শিবরাত্রিতে পুজো করার বারণকে উপেক্ষা করলে রাগ মেটাতে নাবালিকাকে ধর্ষণ আসাদুলের বলে অভিযোগ কাঁকসায়

নির্ভয়ার খুনী (Nirvoya murderer) ও ধর্ষকরা আইনের ফাঁকে এখনো প্রাপ্য সাজা পেল না। হায়দ্রাবাদের (Hyderabad) নৃশংস কান্ডের পর যখন অপরাধীরা পুলিশের এনকাউন্টারে মারা যায়, তখন কিছু মানুষ মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুললেও পরে অন্য একটি নৃশংস ধর্ষণের ঘটনায় ওয়ানস মোর হায়দ্রাবাদ ধ্বনি উঠেছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকেই! কারণ ধর্ষণের জন্য আইন করা বা মোমবাতি মিছিল থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজের বিভিন্ন বিক্ষোভ ইত্যাদি চললেও ধর্ষণ কমা বা থামার নাম নেই, সারা দেশ জুড়েই। পিছিয়ে নেই আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গও। অতীতে এ রাজ্যের এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সরকারী কর্মীর নৃশংস ধর্ষণমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, এমনটা তো হতেই পারে! তারপরও বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ নিয়ে বিভিন্ন বিদগ্ধ জন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য শোনা গেছে ।

কিছুদিন আগে প্রকাশিত ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী মহিলাদের বিরুদ্ধে ঘটা অপরাধের ঘটনায় সবার উপরে উত্তরপ্রদেশ, তারপরেই মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গ। তবে এগুলো শুধুমাত্র নথিভুক্ত অপরাধ। হিমশৈলর নীচে কী আছে তা কল্পনা করাও কষ্টসাধ্য। সাম্প্রতিক অতীতেই এ রাজ্য সাক্ষী আছে বহু ধর্ষণের ঘটনার। তারমধ্যে বহু নাবালিকা আর শিশু ধর্ষণের ঘটনা। সেরকমই একটি ঘটনা আবার ঘটলো পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় ।

কাঁকসার বনকাটি পঞ্চায়েতের সাতকাহনিয়া গ্রামের ঘটনা। জানা গেছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাঁকসার (Kaksar) বনকাটি এলাকায় এক নাবালিকাকে জোর করে তুলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে আসাদুল মিয়া (Asadul Mia) নামের এক উনিশ বছরের ব্যক্তি। দাদার বাড়িতে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে আসাদুল ও তার দুই সঙ্গী। পরে তাঁকে সারারাত নৃশংসভাবে বেঁধে রেখে মারধর করে এমনকি ইঁট দিয়েও তাকে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ ।

বুধবার ওই নাবালিকার পরিবার কাঁকসা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগের ভিত্তিতে আসাদুল মিয়াকে (Asadul Mia) গ্রেপ্তার করে কাঁকসা থানার পুলিশ। নির্যাতিতার মায়ের দাবী বেশ কিছুদিন ধরেই রাস্তাঘাটে তাকে উত্যক্ত করছিল আসাদুল। মেয়েটি তার কুপ্রস্তাবে রাজী হয় নি। এরপরও নাকি অভিযুক্ত তাকে অভিযুক্তর কথা মতো চলতে এমনকি শিবরাত্রির দিন শিব পুজো করতেও বারণ করে। মেয়েটি সে কথা শোনেনি তো বটেই, তারপর আসাদুল তাকে ফোন করে শাসাতে থাকলে সে আসাদুলের নম্বর ফোনের ব্লক লিস্টে ফেলে দেয়। সেই রাগেই দুই সঙ্গীর সহযোগীতায় অপহরণের পরে এই নৃশংস কান্ড ঘটায় বলে দাবী নির্যাতিতার মায়ের। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত ও ধৃত আসাদুল মিয়াকে (Asadul Mia) দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.