হাতে আর দু’দিন। তারপরেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর রাজ্যে স্কুল খুলে যাচ্ছে। তবে এটা শুধুমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। কিন্তু এই পড়ুয়াদেরও তো সুরক্ষা ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ করোনাভাইরাস তো এখনও খতম হয়ে যায়নি। নিয়ন্ত্রণে এসেছে বটে। তাই রাজ্যের পুলকার মালিকদের সংগঠনগুলিকে চিঠি পাঠাল রাজ্য সরকার। শনিবার সেই চিঠি তাঁরা হাতে পেয়েছে।
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, ‘আমরা পড়ুয়াদের সুরক্ষাতে সব ব্যবস্থাই রাখব। পঠনপাঠন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসুক এটা মুখ্যমন্ত্রী চান। তবে বাধ্যবাধকতা নেই। অভিভাবকরা পাঠাতে চাইলে পাঠাবেন। আর না পাঠালে উপস্থিতির হারে প্রভাব পড়বে না।’ পেশার তাগিদে পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে একটি দাবিপত্র দিয়েছিল পুলকার মালিকদের সংগঠন। আর গত ৩ নভেম্বর কলকাতা পুলিশের সঙ্গে পুলকার মালিকদের বৈঠক হয়। সেখানে গাড়িগুলির ‘ইলেট্রিক্যাল পার্ট’ ও ‘মেকানিক্যাল পার্ট’ ভাল রাখতে বলে পুলিশের পক্ষে থেকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এই বিষয়ে ‘পুলকার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’–এর সম্পাদক সুদীপ দত্ত বলেন, ‘চিঠিতে যে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুলকার চালানোর কথা বলা হয়েছে, আমরা তা মানার সব ব্যবস্থাই গাড়িতে রাখছি। কিন্তু পুলকার পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদেরও কিছু শর্ত রয়েছে। যা পরিবহণ দফতরকে জানিয়েছি।’ এখন এই দাবিদাওয়ার বেড়াজালে পড়ুয়াদের যেন সমস্যায় পড়তে না হয় সে কথা বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে মার্চ মাস থেকে গড়ায়নি পুলকারগুলির চাকা। কারণ একটাই—করোনাভাইরাস। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল স্কুলগুলি। বিকল্প হিসাবে উঠে আসে অনলাইন ক্লাস। এবার ১৬ তারিখ থেকে খুলছে স্কুল। চালু হয়ে যাবে অফলাইন ক্লাস। পড়ুয়াদের স্কুলে নিয়ে যাবে পুলকার। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে পঠনপাঠন। এটাই এখন প্রত্যাশা সকলের।