“অপেক্ষা করুন ভাটপাড়ার চেয়ারম্যান আমিই হব।” সোমবারই ভাটপাড়া পৌরসভায় তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস করল তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেদিন সন্ধ্যায় এমন ভাষাতেই হুঙ্কার ছাড়লেন ভাটপাড়ার বাহুবলী নেতা অর্জুন সিংহ। এদিন ভাটপাড়ার চেয়ারম্যান অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধে ২২-১২ ভোটে অনাস্থা প্রস্তাব পাস করায় তৃণমূল। কিন্তু এদিন সন্ধ্যায় নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অর্জুন সিংহ বলেন, “পুলিশ ও গুণ্ডা বাহিনীর জোরে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা পাশ করিয়েছে তৃণমূল। কাউন্সিলরদের হাইজ্যাক করে নিয়ে গিয়ে জোর করে ভোট আমার বিরুদ্ধে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “ওই কাউন্সিলররা যখন আমাকে তাঁদের পরিস্থিতির কথা জানায় আমি নিজেই তাঁদের অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতে বলি।” এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কিভাবে নিজের চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাবেন অর্জুন? এমন প্রশ্নের উত্তরে ভাটপাড়ার বিধায়ক বলেন, “অনাস্থা ভোট পাশ হয়েছে ঠিকই। কিন্তু, যেদিন চেয়ারম্যান নির্বাচন হবে সেদিন আমিই জিতব। সেদিন পুলিশ বাহিনী ও গুণ্ডা দিয়ে আমাকে আটকানো যাবে না।” উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ব্যারাকপুর লোকসভায় বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন অর্জুন সিংহ। তাঁকে দল থেকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেই ক্ষান্ত হয়নি বাংলা শাসক শিবির। ভাটপাড়া পৌরসভা থেকে অর্জুনকে পুরোপুরি উৎখাত করতে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। এদিন সেই অনাস্থা প্রস্তাবই তৃণমূল পাস করিয়ে নিল সংখ্যাধিক্যের জোরে। অন্যদিকে, ভাটপাড়া পুরসভার আস্থা ভোটে অর্জুন সিংহ হারতেই অশান্তি শুরু ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। ভাটপাড়া, নৈহাটি, জগদ্দল, কাঁকিনাড়া—সহ একাধিক জায়গায় বিজেপি পার্টি অফিস ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্রর গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। কয়েকশো জন অর্জুন-অনুগামী থানা ঘেরাও করে রাখে দীর্ঘক্ষণ। কর্মীদের পাশে নেমে বিক্ষোভ দেখান অর্জুন সিংহও। এ প্রসঙ্গে অর্জুনের বক্তব্য, “আমার কর্মীদের ওপর হামলা হলে আমি রাস্তায় নামবো। আর তৃণমূল যত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা করবে ব্যারাকপুর লোকসভায় আমার ব্যবধান ততই বাড়বে।”

নীল রায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.