ইজ়রায়েল-ইরান যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। চলছে মুহুর্মুহু ঘাত-প্রতিঘাত। এরই মাঝে দেশে ফেরার অপেক্ষা আরও বাড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির যুবক অনিরুদ্ধ বেরার। রবিবার দেশে ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু রবিবারও ফেরার কোনও ব্যবস্থা হল না। অপেক্ষায় এবং দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাঁর বাবা-মায়েরও।
অনিরুদ্ধ জানিয়েছেন, রবিবার ইজ়রায়েল থেকে দেশে ফেরার জন্য তাঁর অনেক বন্ধু রওনা দিলেও অনিরুদ্ধের নাম সেই তালিকায় ছিল না। অনিরুদ্ধ ফোন করে সেই খবর তাঁর বাবা অসীম বেরা এবং মা রাখি বেরাকে জানান। ওই খবর পেয়ে অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক বেশ চিন্তায় রয়েছেন। তিনি বলেন, “রবিবার ইজ়রায়েলের স্থানীয় সময় সকাল ৬টা নাগাদ বাস যেখান থেকে ছেড়েছিল সেখানে গিয়েছিল ছেলে। কিন্তু তার আজ বাসে ওঠার অনুমতি ছিল না। ওর অনেক বন্ধু ফিরে আসছে। সকাল থেকে বেশ কয়েক বার কথা হয়েছে ছেলের সঙ্গে। মঙ্গলবারের আগে কোন ব্যবস্থা হবে না। আমাদের আবেদন প্রশাসন ও সরকার যেন ব্যবস্থা নেয় আমার ছেলেকে দেশে ফেরানোর জন্য। অনিরুদ্ধের বাবা আরও বলেন, “শালবনি থানা থেকে ফোন করে ছেলের সম্বন্ধে খোঁজ খবর নিয়েছিল। আশা করছি সামনের সপ্তাহে দেশে ফিরবে ছেলে।”
অনিরুদ্ধ ফোনে বলেন, “আমি অপেক্ষা করছি, অপারেশন সিন্ধুতে নাম নথিভুক্তও করে রেখেছি। প্রশাসনের তরফে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করেছে।”
প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি ব্লকের ভাউদি গ্রামের বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান অনিরুদ্ধ ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যানসার বায়োফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁর বাবা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। একমাত্র ছেলের বাড়ি ফেরার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বাবা, মা-সহ পরিবারের সকলে।