চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে সন্ত্রাসদমন ডিভিশনকে সরিয়ে লাদাখ ফ্রন্টে মোতায়েন ভারতীয় সেনার

চিনা বাহিনীকে রুখতে নর্দার্ন কম্যান্ডের আওতাধীন এলাকায় সন্ত্রাসবাদ দমন অভিযানে যুক্ত একাধিক ইউনিটকে তুলে এনে কয়েক মাস আগে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর মোতায়েন করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সরকারি সূত্রে সংবাদ সংস্থাকে বলা হয়েছে, ইউনিটগুলি সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ডিভিশনের। চিনের যে কোনও সম্ভাব্য আগ্রাসন মোকাবিলায় লাদাখ এলাকায় পাঠানো হয়েছে ডিভিশন আয়তনের (প্রায় ১৫ হাজার সেনা জওয়ান) বাহিনীকে, সন্ত্রাসবাদ দমন অপারেশন থেকে সরিয়ে এনে। এই পদক্ষেপ উত্তর সীমান্ত বরাবর অপারেশনের জন্য রিজার্ভ বাহিনী মজুত রাখতে সেনাবাহিনীকে সাহায্য করেছে। সুগার সেক্টরে মোতায়েন রিজার্ভ বাহিনী উঁচু পাহাড়ি এলাকায় যুদ্ধের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, প্রতি বছর লাদাখের শীতল মরুভূমি এলাকায় ওয়ার গেমস বা প্রশিক্ষণ চালায়। গত বছর থেকে তারা চিনের সঙ্গে সংঘাতে ব্যাপক ভাবে জড়িত। তবে সেনাবাহিনীও ডিভিশনকে ফরোয়ার্ড এলাকায় সরিয়ে নেওয়ায় তৈরি হওয়া ফাঁকফোকরগুলি ভরাট করেছে হাতে থাকা সম্পদ দিয়ে। ভারত পূর্ব লাদাখ সেক্টরে প্রায় ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে, বাহিনীর মাত্রা দ্বিগুণেরও বেশি করতে যা সাহায্য করেছে। চিনা আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে লে- র ১৪ কোরের অধীনে বর্তমানে দুটি ডিভিশন আছে, যারা কারু কেন্দ্রিক ৩ ডিভিশন সহ চিন সীমান্তের ওপর নজর রাখছে। কিছু বাড়তি সাঁজোয়া ইউনিট এলাকায় মোতায়েন কারা হয়েছে। গত বছর থেকে ওখানে ব্যাপক সেনা জমায়েত হচ্ছে।

গত বছর এপ্রিল-মে সময়সীমার মধ্যে চিনারা দ্রুত পূর্ব লাদাখের উল্টো দিকে এক মহড়া থেকে দ্রুত বাহিনীকে সরিয়ে নিয়ে এসে একাধিক লোকেশনে ভারতের ভূখন্ডে ঢুকিয়ে দেয়। পাল্টা ভারত সরকারও বড়সড় জবাবে চিনকে ঠেকিয়ে রাখতে সেখানে প্রায় সমসংখ্যক সেনা জওয়ান মোতায়েন করে। তবে অবনতি হতে হতে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে গত চার দশকের বেশি সময়ে প্রথম চিন সীমান্তে গুলি চলে। চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে অন্ততঃ ২০ ভারতীয় জওয়ান প্রাণ হারান। তবে গত বছরের ১৫ জুনের সংঘর্ষে চিনারা তাদের জওয়ান মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা গোপন করে গিয়েছে বলে নানা মহলের দাবি। কিন্তু তারপর থেকেই ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চরম সতর্ক রয়েছে, নিজেদের পজিশন আরও জোরদার করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.