চার দশকে এই প্রথম বাংলায় এত নির্বিঘ্নে ভোট: বিজয়বর্গীয়

প্রথম দফার ভোটে সন্তুষ্ট বিজেপি। অন্তত এরাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের কথাতেই তা পরিস্কার। প্রথম দফায় শনিবার রাজ্যের তিরিশটি কেন্দ্রে নির্বাচন। এদিন দুপুরেই বিজয়বর্গীয় বলেন, “৯০ শতাংশ বুথেই শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। গত ৬ বছরে এই প্রথম রিগিং কম হয়েছে।” তবে কোনও কোনও কেন্দ্রে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ এই বিজেপি নেতার। নির্বাচনের আগামী পর্বগুলিতে কমিশনকে আরও বেশি সচেষ্ট হতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

নির্বাচন চলাকালীন এদিন দুপুরেই কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের নেতৃত্বে এদিন নির্বাচন কমিশনে যায় বিজেপি প্রতিনিধি দল। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজয়বর্গীয় বলেন, “৯০ শতাংশ বুথেই শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। গত ৬ বছরে এই প্রথম রিগিং কম হয়েছে। এবার দ্বিতীয় দফার ভোটে ১০০ শতাংশ বুথেই যাতে নির্বিঘ্নে ভোট হয়, সেব্যাপারে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে উদ্যোগ নিতে বলেছি। গত চার দশকের মধ্যে এই প্রথম বাংলায় এত নির্বিঘ্নে ভোট হল।”

অন্যদিকে, তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এদিন বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তমলুকের বিজেপি নেতাকে ফোন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ফোন করে ভোটে সাহায্য চেয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তমলুকের বিজেপি নেতা প্রলয় পালের একটি কথোপকথন সম্প্রচার করা হয়। যদিও কলকাতা ২৪x৭ সেই কথোপকথনের সত্যতা যাচাই করেনি। সেই অডিও ক্লিপ ঘিরেই তুলকালাম রাজ্য রাজনীতিতে। শুভেন্দু অধিকারী জিতছেন আঁচ পেয়েই বিজেপি নেতাকে ফোন মমতার, দাবি গেরুয়া শিবিরের। বিজেপি নেতাকে নয়, দলের প্রাক্তন নেতাকে ফোন তৃণমূলনেত্রীর, পাল্টা দাবি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের।

এদিন সকালেই একটি অডিও ক্লিপ সম্প্রচারিত হয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। ফোনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনে তাঁর দলকে সাহায্য করতে আবেদন করছেন বিজেপি নেতাকে। এই অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। পরে সংবাদমাধ্যমে তমলুকের বিজেপি নেতা প্রলয় পাল বলেন, এতদিনে আমার কথা মনে পড়ল দিদির? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ফোন করেছিলেন। দিদিকে বলেছি আপনার দল আমাকে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দেননি। একজন নাগরিক হিসেবে যেটা পাওয়ার আমার অধিকার ছিল। আমি এখন আমার দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘতকতা করব না, ভবিষ্যতেও করব না। বিজেপির হয়েই কাজ করব। দিদি যাই বলুক না কেন শুভেন্দু অধিকারীর হয়েই লড়াই করছি, করব। বিধায়ক হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীকে নবান্নে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছি, সেটাই করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.