তালিবানিদের গুলি খেয়েও আফগানিস্তানে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চোখ বুজে মালালা

নোবেল জয়ী মালালা ইউসুফজায়ী, যিনি এক সময় তাঁর অধিকারের জন্য তালিবানদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন, এমনকি তালিবানদের গুলিও খেয়েও ছিলেন, আফগানিস্তানের তালিবান মামলায় তিনি এখনও চুপ। গুলি খেয়েও বশ্যতা শিকার না করার অদম্য জেদ দেখে নিঃসন্দেহে তিনি তালিবানদের স্বৈরাচারীতার বিরুদ্ধে একটি পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু, বর্তমানে তালিবানদের কারণে আফগানিস্তানের ভয়াবহ পরিস্থিতির তাঁকে নির্বাক থাকতে দেখা গেল।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি আফগানিস্তানে তালিবানদের সন্ত্রাস ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তালিবানের কারণে আফগানিস্তানের প্রায় ১০টি প্রদেশের মধ্যে ইতিমধ্যে শুধুই হিংসা ও সন্ত্রাসের আবহাওয়া সঞ্চারিত। আফগানিস্তানের বিশৃঙ্খলা ও একাধিপত্য বিস্তারের জন্য তালিবানরা নির্বাচিত সরকারকে সরানোর জন্য অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং তালিবানদের এই ইচ্ছার প্রকাশই আফগানিস্তানে ত্রাসের সঞ্চার করছে। কিন্তু, এই পরিস্থিতি তালিবান সম্পর্কিত যে কোনো রকমের বয়ান থেকে তাঁকে বিরত থাকতে দেখা যাচ্ছে।প্রসঙ্গত, মালালা সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়, নিয়মিত টুইটারও ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু, তাঁর ওই টুইটার অ্যাকাউন্টে এখনও পর্যন্ত আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে কোনো রকমের পোস্টও দেখতে পাওয়া যায়নি। তাঁর ওই অ্যাকাউন্টে শেষ যে পোস্টটি রয়েছে সেটি ‘নিউজলেটার’ -এর একটি বুলেটিন নিয়ে। ওই পোস্টে ‘বিশ্বজুড়ে নারীদের আন্দোলন’ সম্পর্কে। উল্লেখ্য, এই টুইট আফগানিস্তানে তালিবানদের সক্রিয় হওয়ার মাস খানেকের মধ্যেই করা হয়েছে।

‘@মালালা আফগানিস্তান তালিবান’ (@Malala Afganistan Taliban) লিখে সার্চ করার পরেও মালালার তরফে ‘আফগানিস্তান’ বা তালিবান সম্পর্কিত টুইটই ‘সার্চ রেজাল্ট’ -এ এলো না। এহেন, আফগানিস্তানে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে একাধিপত্য প্রতিষ্ঠা করার স্বার্থে তালিবানের সন্ত্রাস পর্যবেক্ষণ করার পরেও তাঁর এই আচরণ তাঁর নীতি, সিদ্ধান্ত ও মূল্যবোধের ওপর নিশ্চিতরূপেই প্রশ্ন তুলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.