প্রায় দেড়মাস লকডাউনে থাকার পরও দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা (Corona) আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। লকডাউনের পরও সংক্রমণের এই গতি চিন্তায় রাখছে আইসিএমআরকে (Indian Council for Medical Research)। আশঙ্কা করা হচ্ছে গোষ্ঠী সংক্রমণের। সুত্রের খবর, এই আশঙ্কা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নির্ধারণ করতে এবার ৭৫টি জেলায় সমীক্ষা শুরু করছে আইসিএমআর।
আইসিএমআর সুত্রের খবর, এই ৭৫টি জেলায় সংক্রমণের হার এবং ধরন বুঝতে ঘন ঘন র্যাপিড টেস্ট করা হবে। যাঁদের শরীরে সংক্রমণের কোনও লক্ষণ নেই তাঁদেরও র্যাপিড টেস্ট করা হবে। এবং এই ৭৫টি জেলা কোনও জোন ভিত্তিতে বাছা হবে না। রেড, অরেঞ্জ, গ্রিন তিন জোন থেকেই বেছে নেওয়া হবে জেলাগুলি। মূলত যে সমস্ত জেলার জনঘনত্ব বেশি এবং যে সমস্ত জেলাগুলির উপর দিয়ে আন্তঃরাজ্য পরিবহণ বেশি হয়, সেই জেলাগুলিকে বেছে নেওয়া হবে এই র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টের জন্য।
সুত্রের খবর আইসিএমআর চাইছে, লক্ষনহীণ করোনা আক্রান্তদের খুঁজে বের করতে। এবং সেজন্যেই র্যাপিড কিটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি আছে কিনা, সেটা পরীক্ষা করে দেখা হবে। কারও শরীরে অ্যান্টিবডি থাকা মানে করোনার লক্ষণ না পাওয়া গেলেও তিনি হয়তো কোনও সময় সংক্রমিত ছিলেন। তাঁর শরীরের অনাক্রম্যতা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে জিতে গিয়েছে। এবং ওই ব্যাক্তি হয়তো বুঝতেও পারেননি। এ প্রসঙ্গে আইসিএমআরের এক আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআই’কে জানিয়েছেন,”এই অ্যান্টিবডির উপস্থিতি প্রমাণ করবে ওই ব্যাক্তি কোনও একসময় আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু শরীরে কোনও লক্ষণ না থাকায় তিনি বুঝতে পারেননি।” আরেক আধিকারিক জানিয়েছেন, “ঠিক কত নমুনা সংগ্রহ করা হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে, যদি সঠিক পরিমাণ নমুনা সংগ্রহ করা হয় তাহলে এই সমীক্ষা সত্যিই যুক্তিযুক্ত।”
এভাবে অ্যান্টিবডি টেস্টের (Antibody test) মাধ্যমে আইসিএমআর বুঝে নিতে চাইছে, কোনও আক্রান্তের সংস্পর্শে না আসা সত্বেও কেউ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন কিনা। কোনও আক্রান্তের সংস্পর্শে না আসা সত্বেও বহু মানুষ যদি সংক্রমিত হয়ে থাকেন, তাহলে বুঝতে হবে গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। উল্লেখ্য, এই ধরনের পরীক্ষা অনেক আগেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চিনের টেস্টিং কিটগুলি ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।