সুভাষ ভৌমিককের শোক কাটার আগেই ময়দানে ফের দুঃসংবাদ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি কিংবদন্তি ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত। জানা গিয়েছে, সোমবার এই প্রবাদপ্রতীম উইঙ্গারের অক্সিজেন স্যাচুরেশন নেমে গিয়েছিল ৮০-তে। তার পরেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রথমে মৃদু উপসর্গ ছিল সুরজিৎ সেনগুপ্তর। কিন্তু শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায়, কোনও ঝুঁকি না নিয়ে রবিবারই তাঁকে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আপাতত চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে প্রাক্তন তারকা ফুটবলারকে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
সোমবার সুরজিৎ সেনগুপ্তর ছেলে স্নিগ্ধদেব সেনগুপ্তের থেকে জানা গিয়েছে, শুরু থেকে খুবই কাশি হচ্ছিস। তবে এর বাইরে সে ভাবে উপসর্গ ছিল না। তবে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অক্সিজেন সাপোর্টে থাকার পর কিছুটা উন্নতি হয়েছে। অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে ৯২-এর কাছাকাছি হয়েছে।
তবে সুরজিৎ সেনগুপ্তর বাইপাস হয়ে গিয়েছে। হৃদযন্ত্রের পাশাপাশি সমস্যা রয়েছে ফুসফুসেও। যে কারণে কিছুটা উদ্বেগে রয়েছে সকলে। দীর্ঘ দিন কিডনির সমস্যায় ভুগতে থাকা সুভাষ ভৌমিকের শরীরেও শেষ সময়ে থাবা বসিয়েছিল করোনা। বয়সজনিত কারণে সুরজিৎ সেনগুপ্তকে নিয়েও তাই চিন্তায় রয়েছেন চিকিৎসকরা।
দেশের অন্যতম সেরা উইঙ্গার ছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। দুই প্রধানের হয়ে তিনি চুটিয়ে খেলেছেন। শোনা যায়, মোহনবাগান থেকে কার্যত ‘হাইজ্যাক’ করে তাঁকে সই করিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তার পর একেবারে লাল–হলুদের ঘরের ছেলে হয়ে উঠেছিলেন তিনি। নিদের দলকে বহু সাফল্যই দিয়েছেন। তবে ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর মাঠের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থাকলেও সাংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত হন। এবং সেই সূত্র ধরেই পুটবলের সঙ্গে তাঁক সম্পর্ক থেকেই যায়।
দলের বহু জয়ের নেপথ্য নায়ক হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সতীর্থরা পরবর্তীতে কোচ হলেও তিনি আর ময়দানমুখী হননি। তবে প্রিয় ক্লাবের খবরাখবর রাখতেন নিয়মিত। সেই দুর্দান্ত তারকা উইঙ্গারই অসুস্থ হয়ে এবার হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন সতীর্থরা।