#পর্ব_১ তপঃ সাধ্যায়নিরতং তপস্বী বান্ধিদাং বরম্।নারদং পরিপপ্রচ্ছ বাল্মীকিমুনিপুঙ্গবম্॥  অর্থাৎ, মহৰ্ষি বাল্মীকি তপোনিরত স্বাধ্যায়-সম্পন্ন বেদবিদদিগের অগ্রগণ্য মুনিবর নারদকে সম্বোধন করলেন। নারদের নিকট বাল্মীকির জিজ্ঞাস্য ছিল সম্প্রতিকালে লোকে সর্বগুণে বিভূষিত শ্রেষ্ঠ কে? উত্তরে নারদ রামের পরিচয় তথা জীবন বৃত্তান্ত শোনালেন। কথোপকথন শেষে নারদ বিদায় নিলে বাল্মীকি শিষ্য ভরদ্বাজকে সঙ্গে নিয়ে অবগাহনের উদ্দেশ্যেRead More →

পর্ব_২ হিমের রাতে ওই গগনের দীপগুলিরে হেমন্তিকা করল গোপন আঁচল ঘিরে॥ ঘরে ঘরে ডাক পাঠালো– “দীপালিকায় জ্বালাও আলো, জ্বালাও আলো, আপন আলো, সাজাও আলোয় ধরিত্রীরে।’ শূন্য এখন ফুলের বাগান,   দোয়েল কোকিল গাহে না গান, কাশ ঝরে যায় নদীর তীরে। যাক অবসাদ বিষাদ কালো,   দীপালিকায় জ্বালাও আলো– জ্বালাও আলো, আপন আলো,Read More →

পর্ব_১ হেমন্তিকা এসো এসো হিমেল শীতল বন-তলে শুভ্র পূজারিণী বেশে কুন্দ-করবী-মালা গলে।। প্রভাত শিশির নীরে নাহি’ এসো বলাকার তরণী বাহি’ সারস মরাল সাথে গাহি’ চরণ রাখি’ শতদলে।। ভরা নদীর কূলে কূলে চাহিছে সচকিতা চখি — মানস-সরোবর হ’তে-অলক -লক্ষ্মী এলো কি? আমন ধানের ক্ষেতে জাগে হিল্লোল তব অনুরাগে, তব চরণের রঙRead More →

#দ্বিতীয়াংশ শ্রী শ্রী চন্ডীতে রাজা সুরথমেধা ঋষির নিকট মহামায়া তত্ত্বব্যাখ্যা জানতে চাইলে সমগ্র চণ্ডীপুস্তকটির কাহিনির অবতারণা করা হয়। এই গ্রন্থে মোট আটবার মহামায়ার উল্লেখ করা হয়েছে।ত্বয়ৈব ধার্য্যতে সৰ্ব্বং ত্বয়ৈতৎ স্বজাতে জগৎ । ত্বয়ৈতং পালাতে দেবি ত্বমৎস্তম্ভেচ সৰ্ব্বদা ॥বিস্তষ্ট্রে স্বষ্টিরূপ ত্বং স্থিতিরূপাচ পালনে । তথা সংহতিরূপাহন্তে জগতোহস্য জগন্ময়ে|।মহাবিদ্যা মহামায়া মহামেধা মহাস্মৃতিঃ । মহামোহাচ ভবতী মহাদেবী মহাস্থরী ॥  প্রকৃতিস্তৃঞ্চRead More →

#প্রথমাংশ নীহাররঞ্জনকৃত উদ্ধৃতিতে ‘সদুক্তিকর্ণামৃতে’র একটি শ্লোকে গ্রাম্য লৌকিক দেবদেবীর পূজার একটি ভালো বিবরণ পাওয়া যায়– তৈস্তৈর্জীরোপহারৈগিরি কুহরশিলা সংশ্রয়ামর্চয়িত্বাদেবীং কান্তারদুর্গাং রুধিরমুপতরু ক্ষেত্রপালায় দত্বা।তুন্বীবীণা বিনোদ ব্যবহৃত সরকামহ্নি জীর্ণে পুরাণীংহালাং মালুরকৌষের্যুবতি সহচরা বর্বরাঃ শীলয়ন্তি।। অর্থাৎ :গ্রাম্য নানা অধিবাসীবৃন্দ নানা উপাচার উৎসর্গ দিয়া  কান্তারদুর্গার পূজা করে, গাছতলায় ক্ষেত্রপালের পূজা করে, এবং দিনের শেষে তাহাদের যুবতীRead More →

#পর্ব_৯ তিনি জয়দুর্গা, জগদ্ধাত্রী, গন্ধেশ্বরী, বনদুর্গা, চণ্ডী, নারায়ণী প্রভৃতি নামে ও রূপে পূজিতা। তিনিই অভয়ামঙ্গল বনদেবী যা ঋগ্বেদের দশম মন্ডলের অরণ্যানী স্তবের সাথে সম্পৃক্ত। চন্ডীমঙ্গলের কালকেতু-আখ্যানে তিনি দ্বিভূজা, তাঁর প্রতীক মঙ্গলঘট, পূজার উপচার মাঙ্গল্য ধানদূর্বা।তিনি পশুমাতারূপে পূজিতা।  ওঁ জয় ত্বং দেবি চামুণ্ডে জয় ভূতাপহারিণি। জয় সর্বগতে দেবি কালরাত্রি নমোঽস্তু তে।।  হে দেবী চামূণ্ডা, তোমার জয় হোক। হেRead More →

#পর্ব_৮ “তম আসীত্তমসা গূড়হমগ্রহপ্রকেতং সলিলং সর্বমা ইদম্। তুচ্ছ্যনাভ্বপিতিহং যদাসীত্তপসস্তম্মহিনাজায়তৈকম্।।ঋগ্বেদ- মন্ডল-১০/১২৯/৩“এই সমস্ত বিশ্বের সৃষ্টির পূর্বে সবই ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন,শুধুই অন্ধকার,অন্ধকারের চেয়েও যেন অন্ধকার। সেখানে তাপের সৃষ্টির মাধ্যমে সমস্ত উদ্ভূত হল…..”যচ্চ কিঞ্চিৎ ক্বচিৎ বস্তু সদঅসদ্বাখিলাত্মিকে।তস্য সর্বস্য ইয়া শক্তিঃ সা ত্বং কিং স্তুয়সে ময়া।।ইয়া ত্বয়া জগতস্রষ্টা জগৎ পাত্যত্তি ইয়ো জগৎ।সোহ্‌পি নিদ্রাবশং নীতঃ কস্ত্বাং স্তোতুংRead More →

#পর্ব_৫ আজ রণ-রঙ্গিণী জগৎমাতার দেখ্ মহারণ, দশদিকে তাঁর দশ হাতে বাজে দশ প্রহরণ! পদতলে লুটে মহিষাসুর, মহামাতা ঐ সিংস-বাহিনী জানায় আজিকে বিশ্ববাসীকে– শাশ্বত নহে দানব-শক্তি, পায়ে পিষে যায় শির পশুর! ‌‌’নাই দানব নাই অসুর,– চাইনে সুর, চাই মানব!’– বরাভয়-বাণী ঐ রে কার শুনি, নহে হৈ রৈ এবার! ওঠ্ রে ওঠ্,Read More →

#পর্ব_৪ হর্ষিত হয় বীরচন্দ্রপুরেরবাঁকারায়ের কাছে প্রদীপ জ্বালিয়ে।সোনার ছেলে তারাশঙ্কর বন্ধ্যোপাধ্যায়বাড়িয়েছে মোর সম্মানজয়দেববাবার গীতগোবিন্দতেচর্চিত দিনমান।তিলপাড়ার ওই জলকেলিতেহয় বড়ই উল্লসিতনন্দীকেশ্বরী নলহাটেশ্বরী কঙ্কালিতলায়আমি বড়ই সজ্জিত। যিনি যেভাবে পেরেছেন তিনি সেইভাবে বীরভূমকে ব্যাখ্যা করেছেন। বীরের দেশ বা ভূমি ….তাই সে বীরভূম। সাঁওতালি ভাষায় বির মানে জঙ্গলময় দেশ….তাই সে বীরভূম। গভীর অরন্য…তাই তাকেই তন্ত্রের জন্যRead More →

#পর্ব_৩ দুর্গে শিবেঽভয়ে মায়ে নারায়ণি সনাতনি । জয়ে মে মঙ্গলং দেহি নমস্তে সর্বমঙ্গলে ॥ দৈত্যনাশার্থবচনো দকারঃ পরিকীর্তিতঃ । উকারো বিঘ্ননাশার্থবাচকো বেদসম্মতঃ ॥ রেফো রোগঘ্নবচনো গশ্চ পাপঘ্নবাচকঃ । ভয়শত্রুঘ্নবচনশ্চাকারঃ পরিকীর্তিতঃ ॥ স্মৃত্যুক্তিস্মরণাদ্যস্যা এতে নশ্যন্তি নিশ্চিতম্ । অতো দুর্গা হরেঃ শক্তির্হরিণা পরিকীর্তিতা ॥ বিপত্তিবাচকো দুর্গশ্চাকারো নাশবাচকঃ । দুর্গং নশ্যতি য়া নিত্যং সাRead More →