বৃহস্পতিবার একপ্রস্ত বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল ফণীর জন্য স্কুল ছুটির নির্দেশিকা নিয়ে। দুপুরে নবান্নর জারি করা নির্দেশিকা নিয়ে শিক্ষকমহলে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। রাতে সেই ধোঁয়াশা কাটানোর জন্য আরও একটি সরকারি অর্ডার প্রকাশ করে রাজ্যের সচিবালয়। শুক্রবার ফের একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে। তাতেও কাটল না বিভ্রান্তি।
সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে শনিবার পর্যন্ত ফণীর জন্য ছুটি। এরপর আগামী সোমবার অর্থাৎ ৬ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত গরমের কারণে ছুটির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ছাত্র-শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী সবার ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশিকাটি টুইটও করেন। কিন্তু পরে আবার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ওটা ২০ মে পর্যন্ত নয়, ১৭ মে পর্যন্ত হবে।” তারপর যে নিয়মে গরমের ছুটি চলে সেই নিয়মেই ৩০ জুন পর্যন্ত তা চলবে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আবহাওয়ার কারণে সবার জন্য ছুটিটা কোন তারিখ পর্যন্ত? ১৭ মে না ২০ মে?

বৃহস্পতিবার প্রথমে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশিকায় বলা হয় ‘ক্লাস সাসপেন্ডেড।’ ফলে তৈরি হয় বিভ্রান্তি। শিক্ষকমহলের অনেকেই বলতে শুরু করেন, ক্লাস সাসপেন্ডেড মানে তো ছাত্রছাত্রীদের ছুটি। তাঁদের তো সেই যেতেই হবে। এরপর বিকেলে মৌখিক ভাবে ছুটির কথা বলা হলেও কোনও সরকারি অর্ডার (জিও) না প্রকাশিত হওয়ায় সেই বিভ্রান্তি রয়েই যায়। রাতে জিও প্রকাশ করে স্পষ্ট করে নবান্ন।
তবে ফণীর কারণে ছুটির ব্যাপারটি শুধুমাত্র প্রযোজ্য ছিল দক্ষিণ বঙ্গের আট জেলার জন্য। কিন্তু ৬ মে থেকে যে ছুটির কথা বলা হয়েছে, তা পুরো রাজ্যের স্কুল গুলির জন্যই প্রযোজ্য। গতকালও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়কে এর মধ্যে না যুক্ত করার জন্য যে ক্ষোভ ছিল, এ দিনও তা রয়ে গেল। শিক্ষামহলের অনেকেরই প্রশ্ন, কবে থেকে ছুটি, কবে পর্যন্ত ছুটি, কাদের ছুটি, এ ব্যাপারে সরকারকে কেন বারবার নতুন নতুন নির্দেশিকা জারি করতে হচ্ছে, কেনই বা তাঁদের বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে?