Cyber Fraud-এ আর ডুববে না টাকা, কেন্দ্রীয় সরকার চালু করল হেল্পলাইন নম্বর

করোনাকালে Digital Payment বাড়তেই লাফিয়ে বেড়েছে অনলাইন প্রতারকের সংখ্যা। ক্রমবর্ধমান জালিয়াতি রুখতে এবার ব্যবস্থা নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry)। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার আর্থিক ক্ষতি রোধে নতুন হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে। পাশাপাশি রিপোর্ট করার একটি নতুন প্লাটফর্ম চালু করেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Home Ministry) জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মানুষের কষ্টের টাকা যাতে নষ্ট না হয় তার জন্যে জাতীয় হেল্পলাইন নম্বর ও রিপোর্টিং প্লাটফর্ম চালু করা হল। জনগণকে সুরক্ষিত ডিজিট্যাল প্লাটফর্ম দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে এই হেল্পলাইন এবং রিপোর্টিং প্ল্যাটফর্মটি শুরু করা হল।

চলতি বছরের ১ লা এপ্রিল হেল্পলাইন নম্বরটি (Help Line) চালু করা হয়েছিল। হেল্পলাইন 155260 এবং এর রিপোর্টিং প্ল্যাটফর্মটি ভারতীয় সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (Indian Cyber crime coordination centre), রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI), দেশের সমস্ত বড় ব্যাঙ্ক, পেমেন্ট ব্যাঙ্কের সমর্থন এবং সহযোগিতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে চালু করা হয়েছে। বর্তমানে এটি ছত্তিশগড়, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলঙ্গানা, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তর প্রদেশের সাতটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে প্রয়োগ করা হচ্ছে। প্রায় ৩৫ শতাংশের বেশি লোককে কভার করছে।

এই হেল্পলাইন নম্বরটিতে অভিযোগের ভিত্তিতে, গত ২ মাসের মধ্যেই ১.৮৫ কোটি টাকারও বেশি জালিয়াতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে , এরফলে সাইবার জালিয়াতির বড় দলগুলির পর্দা ফাঁস করা গিয়েছে। দিল্লি ও রাজস্থানে তদন্ত চলাকালীন বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল এবং ৭৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের এই ব্যবস্থা ব্যাঙ্ক এবং পুলিশ উভয়কেই শক্তিশালী করে তুলেছে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে দু’জনেই প্রতারণার সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য ভাগ করে নেয় যে কারণে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়াও সম্ভব হয়। হেল্পলাইন এবং প্ল্যাটফর্মটি কীভাবে কাজ করে তা দেখে নেওয়া যাক –

১. হেল্পলাইন নম্বর 155260 রাজ্য পুলিশ দ্বারা পরিচালিত নম্বর। পুলিশ অপারেটর প্রতারণামূলক লেনদেনের বিবরণ এবং অভিযোগকারীর ব্যক্তিগত বিবরণ নোট করে। এবং সাইবার জালিয়াতি রিপোর্টিং-এর পরে একটি টিকিট জেনারেট হবে।

২.এই টিকিটগুলি সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক, ওয়ালেট, ব্যবসায়ীদের বিতরণ করা হয়, এটি নির্ভর করে যে এটি ভুক্তভোগীর ব্যাঙ্ক বা ওয়ালেট যেখানে জালিয়াতির অর্থ চলে গেছে।

৩. অভিযোগকারীর কাছে অভিযোগের স্বীকৃতি নম্বর সহ একটি এসএমএসও প্রেরণ করা হয়। সেই অভিযোগের স্বীকৃতি নম্বর ব্যবহার করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে জাতীয় সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালে (https://cybercrime.Gov.In/) জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

৪.সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক রিপোর্টিং পোর্টালে তার ড্যাশবোর্ডে দেখতে পাবে, তার ইন্টারনাল সিস্টেমে বিশদটি পরীক্ষা করে। জালিয়াতির অর্থ যদি ব্যাঙ্কে থাকে তাহলে সেটাকে অবরুদ্ধ করে। অর্থাৎ প্রতারক সেই টাকা তুলতে পারে না।

৫.অর্থ অন্য ব্যাঙ্কে স্থানান্তরিত হলে, টিকিটটি পরবর্তী ব্যাঙ্কে পাঠানো হয়েছে। প্রতারকদেরদের হাতে অর্থ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.