বেঙ্গালুরুতে ওমিক্রনের ‘উৎস’ থেকে আগত ২ জন করোনায় আক্রান্ত, পড়েছেন ডেল্টার কবলে

বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আগত দুই যাত্রীর করোনাভাইরাস রিপোর্ট পজিটিভ এল। কর্নাটকের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কেম্পগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় তাঁদের শরীরে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে। তবে তাঁদের শরীরে অস্তিত্ব মিলেছে ডেল্টা প্রজাতির। উদ্বেগজনক ওমিক্রনে আক্রান্ত নন তাঁরা।

কর্নাটকের স্বাস্থ্যসচিব টি কে অনিল কুমার জানিয়েছেন, যাঁরা বিদেশ থেকে আসছেন, তাঁদের জিন সিকোয়েন্সিংয়ের প্রক্রিয়া দ্রুত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রথম যাত্রী গত ১১ নভেম্বর বেঙ্গালুরুতে আসেন। অপরজন আসেন ১৬ নভেম্বর। সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্ট হাতে আসার আগে দু’জনকেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে দু’জনেই ডেল্টা প্রজাতিতে আক্রান্ত।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

এমনিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৪ (বুধবার) দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রথম বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির (ওমিক্রন) করোনার প্রথম যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল গত ৯ নভেম্বর। অর্থাৎ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বেঙ্গালুরুতে আগত প্রথম যে ব্যক্তির করোনা ধরা পড়েছে, ততদিনে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রনের অস্তিত্ব মিলতে শুরু করেছে। বিশ্বের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছে, প্রজাতির একাধিকবার মিউটেশন (জিনগত পরিবর্তন) হয়েছে। কয়েকটি মিউটেশন তো উদ্বেগজনক। প্রাথমিকভাবে যে তথ্য মিলেছে, তাতে জানা গিয়েছে যে অন্যান্য ‘উদ্বেগজনক’ বা ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্নের’ থেকে বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির ক্ষেত্রে পুনরায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তারইমধ্যে গত দক্ষিণ আফ্রিকার সব প্রদেশেই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.