প্রতিদিন সংবাদপত্রও একদিনের খেলার হার জিত কে “বাবরের দ্বিতীয় ভারত জয়” বলে নির্লজ্জ দালালি করতে পারে!

খেলা তে হার জিত থাকেই, কিন্তু সেই একদিনের জিত বা হার কি সাতশো আটশো বছরের দাসত্বের সাথে তুলনা হতে পারে কি কোনোভাবেই? একজন বিকৃতমনস্ক সন্ত্রাসীর ভারত দখল এবং বংশ পরম্পরায় আরোবীয় সন্ত্রাসের সাক্ষী সনাতন ভারতবাসী। মধ্যযুগীয় আরোবীয় বর্বরতা কি করে এতো গর্বের হতে পারে ভারতবাসীর কাছে? গুরু গ্রন্থ সাহেবের চতুর্থ স্তোত্রতে বাবরের অত্যাচারের বর্ননা রয়েছে। বাবরনামা তে উল্লেখ রয়েছে বাবর তার শাষনকালে উত্তর পশ্চিম ভারতে ইসলাম প্রসারের নামে অসংখ্য হিন্দু ও শিখ খুন ধর্মাবলম্বী খুন, নারী ধর্ষণ, মন্দির ধ্বংস ও সম্পত্তি লুঠপাট করেছিলো। বাবরের বিকৃতকামী মানসিকতা একটু ইন্টারনেট ঘাঁটলেই জানা যায়। জন্মসূত্রে তৈমুর ও চেঙ্গিস খাঁ এর সম্পর্কিত একজন বিদেশী বিকৃতকামী আক্রমণকারীর ভারত দখলকে “ভারত বিজয়” বলে উল্লেখ করা সেই সময়ে যে অসীম সাহসী শিখ ধর্মগুরুরা, যারা অত্যাচারে ভীত হয়ে ইসলাম গ্রহণ না করে অমানবিক অত্যাচার সহ্য করে বীরের মতোন প্রাণ দিয়েছিলেন, রানা সঙ্গ ও রানা প্রতাপের মতোন রাজপুত বীরদের বিরত্বের অপমান করা হয় না?
আসলে আমরা ইতিহাসকে বিশেষ করে ইসলামী মধ্যযুগকে ও ব্রিটিশ শাসনকালকে ব্রিটিশ ও সেকুলারি চশমাতে পড়ার ফলে চরম অন্ধকারময় দাসত্বও আমাদের কাছে এতো গৌরবের হয়ে গেছে। তাই একটি সংবাদপত্রও একদিনের খেলার হার জিত কে “বাবরের দ্বিতীয় ভারত জয়” বলে নির্লজ্জ দালালি করতে পারে। যে দেশে ইতিহাস ই বিকৃত পড়া হয় সেই দেশের দেশবাসীর মেরুদন্ড এমনি ভাঙা হয় যে দাসত্বের কলঙ্কিত সময়েও গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় মনে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.