পহেলগাঁও হামলার জবাব দিতে ভারতের তিন বাহিনীকে সবুজ সংকেত দিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার বিকেলে তিন সেনা প্রধান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহানের সঙ্গে বৈঠকের পর ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সেনাবাহিনী কী ব্য়বস্থা নেবে, কীভাবে ব্যবস্থা নেবে ও কেন সময়ে সেই পদক্ষেপ করা হবে তা ঠিক করবে প্রতিরক্ষা বাহিনী।
সূত্রের খবর ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের জবাব দেওয়া আমাদের কর্তব্য। সেই কাজে দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপরে আমার পুরো আস্থা রয়েছে। প্রসঙ্গত, জানা যাচ্ছে ওই বৈঠক শেষ হওয়ার পরপরই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার পর সর্বদল বৈঠকে বিরোধীরা জানিয়ে দেয়, পহেলগাঁও হামলার পর কেন্দ্র যে ব্যবস্থা নেবে তা তারা মেনে নেবে। তার পরই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। সোমবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দেওয়া হয় খুঁটিনাটি বিষয়।
প্রসঙ্গত,পুলওয়ামায় ৪০ সিআরপিএফ জওয়ানের প্রাণহানির পর ভারত বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক করে ভারত। সেই স্মৃতি এখন পাকিস্তানের মাথায় রয়েছে। সম্ভবত সেই কারণেই দেশের সেনাবাহিনীর বহু ও সেনা আধিকারিক চাকরি ছেড়ে পালিয়েছেন বলে খবর। সেই চাকরিছাড়ার হিড়িক বন্ধ করতে সেনাকর্তাদের নোটিস দিয়ে আবেদন করতে হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসারনে পর্যটকদের উপরে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ২৬ জন পর্যটকের। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল হামলাকারীরা পর্যটকদের ধর্ম পরিচয় জেনে গুলি চালিয়েছে। ওই হামলার পর ভারত এখনওপর্যন্ত একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে সিন্ধুর জলবন্টন চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল, ভারত বসবাসকারী পাকিস্তানিদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া নির্দেশ-সব একাদিক পদক্ষেপ। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হিসেবে ভারতের বিমানের জন্য পাকিস্তান তার আকাশসীমা বন্ধ করেছে, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য। এখন পহেলগাঁও হামলার পর যেভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রের উপরে চাপ বাড়ছে তাতে পকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও কড়া ব্যবস্থা নিয়ে নিলেও অবাক হওয়ার কিছু নয়।
গত রবিবার তাঁর ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন পহলেগাঁও হামলার পেছনে যারা রয়েছে তাদের কড়া জবাব দেওয়া হবে। জঙ্গি দমনে ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের পেছনে রয়েছে গোটা বিশ্ব। হামলায় যারা স্বজন হারিয়েছেন তাদের বলছি হামলাকারীরা যোগ্য জবাব পাবে। ন্যায় বিচার করা হবে।