স্বর্গীয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর পুত্র সুনীল শাস্ত্রী ‘দ্য তাশকান্দ ফাইলস’ এর উদ্বোধনকালে খোলাখুলি নিজের বক্তব্য সামনে রেখেছেন। সুনীল শাস্ত্রী নিপুনতার সাথে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় চলচ্চিত্র নির্মাতা ভিবেক আনিনহোত্রীর প্রশংসা করেছেন।
প্রেস কনফারেন্সের সময় ওপ ইন্ডিয়ার প্রশ্নগুলির উত্তর প্রদান করার সময় সুনিল শাস্ত্রী বলেন , তার পিতা লাল বাহাদুর শাস্ত্রী প্রত্যেক ভারতীয়ের মাথা গর্বের সাথে উঁচু করেছিলেন, ঠিক একইভাবে আজ প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী প্রত্যেক ভারতীয়ের মাথা পুরো বিশ্বে উঁচু করছেন।যাইহোক, তিনি রাজনীতির সাথে জড়িত অনেক প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং তার পিতার মধ্যে সমতা খুঁজে বের করার প্রশ্নে তিনি খোলাখুলি নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন।
এক সময় উত্তর প্রদেশের গভর্নর মন্ত্রী সুনিল শাস্ত্রী তার পিতা লাল বাহাদুর শাস্তির সম্পর্কিত একটি খুব কৌতূহলপূর্ন ঘটনার বিবরণ দেন। ঘটনাটি জানার পর যে কেউ লাল বাহাদূর শাস্তির বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করবে। ঘটনাটি সেই সময়ের যখন ভারত পাকিস্থানের যুদ্ধ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তাশকান্দ চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। সেই সময় জেনারেল আইয়ুব খান পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। বেশ লম্বা চওড়া ছিলেন আইয়ুব খান অন্যদিকে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর উচ্চতা ছিল কম। যখন তাদের ও লাল বাহাদুর শস্ত্রীর মধ্যস্থতা নিশ্চিত হতে যাচ্ছে, তখন কেউ শাস্ত্রীজির দৃষ্টি এই বিষয়ের দিকে আকর্ষিত করেন।
লাল বাহাদুর শস্ত্রীজিকে কেউ বলেছে যে তিনি তো সাদা-সিদে মানুষ এবং ধুতি-কুরাতে পরে থাকে, এতে ভারী লম্বা-চওড়া আয়েব খানের সাথে তারা কীভাবে এক ফ্রেমে থাকবে? এই প্রশ্নটির উত্তর শাস্ত্রীজি অতি নিপুনতার সাথে দিয়েছিলেন। লাল বাহাদুর শাস্ত্রী বলেন, যদি পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে আমার উচ্চতা কম হয়, তবে এটি আরও ভাল কথা, কারণ ভারত নিজের মাথা উঁচু করে কথা বলবে এবং পাকিস্তান নিজের মাথা নত করে বলবে।তিনি এই বিষয়টি থেকে প্রমাণ করেছেন যে মানুষ নিজের উচ্চতায় নয় বরং নিজের আচরণ থেকে নিজের ব্যক্তিত্ব তৈরি করে।
জানিয়ে দি, লালবাহাদুর শাস্ত্রী একজন বড় মাপের নেতা তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কিন্তু গান্ধী পরিবার উনার অবদানকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য বহু প্রয়াস চালিয়েছে। মিডিয়ার কাছে সুনিল শাস্ত্রী বলেন যে তারা আশা করে যে, ‘দ্য তাশকান্দ ফাইলস’ এর পরেই মুক্তি পাবে তার বাবা মারা যাওয়ার আসল সত্য ঘটনা। তিনি পপুরানো দিনগুলো স্মরণ করে বলেন যে কিভাবে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ব্যক্তিগত ডাক্তার এবং সহকারীর অ্যাক্সিডেন্ট করা হয়েছে। তার অসিস্টেন্ট রমনাথকে সুনিল শাস্ত্রী এক ভাইয়ের মতো মানতেন। তাদের কাছ থেকে যখন শাস্ত্রী জি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, তারা চিৎকার করে উঠছিল। তাদের দুই বার এক্সসিডেন্ট হয়েছিল, যার মধ্যে তাদের একজনের পা চলে গিয়েছে এবং তাদের মাথা খারাপ ও হয়েছিল। একইভাবে তাদের ডাক্তারের পুত্র সহ একটি দুর্ঘটনায় মারা গেছে। বোকৌল সুনিল শাস্ত্রী, এই সব একত্রিত কোনো কিছুই ছিল না ।