ফের একবার শক্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হল আকাশ মিসাইল। ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (DRDO) তৈরি এই মিসাইল আগেই ভারতীয় সেনার অস্ত্র হিসেবে সাফল্যের প্রমাণ দিয়েছে। তবে এবার পরীক্ষা করা হল একটি নতুন ভার্সান। নয়া এই মিসাইলের নাম ‘আকাশ প্রাইম’ (Akash Prime)। সোমবার বিকেলে ওডিশার (Odisha) চাঁদিপুর থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে এই মিসাইল। মাঝ আকাশে একটি টার্গেট তৈরি করে দেওয়া হয়। অনায়াসে সেই নিশানা ধ্বংস করে যোগ্যতার প্রমাণ দেয় আকাশ প্রাইম।
ঠিক যে ভাবে মাঝ আকাশে ধাওয়া করে শত্রুপক্ষের বিমান, তেমনই এক নকল নিশানা তৈরি করেছিল ডিআরডিও। প্রথমবার উৎক্ষেপণেই সেই নিশানা সহজেই ধ্বংস করেছে নয়া মিসাইল। নতুন এই মিসাইলে রয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অ্যাকটিভ রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি। যে প্রযুক্তি অন্যান্য আকাশ মিসাইলে নেই। ডিআরডিও-র তরফে জানানো হয়েছে যে, অনেক কম তাপমাত্রায় ও অধিক উচ্চতায় সহজেই কাজ করতে পারে আকাশ প্রাইম।
আকাশ মিসাইলের এই সাফল্যের জন্য ডিআরডিও-কে অভিনন্দন জানিয়েছে ভারতীয় সেনা, ভারতীয় বায়ুসেনা ও ডিফেন্স পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘আকাশ প্রাইম মিসাইলের সাফল্য প্রমাণ করে দিল যে ডিআরডিও বিশ্বমানের মিসাইল তৈরিতে সক্ষম। ডিআরডিও-র সেক্রেটারি জি সতীশ রেড্ডি ও সংস্থার চেয়ারম্যানও গবেষক টিমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
আকাশ মিসাইল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। গত জুলাই মাসেও একটি আকাশ মিসাইল পরীক্ষায় সফল হয় ভারত। ২০১৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্থলসেনা ও বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয় এই মিসাইল সিস্টেম। এটিও ব্রহ্মস মিসাইলের মতোই সুপারসনিক।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতেই ক্যাবিনেটের বৈঠকে ‘আকাশ’ মিসাইলের প্রযুক্তি অন্যান্য রফতনি করার ক্ষেত্রে শিলমোহর দেওয়া হয়। ২০২৫ সাল পর্যন্ত অস্ত্র রফতানি করে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৩৬ হাজার কোটি) আয়ের লক্ষমাত্রা স্থির করেছে সরকার। এখনও পর্যন্ত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যন্ত্রাংশ রফতানি করে ভারত। কিন্তু এবার আকাশ মিসাইল রপ্তানিতে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্র। চিনকে নজরে রেখে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়াকে আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের।