গদ্দারি যারা করেছিল তাদের হাওড়ায় ঢুকতে দেব না, নাম না করে রাজীবকে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল সাংসদ প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায়।

দলের একাংশের প্রবল আপত্তির পরও বহু কাটখড় পুড়িয়ে বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ত্রিপুরায় গিয়ে ঘাসফুল পতাকা তুলে নিয়েছেন ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক। দলের ফেরার পর এবার তাঁকেই নাম না করে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল সাংসদ প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায়।

হাওড়া সদরে এক বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে নাম না করে নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায়। দলে ফিরলেও হাওয়ায় ঢুকতে দেব না। সাফ হুঁশিয়ারি তৃণমূল সাংসদের। বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সহ ছিলেন প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে রাজীবের উদ্দেশ্য বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছেন তাই উনি দলে ফিরেছেন। কিন্তু তিনি তা মানতে পারেছেন না। পরক্ষোভাবে জানান, দলে ফিরলেও ডোমজুড় ও হাওড়ার মানুষ রাজীবকে ঢুকতে দেবেন না।

ওই অনুষ্টানে প্রসুন বলেন, ভোটের সময় যে যে পালিয়ে গিয়েছিলেন তারা হাওড়ায় ঢুকতে পারেবন না। হাওড়ায় ঢুকতে দেবে না। যত বড় না মাতব্বর হও। কষ্টের দিনে চলে গিয়েছিলে। সেদিন ভেবেছিলে দিদি হেরে যাবে। দিদি যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন দিদি থাকবে। কেউ হারাতে পারবে না। বাড়ি চলে গেলে, প্লেনে উড়ে গেলে। এখন হেরে গিয়ে দিদির ছবি নিয়ে ঘুরছ। এখানেই থেমে থাকেননি প্রসুন। রাজীবকে নিশানা করে বলেন, উনি আবার বলেছেন, ওকে সবাই ভুল বুঝিয়েছে। বুড়ো দামড়া, ভুল বুঝবেন কী করে!

এনিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ভোটের মুখে অনেকে দলের বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন ও বিশ্রীভাবে দল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু যারা বিভিন্ন প্রলোভন উপেক্ষা করে দলে থেকে গিয়েছিলেন তাদের একাংশের একটা ক্ষোভ বা অভিমান রয়েছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি কোনও না কোনও কারণে যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেন তাহলে তা মেনে নেন দলের সবাই। তাই অনেকের হয়তো আবেগ রয়েছে কিন্তু ক্ষোভ নেই। এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.