আত্মরক্ষায় পাল্টা মারের নিদান দিয়ে কি অর্জুন সিং বেআইনি কথা বলেছেন? – যে কোন স্বাধীন দেশে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার আছে নিজের জীবন এবং সম্পদ বাঁচানোর, সেই প্রয়োজনে সে পালটা আঘাত হানলেও তা ভারতীয় আইনে কোন অপরাধ নয়

আত্মরক্ষায় পাল্টা মারের নিদান দিয়ে কি অর্জুন সিং বেআইনি কথা বলেছেন???? একজন আইনের ছাত্র হিসাবে খুব স্পষ্ট ভাবেই বলছি যে কোন স্বাধীন দেশে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার আছে নিজের জীবন এবং সম্পদ বাচানোর।আর সেই প্রয়োজনে সে পালটা আঘাত হানলেও তা ভারতীয় আইনে কোন অপরাধ নয়। Indian Penal Code এর সেকশান ৯৬ থেকে ১০৬ এটাই বলা আছে। IPC Section 96 to 106 of the penal code states the law relating to the right of private defence of person and property.
তাই অর্জুন সিং এর বক্তব্যকে পুর্ন সমর্থন করে পোস্ট পোলিং ভায়োলেন্সের কারনে যারা বাধ্য হয়েছেন ঘর ছেড়ে পালাতে বা যারা প্রহৃত হয়েছেন, সম্পত্তি বিনষ্ট হয়েছে তারা স্থানীয় বিজেপির কার্যকর্তাদের ঐক্যবদ্ধ করে আত্ম রক্ষায় সচেষ্ট হন।তবেই বাচবেন অন্যথায় পালিয়েই বেড়াতে হবে। অনর্থক অন্যকে আঘাত করার অধিকার ভারতীয় আইনে নেই বা সেটা অবশ্যই দন্ডনীয় অপরাধ। আগ বাড়িয়ে কাউকে আঘাত করতে যাবেন না কখনই কিন্তু আক্রান্ত হলে সেল্ফ ডিফেন্সের কারনে পালটা মার আইনের চোখে অপরাধ নয় বরং সেই অধিকার আইন দিয়েছে। বাড়িতে পরিবারের সব সদস্যদের সাহস অর্জন করতে বলুন।কেউ বাড়িতে আক্রমন করলে রান্না ঘরের বটি, চাষের যন্ত্রপাতি শাবল,দা,কুডুল এমন কি লাঠি, গরম জলের পাত্র নিয়ে রুখে দাড়ান।একবার মার খেয়ে পালালে দ্বিতীয়বার আক্রমনের সাহস করবে না।
বলবেন যে এই সব আক্রমনকারীরা বোমা পিস্তল নিয়ে আসলে ওই সব ঘরোয়া যন্ত্রপাতি দিয়ে তাদের রোখা অসম্ভব।বাড়িতে ডাকাত পড়লে তো তখন সেই সব সশস্ত্র ডাকাতদের সাথে এই সব ঘরোয়া কাজের জিনিস নিয়েই লড়াই করতে শুরু করেন। ডাকাতরাও সশস্ত্র হলেও দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে।তাই সমাজ বিরোধিদের ভয় না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে গন প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।আর যদি সেটা না পারেন তবে বিরোধি শক্তির কাছে হাড়ু গেড়ে বশ্যতা স্বীকার করে দুর্বল প্রানীর মত বাচুন।জেনে রাখবেন সাহসীরা মরে একবার আর ভীতু কাপুরুষের দল মরে বারংবার।
পরিশেষে একটা সতর্কতামুলক কথা মনে রাখবেন আত্ম রক্ষার জন্যে কোন বেআইনি অস্ত্র যোগাড়ের চেষ্টা বা যোগাড় করতে যাবেন না , সেটা কিন্তু আইনের চোখে অপরাধ আর পুলিসের হাতে ধরা পড়লে যথেষ্ট সমস্যায় পড়বেন।তার চেয়ে বেশ পরিবারের সব সদস্যদের জন্যে ওজনদার শক্তপোক্ত কুড়ুল, শাবল কামারশালা থেকে বানিয়ে ঘরে রাখুন গ্রামের বা মফঃস্বলের বাসিন্দা হলে,আর শহরের বাসিন্দা হলে হকি স্টিক,ধারালো বড় সাইজের বটি রাখুন ঘরে। রেল লাইনে যে কালো পাথর থাকে সেই রকম সাইজের পাথর বস্তায় করে ঘরে এনে রাখুন।আক্রান্ত হলেই বাড়ির ছাদ থেকে এলো পাথাড়ি ছুডুন দেখবেন আক্রমন কারীরা বোমা নিয়ে আসলেও পালাবে। এছাড়াও কেজি কেজি লংকার গুড়ো ঘরে মজুত রাখুন। সারা বাংলা জুড়ে যদি প্রতিরোধের চেষ্টা করেন দেখবেন পরিস্থিতি কত দ্রুত পালটায়। অনেক আক্রান্তরা ভাবছেন বিজেপির জেলা, রাজ্য এবনভ কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের জন্যে কিছু একটা করবেন।আচ্ছা তারা কি করতে পারেন, আক্রান্তদের বাড়ির সামনে বসে পাহারা দেবেন নাকি?? নাকি সেন্ট্রাল ফোর্স এলাকায় এলাকায় মোতায়েন করবেন বা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করাবেন? না এর কোনটাই সম্ভব নয়। নিজেদের সম্পদ এবং জান নিজেদেরই রক্ষা করতে হবে।বাম হার্মাদেরা যখন এই রাজ্যে বাম বিরোধিদের উপরে আক্রমন শানিয়েছিল তখন তৃনমুলের নেতার কি প্রটেকশান দিতে পেরেছিল!!!! স্মরন করুন সেই দিন বাম বিরোধিরা যেই ভাবে বাম হার্মাদদের প্রতিহত করে ছিল আজকেও আক্রান্তদের সেই ভাবেই প্রতিরোধে নামতে হবে,অন্যথায় ” ওরা মারছে গো” বলে নাকি কান্না কেদে লাভ নেই।
★ Written by
G.C Mandal

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.