শনিবারই কাশ্মীরের পথে বিরোধীরা, আটকাতে পারে সরকার

গত মঙ্গলবারই কাশ্মীরে যেতে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদকে। জম্মু-কাশ্মীরের ওই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বিমান বন্দর থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে দিল্লিতে। তারপরে শনিবার গুলাম নবি আজাদ ও কংগ্রেসের অপর নেতা আনন্দ শর্মার সঙ্গে শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। অন্যান্য বিরোধী দলের প্রতিনিধিরাও থাকবেন তাঁদের সঙ্গে। জম্মু-কাশ্মীরের তথ্য ও জনসংযোগ দফতর থেকে শুক্রবারই তাঁদের আসতে বারণ করা হয়েছে। ফলে শনিবার বিরোধী নেতারা কাশ্মীরে ঢুকতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে পর্যবেক্ষকদের।

জম্মু-কাশ্মীরের জনসংযোগ দফতর থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক নেতাদের এই সময় শ্রীনগরে যাওয়া উচিত নয়। তাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে। পরে টুইটে বলা হয়েছে, এই সময় সরকার জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ ও হামলা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে…।

এদিন বিরোধী দলগুলির যে প্রতিনিধিদের কাশ্মীরে যাওয়ার কথা আছে, তাঁদের মধ্যে আছেন সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা, তৃণমূল কংগ্রেসের দীনেশ ত্রিবেদী, ডিএমকে-র তিরুচি শিবা, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মনোজ ঝা প্রমুখ।

সরকারের টুইটের জবাবে গুলাম নবি আজাদ বলেছেন, আমরা দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল। আমরা আইন ভাঙতে যাচ্ছি না। জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। পুরো এলাকা ২০ দিন ধরে বন্ধ হয়ে আছে। কোনও খবরই আসছে না। সরকার বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাহলে নেতাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না কেন?

বিরোধী নেতারা শ্রীনগর বাদে রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলেও যেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। এর আগে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক রাহুলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। গত ১১ অগস্ট তিনি বলেন, আমি রাহুলকে এখানে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমি তাঁকে একটি বিমানও পাঠিয়ে দেব। তিনি নিজের চোখে পরিস্থিতি দেখে তবে যেন মুখ খোলেন। দু’দিন বাদে রাহুল আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু তখন রাজ্যপাল আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করে নেন। তিনি বলেন, রাহুল বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছেন। তিনি অন্যান্য বিরোধী নেতাকে এখানে এনে গোলমাল পাকাতে চান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.