#প্রথমাংশ নীহাররঞ্জনকৃত উদ্ধৃতিতে ‘সদুক্তিকর্ণামৃতে’র একটি শ্লোকে গ্রাম্য লৌকিক দেবদেবীর পূজার একটি ভালো বিবরণ পাওয়া যায়– তৈস্তৈর্জীরোপহারৈগিরি কুহরশিলা সংশ্রয়ামর্চয়িত্বাদেবীং কান্তারদুর্গাং রুধিরমুপতরু ক্ষেত্রপালায় দত্বা।তুন্বীবীণা বিনোদ ব্যবহৃত সরকামহ্নি জীর্ণে পুরাণীংহালাং মালুরকৌষের্যুবতি সহচরা বর্বরাঃ শীলয়ন্তি।। অর্থাৎ :গ্রাম্য নানা অধিবাসীবৃন্দ নানা উপাচার উৎসর্গ দিয়া  কান্তারদুর্গার পূজা করে, গাছতলায় ক্ষেত্রপালের পূজা করে, এবং দিনের শেষে তাহাদের যুবতীRead More →

#পর্ব_৯ তিনি জয়দুর্গা, জগদ্ধাত্রী, গন্ধেশ্বরী, বনদুর্গা, চণ্ডী, নারায়ণী প্রভৃতি নামে ও রূপে পূজিতা। তিনিই অভয়ামঙ্গল বনদেবী যা ঋগ্বেদের দশম মন্ডলের অরণ্যানী স্তবের সাথে সম্পৃক্ত। চন্ডীমঙ্গলের কালকেতু-আখ্যানে তিনি দ্বিভূজা, তাঁর প্রতীক মঙ্গলঘট, পূজার উপচার মাঙ্গল্য ধানদূর্বা।তিনি পশুমাতারূপে পূজিতা।  ওঁ জয় ত্বং দেবি চামুণ্ডে জয় ভূতাপহারিণি। জয় সর্বগতে দেবি কালরাত্রি নমোঽস্তু তে।।  হে দেবী চামূণ্ডা, তোমার জয় হোক। হেRead More →

#পর্ব_৮ “তম আসীত্তমসা গূড়হমগ্রহপ্রকেতং সলিলং সর্বমা ইদম্। তুচ্ছ্যনাভ্বপিতিহং যদাসীত্তপসস্তম্মহিনাজায়তৈকম্।।ঋগ্বেদ- মন্ডল-১০/১২৯/৩“এই সমস্ত বিশ্বের সৃষ্টির পূর্বে সবই ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন,শুধুই অন্ধকার,অন্ধকারের চেয়েও যেন অন্ধকার। সেখানে তাপের সৃষ্টির মাধ্যমে সমস্ত উদ্ভূত হল…..”যচ্চ কিঞ্চিৎ ক্বচিৎ বস্তু সদঅসদ্বাখিলাত্মিকে।তস্য সর্বস্য ইয়া শক্তিঃ সা ত্বং কিং স্তুয়সে ময়া।।ইয়া ত্বয়া জগতস্রষ্টা জগৎ পাত্যত্তি ইয়ো জগৎ।সোহ্‌পি নিদ্রাবশং নীতঃ কস্ত্বাং স্তোতুংRead More →

#পর্ব_৫ আজ রণ-রঙ্গিণী জগৎমাতার দেখ্ মহারণ, দশদিকে তাঁর দশ হাতে বাজে দশ প্রহরণ! পদতলে লুটে মহিষাসুর, মহামাতা ঐ সিংস-বাহিনী জানায় আজিকে বিশ্ববাসীকে– শাশ্বত নহে দানব-শক্তি, পায়ে পিষে যায় শির পশুর! ‌‌’নাই দানব নাই অসুর,– চাইনে সুর, চাই মানব!’– বরাভয়-বাণী ঐ রে কার শুনি, নহে হৈ রৈ এবার! ওঠ্ রে ওঠ্,Read More →

#পর্ব_৪ হর্ষিত হয় বীরচন্দ্রপুরেরবাঁকারায়ের কাছে প্রদীপ জ্বালিয়ে।সোনার ছেলে তারাশঙ্কর বন্ধ্যোপাধ্যায়বাড়িয়েছে মোর সম্মানজয়দেববাবার গীতগোবিন্দতেচর্চিত দিনমান।তিলপাড়ার ওই জলকেলিতেহয় বড়ই উল্লসিতনন্দীকেশ্বরী নলহাটেশ্বরী কঙ্কালিতলায়আমি বড়ই সজ্জিত। যিনি যেভাবে পেরেছেন তিনি সেইভাবে বীরভূমকে ব্যাখ্যা করেছেন। বীরের দেশ বা ভূমি ….তাই সে বীরভূম। সাঁওতালি ভাষায় বির মানে জঙ্গলময় দেশ….তাই সে বীরভূম। গভীর অরন্য…তাই তাকেই তন্ত্রের জন্যRead More →

#পর্ব_৩ দুর্গে শিবেঽভয়ে মায়ে নারায়ণি সনাতনি । জয়ে মে মঙ্গলং দেহি নমস্তে সর্বমঙ্গলে ॥ দৈত্যনাশার্থবচনো দকারঃ পরিকীর্তিতঃ । উকারো বিঘ্ননাশার্থবাচকো বেদসম্মতঃ ॥ রেফো রোগঘ্নবচনো গশ্চ পাপঘ্নবাচকঃ । ভয়শত্রুঘ্নবচনশ্চাকারঃ পরিকীর্তিতঃ ॥ স্মৃত্যুক্তিস্মরণাদ্যস্যা এতে নশ্যন্তি নিশ্চিতম্ । অতো দুর্গা হরেঃ শক্তির্হরিণা পরিকীর্তিতা ॥ বিপত্তিবাচকো দুর্গশ্চাকারো নাশবাচকঃ । দুর্গং নশ্যতি য়া নিত্যং সাRead More →

আওগে জব তুম সাজনা অঙ্গনা ফুল খিলেঙ্গে….. বরসে গা শাওন, বরসে গা শাওন ঝুম ঝুম কে……………… দো দিল এয়সে মিলেঙ্গে…  সাম্প্রতিক কালের বিখ্যাত গান। বিখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী উস্তাদ রশিদ খাঁ য়ের   গাওয়া। গানটা অনেক পুরোনো গানের মত  দীর্ঘদিন আমাদের হৃদয় থেকে যাবে। যা হোক,  সেই উস্তাদ রশিদ খাঁয়ের আমন্ত্রণে আজ সকালেRead More →

#পর্ব_২ দুর্গা শিবা মহালক্ষ্মী-র্মহাগৌরী চ চন্ডীকা |সর্বজ্ঞা সর্বলোকেশী সর্বকর্মফলপ্রদা ||  || সর্বতীর্থময়ি পুণ্যা দেবযোনি-রযোনিজা |ভূমিজা নির্গুণাধারশক্তিশ্চানীশ্বরী তথা || || নির্গুণা নিরহংকারা সর্বগর্ববিমর্দিনী |সর্বলোকপ্রিয়া বাণী সর্ববিদ্যাধিদেবতা || || দুর্গাপট , বিষয়টি বেশ প্রাচীন। হম , আমরা যে সালে দাঁড়িয়ে , সেখান থেকে দেখলে সত্যই তা প্রাচীন।আদিত্য মুখপাধ্যায় দুর্গাপট প্রবন্ধে পট এইRead More →

#পর্ব_৬ গরিফা বহিয়া সাধু বায় ভাগীরথী করোতোয়া এড়াইয়া পাইল সরস্বতী।  ব্রহ্মপুত্র পদ্মাবতী যেই ঘাটে মেলা  বুড়া মন্তেশ্বর বায় বানিঞার বালা । উপনীত হইলো গিয়া নিমাঞি তীর্থের ঘাটে নিমের গাছেতে গুড় ফুল ফোটে।। মধ্যযুগে সমকালীন বাংলা সাহিত্যের বহির্বাণিজ্যের কথা। কাব্যের চিত্র লোকজীবন এবং মঙ্গলকাব্য গুলো প্রাচীন ঐতিহ্যের অনুসারী সামাজিক চিত্র ওRead More →

#পর্ব_১ ত্বং স্বাহা ত্বং স্বধা ত্বং হি বষট্‌কারঃ স্বরাত্মিকা।সুধা ত্বমক্ষরে নিত্যে ত্রিধা মাত্রাত্মিকা স্থিতা।।অর্ধমাত্রা স্থিতা নিত্যা যানুচ্চার্যা বিশেষতঃ।ত্বমেব সা ত্বং সাবিত্রী ত্বং দেবজননী পরা।।ত্বয়ৈব ধার্যতে সর্বং ত্বয়ৈতৎ সৃজ্যতে জগৎ।ত্বয়ৈতৎ পাল্যতে দেবি ত্বমৎস্যন্তে চ সর্বদা।।বিসৃষ্টৌ সৃষ্টিরূপা ত্বং স্থিতিরূপা চ পালনে।তথা সংহৃতিরূপান্তে জগতোঽস্য জগন্ময়ে।।  তুমি হোম, শ্রাদ্ধ ও যজ্ঞে প্রযুজ্য স্বাহা, স্বধাRead More →