মুখ্যমন্ত্রী আর বদলাবেন না, সময়ও নেই: রূপা

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাক্‌যুদ্ধ নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাতে আর বেশি সময় নেই বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিজেপির এই হেভিওয়েট নেত্রী। প্রায় মাস দেড়েক আগে রাজ্যপাল পদে জগদীপ ধনকড় আসীন হওয়ার পর থেকেই একের পর এক নানা বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মতানৈক্য দেখা দেয়।

এদিন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের অপমান করছেন বলে তোপ দাগেন রূপা। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী আর বদলাবেন না আর বদলানোর সময়ও নেই।’ মমতার মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে এই বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উনি আগের রাজ্যপালের সঙ্গেও একই ব্যবহার করতেন। এখন শুধু আর কয়েকটা বছরের অপেক্ষা।’

গতকালই রাজ্যপালের সঙ্গে বাক্‌যুদ্ধে জড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল নিজের এক্তিয়ারের বাইরে কাজ করছেন বলে বার বার অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। মঙ্গলবার, মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে জগদীপ ধনকড় বলেন, ‘ভারতীয় সংবিধানই আমাকে অধিকার দিয়েছে। আমি সেই কাজ টুকুই করছি। ভারতীয় সংবিধানের ১৬১ নম্বর ধারাকে রক্ষা করাই আমার প্রধান কর্তব্য। যতই বাধা আসুক আমি তা পালন করবই।’

রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন মমতাও। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না রাজ্যপাল আমার সঙ্গে এইরকম কেন ব্যবহার করছেন। আমি জানি ঠিক কোথা থেকে এই নির্দেশ আসছে। কিন্তু এইরকম পরিস্থিতি উনি কেন তৈরি করছেন? দেশের প্রধানমন্ত্রীও আমার সঙ্গে এইরকম ব্যবহার করেন না।’

রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাত বেশ কিছু দিন ধরে ক্রমশ বেড়েছে। ঘটনার সূত্রপাত অক্টোবর মাসে রাজ্যপালের উত্তরবঙ্গ সফরে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে। দার্জিলিং-এ গিয়ে বিডিও-দের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। এই ঘটনা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে শাসক দল। কিন্তু, এরপরেও শাসক দলের সঙ্গে একের পর এক সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। সম্প্রতি শান্তিনিকেতন থেকে ফেরার পথে সিঙ্গুরে গিয়েও বিডিও অফিস ঘুরে আসেন জগদীপ ধনকড়।

এই নিয়েও একাধিকবার সরব হয়েছে শাসকদল। রাজ্যপাল ‘অসাংবিধানিক’ কাজ করছেন বলেও তোপ দাগেন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা। কিন্তু, বরাবরই রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। বুধবার রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.