীন নবদ্বীপ প্রাচ্যের বারাণসী, জ্ঞানবিজ্ঞানের সাধনক্ষেত্র। এখানে এসে টোল খুলেছেন শান্তিপুরের অদ্বৈত আচার্য। সংসারে আবদ্ধ হবার একেবারেই ইচ্ছা ছিল না আচার্যের, কিন্তু ঘটনাচক্রে তা হয়ে ওঠেনি। তা হোক, সংসারে থেকেও তিনি সন্ন্যাসী। একাদশ শতকের শুরুতেই মধ্য এশিয়া থেকে যে ধর্মীয় আগ্রাসন আছড়ে পড়ল ভারতের পশ্চিম প্রান্তে তার সঙ্গে সনাতন ভারতের কোনও পরিচয় ছিল না, ছিল না সে ধর্মের রূপের সঙ্গে পরিচয়। এক হাতে কোরান, অন্য হাতে উন্মুক্ত তলোয়ার নিয়ে একের পর এক সাগরের ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়তে থাকল হানাদাররা। ১১৯৭ খ্রিস্টাব্দে প্রতিবেশী রাজ্য মগধের পতন হয়েছে। হিন্দু, বৌদ্ধদের রক্তে ভেসে গেছে মগধ, ওদন্তপুরের মাটি। গৌড়ের বৃদ্ধ রাজা লক্ষণ সেনের মনে ভয়টা ঢুকেছিল, কিন্তু উপবীত প্রলম্বিত টিকি -তিলক চর্চিত পণ্ডিত ও সভাসদগণ আশ্বাস দিয়েছে— ওই মূর্খ যবনের কী সাহস, আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন মহারাজ। তাই গীতগোবিন্দের রসাস্বাদন আর কৌলিন্য প্রথার চর্চা করে বেশ কাটছিল। অতর্কিত আক্রমণে বিনা যুদ্ধে নবদ্বীপ হলো যবন বক্তিয়ার খলজির বশীভূত। বক্তিয়ার অবশ্য বাংলায় গেড়ে বসেনি, ১২৯১ খ্রিস্টাব্দ থেকেই রুকনুদ্দিন কাইকাউসের অধীনতা দিয়ে বাংলায় ইসলামি শাসন তথা নির্যাতনের পাকাপাকি সূচনা। শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহ, ইলিয়াস শাহ হয়ে এখন আলাউদ্দিন হুসেন শাহ। পার হয়ে গেছে প্রায় তিনশোটা বছর। এই তিনশো বছরে বাংলার রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে এসেছে অনেক পরিবর্তন; নিজ ভূমে হিন্দু আতঙ্কগ্রস্ত, রক্তাক্ত, ক্ষয়িষ্ণু। এক দিকে ইসলামি শাসকের দ্বারা বিধর্মী সনাতনীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া বিবিধ কর, অত্যাচার, ছলে-বলে-কৌশলে ইসলামিকরণ, ধর্মে আঘাত, নারী অপহরণ, ধর্ষণ। অপর দিকে উদ্ভ্রান্ত সনাতনীদের অতি রক্ষণাত্মক হতে গিয়ে ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা আর বিধি-বিধানের নাগপাশে জড়িয়ে পড়া, যা পক্ষান্তরে আগ্রাসী ইসলামেরই সহায়ক হয়ে ওঠে।
পার্শ্ববর্তী পিরুল্যার সনাতনীরা অসহায় ভাবে আত্মসমর্পণ করে। তারাই মুসলমান হয়ে এখন সনাতনীদের ভয়ানক শত্রু হয়ে উঠেছে। সকল অবহেলা অত্যাচারের প্রতিশোধ চায় এখন। শিমুলিয়াও তাই। মহেশ্বর বিশারদ কাশীধামে পালিয়েছে। তার ছেলে বাসুদেব পালিয়েছে ওড়িশা। আরও অনেকে অনেক দিকে। নবাব এখানে কাজি বসিয়েছে, কাটোয়ায় মুলুকপতি। তাদের মাধ্যমে চলছে সনাতনীদের উ পর অত্যাচার; ছলে, বলে, কৌশলে সনাতনীদের ধর্ম নাশ করে মুসলমান করা চলছে। বর্ণহিন্দু আর সমাজপতিদের অত্যাচারে জর্জরিত সনাতনীরা সহজেই পড়ে যাচ্ছে কাজির খপ্পরে। তাদেরই বা কী দোষ, কেউ পাশে দাঁড়ানোর নেই। বর্ণহিন্দু আর সমাজপতিরা তাদের করে রেখেছে অস্পৃশ্য। ধর্ম ও দেবতার আরাধনায় তাদের অধিকার নেই, আছে শুধু বিধিনিষেধের নাগপাশ ও তার উলঙ্ঘনে শাস্তি। মানুষের মর্যাদাটুকুও তাদের নেই।
কীভাবে ধর্ম রক্ষা হবে, কীভাবে রক্ষা হবে সনাতনীদের। উত্তেজিত হয়ে লাফিয়ে চিৎকার করে ওঠেন প্রবীণ অদ্বৈত আচার্য। পাঠান মুসলমানের বেটাকে সনাতন ধর্মে দীক্ষিত করে টোলে স্থান দিয়েছেন, ফুলিয়ায় আশ্রম করে দিয়ে কৃষ্ণনাম প্রচারে নিযুক্ত করেছেন। হরিসভার আসরও বসিয়েছেন। কিন্তু এতে হবে না। এমন কাউকে চাই যে ধর্মের অভ্যন্তরের আত্মঘাতী বিধিনিষেধ, অস্পৃশ্যতা আর ভেদাভেদের বেড়াজাল ভেঙে সাম্যের অধিকার দিয়ে সকলকে একই সনাতন ধর্মের গৌরবে গৌরবান্বিত করে এক ঐক্যবদ্ধ সনাতন জাতির জাগরণ ঘটাতে পারবে। পথে, ঘাটে, পাঠশালায় তার চোখ সর্বদা খুঁজে ফেরে এক দৈবীমুখ, যাকে দেবতার আসনে প্রতিষ্ঠিত করা যায়, করা যায়। সে মহাযজ্ঞের ঋত্বিক, মহাযুদ্ধের সেনাপতি।
জগন্নাথ মিশ্রের ছোট ছেলে নিমাই অল্প বয়সেই পণ্ডিত রূপে নাম করেছে। গৌর বর্ণ, বিশাল শরীর, চওড়া বক্ষপট, টিকোলো নাক, টানা-টানা উজ্জ্বল বুদ্ধিদীপ্ত চোখ। মুখে পান দিয়ে ধুতির কোচা দুলিয়ে সমবয়সি ছাত্রদের নিয়ে যখন বাজারে ঘোরে তখন চোখ ফেরানো যায় না। সংসারী হয়ে শচীমাতাকে আশ্বস্ত করেছে। বিনি পয়সায় কলাটা, মুলোটা হাতিয়ে নেয় দোকানিদের কাছ থেকে। পিতৃসমরা আপশোস করে বলাবলি করেন, সংসারের হালটা ধরেছে ঠিকই কিন্তু বামুনের ছেলে হয়েও ধর্মে মতি হলো না নিমাইটার। পথেঘাটে হঠাৎ দেখা হলে কেউ যদি উপদেশ দিতে আসে সপাটে উত্তর আসে— ‘সোহহম, আমিই সেই পরম ব্রহ্ম পরমেশ্বর, কে কার পূজা করবে!’
বেশ চলছিল। হঠাৎই একদিন নবদ্বীপ নগরে অদ্বৈত আচার্যের আঙিনায় এক দিব্য সন্ন্যাসীর আবির্ভাব হলো। ধর্মময় ভারতবর্ষে সাধুসন্ন্যাসীর অভাব নেই। নবদ্বীপের মতো ধর্ম ও সংস্কৃতি চর্চার পীঠস্থানে যে তাদের আনাগোনা লেগে থাকে তা স্বাভাবিক। কিন্তু এ সন্ন্যাসীর আগমন স্বাভাবিক মনে হয় না। মাসাধিক কাল থাকলেন, তন্ন তন্ন করে নবদ্বীপের আনাচে কানাচে ঘুরলেন, তার পর একদিন বিদায় নিলেন। কেউ জানল না তার প্রকৃত পরিচয়, জানলেন শুধু অদ্বৈত আচার্য আর যুবক নিমাই পণ্ডিত। ইনি শঙ্করপন্থী সন্ন্যাসী ঈশ্বর পুরী। গোপন কিছু পরামর্শও হলো অদ্বৈত আচার্য আর নিমাইয়ের সঙ্গে। একটা আমন্ত্রণও পেলেন নিমাই— ‘গয়ায় এসো।’
তখন থেকে কিছু অদ্ভুত পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেল নিমাই পণ্ডিতের আচরণে। তিনি শিষ্য-বন্ধুদের নিয়ে প্রায়ই অস্পৃশ্য গোয়ালা, তাঁতি, ধোবা, চাষা, মুচি, ডোম পল্লীতে যেতে লাগলেন। রুখে দাঁড়ালেন তাদের উপর হওয়া নির্যাতনের বিরুদ্ধে। তাদের বাড়িতে খাওয়া, গল্প করা শুরু করলেন। আর হরিনামের সভায় যোগদানও শুরু হলো। কতটা স্বর্গীয় পিতৃদেবের জন্য পিণ্ডদানার্থে, কতটা ঈশ্বর পুরীর আমন্ত্রণে বলা শক্ত, নিমাই এবার গেলেন গয়া— যেখানে সেই ঈশ্বর পুরী আছেন। পিতৃদেব ও লক্ষ্মীপ্রিয়ার উদ্দেশ্যে পিণ্ডদান শেষে নিমাই ঈশ্বর পুরীর কাছে কৃষ্ণনামে দীক্ষিত হয়ে নবদ্বীপে ফিরলেন। গয়া থেকে ফেরার পর ভাবোন্মত্ততা চেপে ধরল নিমাইকে। শিক্ষকতার পাট উঠে গেল। সর্বদা কৃষ্ণনামে পাগল হয়ে উঠলেন তার্কিক নিমাই পণ্ডিত। নবদ্বীপের পথে অবতীর্ণ হলেন কলির প্রেমাবতার। ধর্ম ও বর্ণের উঁচু-নীচু ভেদ রেখা মিশে গেল গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর চওড়া বক্ষপটে।
বাল্যে এক সন্ন্যাসীর হাত ধরে ঘরছাড়া বীরভূমের হানাই পণ্ডিতের ছেলেটা এখন যুবক। নবদ্বীপের নিমাইয়ের চেয়ে বয়সে একটু বড়, দেখলে মনে হবে দু-ভাই। গুরু গত হয়েছেন, নিত্যানন্দ এখন একা সুদুর দক্ষিণ ভারতের শ্রীরঙ্গমে। হঠাৎই এক বার্তা এল; কেউ একজন অপেক্ষা করছেন তার জন্য, উত্তর ভারতের বৃন্দাবনে। কে ইনি? তাকে কীভাবেই বা চিনলেন? কীই বা প্রয়োজন তাকে! হাজারো বিস্ময় আর প্রশ্ন মাথায় নিয়ে দূর পথ অতিক্রম করে নিত্যানন্দ এসে পৌঁছলেন বৃন্দাবনের গোবর্ধন পর্বতে, যেখানে তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন সেই শঙ্করপন্থী সন্ন্যাসী অদ্বৈত আচার্য ও ঈশ্বর পুরীর গুরু মাধবেন্দ্র পুরী। উদগ্রীব নিত্যানন্দকে অন্য এক মন্ত্রে দিক্ষিত করলেন মাধবেন্দ্র পুরী। ঈশ্বরপ্রেমে নিমগ্ন হয়ে ভেসে যাওয়াই শুধু সন্ন্যাসীর কাজ নয়। বাংলার নবদ্বীপে তোমার জন্য কর্মযজ্ঞ অপেক্ষা করছে।
নিত্যানন্দ এসে যোগ দিলেন নিমাইয়ের সঙ্গে। ডাক পেয়ে ফুলিয়া থেকে এসে যোগ দিয়েছেন হরিদাস। নিত্যানন্দ, হরিদাস, অদ্বৈত আচার্য, শ্রীবাস, গদাধর, মুকুন্দ, চন্দ্রশেখর এবং আরও অনেকে; নিমাইয়ের দল গড়ে উঠল। শুরু হলো কৃষ্ণনামের মাধ্যমে সনাতন সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে জাগরণ ঘটানোর কাজ। কিন্তু সহজ নয় সে পথ। মুসলমান শাসকের বাধা তো আছেই, আছে উন্মার্গগামী বৌদ্ধ পাষণ্ডী ও তান্ত্রিকরা। সবচেয়ে বড় বাধা যেন সনাতন ধর্মের এই সমাজটার ভিতরেই। তাই এমন কিছু চাই, এমন পর্যায়ে নিজেকে নিয়ে তুলতে হবে যাতে মানুষ আর অস্বীকার করতে না পারে। ডাকও এসেছে। আরও বড় ক্ষেত্রে জাগিয়ে তুলতে হবে সনাতন জাতিকে। ১৫১০ খ্রিস্টাদের ৭ মাঘ ভোরবেলা শচীমাতা ও সহধর্মিণী বিষ্ণুপ্রিয়াকে পিছনে ফেলে সন্ন্যাসের পথে পা বাড়ালেন নবদ্বীপের নিমাই পণ্ডিত। সেখানে তাঁর জন্য অপেক্ষা করে আছেন আর এক শঙ্করপন্থী সন্ন্যাসী কেশব ভারতী।
প্রীতীশ তালুকদার