কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে, পার্টি ফান্ডের জন্য টাকা – বললেন অভিযুক্ত

‘সবার ঘর’ প্রকল্প থেকে দু’বারে ৮০ হাজার টাকা চাওয়ার অভিযোগ

ডায়রেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারের সুবিধা চালু হওয়ার পরেও রেহাই নেই উপভোক্তাদের। অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকলেই মোটা টাকা দিতে হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় ফান্ডে – মহকুমাশাসকের কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন ‘সবার ঘর’ প্রকল্পের এক উপভোক্তা। যে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি জানিয়েছেন তাঁর সাফাই – নিজের জন্য নয়, পার্টির ফান্ডে তিরিশ হাজার টাকা তিনি দিতে বলেছিলেন।

ডোমকলের মহকুমাশাসককে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন হিতানপুরের বাসিন্দা মুসলিমা খাতুন। তাঁর বাবা মুনসের মণ্ডল প্রয়াত।

মুসলিমার মা তানজিলা বেওয়াকে গৃহ প্রকল্প করে দেওয়ার নামে ইতিমধ্যেই পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসাদুল ইসলাম, ফের তিনি তিরিশ হাজার টাকা চাইছেন – অভিযোগ মুসলিমার।

আসাদুল ইসলাম বলেন, “তিন মেয়েকে রেখে ওঁর (তানজিলা) স্বামী মারা গিয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম যে দুঃখ করো না, আমি ঘর দেব। আমি ওঁকে ঘর দিই। ঘর দেওয়ার পরে ওর কাছ থেকে আমি টাকা নেব কেন? আমি ওঁর থেকে কোনও টাকা নিইনি। যদি টাকা নিয়ে থাকি তা হলে যে শাস্তি দেবে সেই শাস্তি নেব।”

অভিযোগ, তাঁর ফোনকল রেকর্ড করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে আসাদুল বলেন, “আমাকে বলা হয়েছিল ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। আমি বলেছিলাম, পার্টি ফান্ডে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা। তবে সেই টাকা আমি নিইনি। কাউকে কোনও হুমকিও দিইনি।” ফোনে ওই গলা যে তাঁরই সে কথা অবশ্য স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর।

লিখিত অভিযোগ প্রসঙ্গে আসাদুল বলেন, “ওরা সিপিএম করত তাই গ্রামের লোকজন প্রথম থেকেই ওদের ঘর না দেওয়ার কথা বলেছিল, কারণ ওরা ভোট দেবে না। তবুও ওদের আর্থিক অবস্থা দেখে ওদের ঘর দিয়েছিলাম কিন্তু এখন ওরা থানায় অভিযোগ করছে।”

ডোমকলের পুরপ্রধান জাফিকুর ইসলাম বলেন, “আসাদুল তেমন মানুষ নন যে টাকা চাইবেন বা হুমকি দেবেন। উনি কংগ্রেসের হয়ে ভোটে জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আমার মনে হয় এটি কংগ্রেস ও সিপিএমের চক্রান্ত। আমি এব্যাপারে কোনও অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে নিশ্চয়ই তা খতিয়ে দেখব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.