বুধবার রাম মন্দির নির্মাণের ভূমি পুজো অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে দু’দিন ধরে অযোধ্যা জুড়ে চলছে উৎসব, অনুষ্ঠান। ইতিমধ্যে অতিথিদের আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো শুরু হয়েছে। আমন্ত্রণপত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ তিনজনের নাম লেখা রয়েছে। অন্যদিকে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে আমন্ত্রিতদের তালিকা ছোট করা হয়েছে।
ভূমি পুজোর অনুষ্ঠান মঞ্চে ৫ জন অতিথি উপস্থিত থাকবেন। তাঁরা হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং মহন্ত নৃত্যগোপাল দাস।
আমন্ত্রণপত্রে রামলালা ও ভগবান রামের বাল্য ছবি রাখা হয়েছে। প্রতিটি আমন্ত্রণপত্রে রয়েছে একটি নিরাপত্তা কোড রয়েছে। যা কেবলমাত্র একবারই ব্যবহার করা যাবে। যদি কোনও অতিথি অনুষ্ঠান ছেড়ে একবার বেরিয়ে যান, তাহলে তিনি আর পুনরায় ঢুকতে পারবেন না। রাম মন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই বলেন, দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হতে চলেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য অতিথির তালিকা দীর্ঘ করা হয়নি। আমরা এখনও পর্যন্ত ১৭৫ জনের কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছি। আমন্ত্রিতদের মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছেন অযোধ্যার বাসিন্দা। এ ছাড়া অযোধ্যা মামলার অন্যতম মুসলিম আইনজীবী ইকবাল আনসারী ও ১০ হাজার মৃতদেহ সৎকার করে পদ্মশ্রী প্রাপক মহম্মদ শরীফকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
রাম মন্দির আন্দোলনের অন্যতম মহারথী লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর জোশীর ও উমা ভারতী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে না বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, আডবাণী ও জোশীকে ফোন করে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির জন্য তাঁদেরকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশগ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে উমা ভারতী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তার কথা ভেবে এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে তিনি অনুষ্ঠানের সময় উপস্থিত থাকবেন না। তবে অনুষ্ঠান শেষে সবাই চলে গেলে, তিনি রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তরে প্রণাম করতে যাবেন।
অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। এ প্রসঙ্গে চম্পক রাই বলেন, “কোভিড পরিস্থিতির জন্য আমাদেরকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। তাই সবাইকে আমন্ত্রণ জানাতে পারিনি। তবে রাম মন্দির আন্দোলনের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদেরকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে ক্ষমা চেয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “অনেকের বয়সও হয়েছে। যেমন আডবাণীজি ৯১ বছর বয়সে কীভাবে আসবেন এখানে? তাই আমরা প্রস্তুতি নিয়ে অতিথিদের তালিকা তৈরি করেছি।” কোনও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার সময় কারো খারাপ লাগা উচিত নয়। কাউকে উত্যক্ত করা উচিত নয়। মুসলিম আইনজীবীকে আমন্ত্রণ জানানো প্রসঙ্গে এ কথা বলেন চম্পত রাই।