আচমকাই চলে গেলেন চিত্রশিল্পী ওয়াসিম কাপুর। সোমবার সকালে নিজের বাড়িতেই প্রয়াত হন শিল্পী। লখনউয়ে জন্ম, তবে কলকাতা ছিল তাঁর কর্মভূমি। কথা বলত তাঁর রং, তুলি। মানুষের মনের আবেগ সাদা ক্যানভাসে ঢেলে দিতেন তিনি, তাঁর ছবি কথা বলে। সোমবার না-ফেরার দেশে চলে গেলেন ৭১ বছর বয়সী শিল্পী।
তাঁর আচমকা মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ শিল্পীমহল, চোখের কোণ ভিজেছে তাঁর শিল্পের গুণমুগ্ধ ভক্তদের। শৈশবটা আর পাঁচটা শিশুর মতো কাটেনি ওয়াসিম কাপুরের। মাত্র ৬ মাস বয়ছে খাট থেকে পড়ে চোট পান তিনি, এরপর বারো বছর বিছানাতেই দিন কেটেছে। জানালা দিয়ে শুয়ে শুয়ে বাইরের দৃশ্য দেখতেন, মনের খাতায় সেগুলো প্রথমে ফ্রেমবন্দি করতেন, তারপর সেগুলো খাতায় আঁকতেন। ছেলের এই ঝোঁক দেখে বাড়িতে আঁকার শিক্ষক রাখেন ওয়াসিম কাপুরের বাবা। সেই শুরু। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
শৈশবের শিক্ষক অমর নন্দনই তাঁকে ভর্তি করান আর্ট কলেজে, সেই প্রথম বাইরের জগতের সঙ্গে সরাসরি পরিচয়। ক্রাচে ভর দিয়ে কলেজ যেতেন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কোনওদিন তাঁর ভাবনায় দেওয়াল তোলেনি। তাঁর স্বপ্নের ক্যানভাস ডানা মেলে উড়ত। এরপর দেবী প্রসাদ চৌধুরী, অতুল বসু, যামিনী রায়, মকবুল ফিদা হুসেন, পরিতোষ সেনদের মতো নামীদামী শিল্পীদের সান্নিধ্যলাভ করেন। কলেজের প্রথমবর্ষেই তাঁর আঁকা ছবি জায়গা করে নিয়েছিল প্রদর্শনীতে।
এরপর দেশে-বিদেশে শুরু হয় তাঁর চিত্র প্রদর্শনী, সর্বত্রই সমাদৃত ওয়াসিম কাপুরের ভাবনা। ভারতের সংসদ ভবন, উর্দু অ্যাকাডেমি, ললিতকলা অ্যাকাডেমি সর্বত্র রয়েছে তাঁর আকা ছবি। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া বাংলার শিল্পীমহলে।