বিভিন্ন নির্বাচনে বিজেপির বিপুল খরচের বহর দেখে অবাক হন অনেকেই। এত টাকার উৎস কী? কারাই বা বিজেপিকে অত খরচের জন্য অনুদান দিলেন? এসব প্রশ্নের জবাব মিলল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসের দেওয়া পরিসংখ্যানে। ADR-এর দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, করোনা মোকাবিলায় মোদি সরকারের ভূমিকা নিয়ে যতই প্রশ্ন তোলা হোক না কেন, যতই বলা হোক না কেন Coronavirus অতিমারীর ধাক্কায় প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা কমেছে। দেশের কর্পোরেটরা এখনও বিজেপিতেই ভরসা রাখছেন। ADR রিপোর্ট বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ইলেক্টোরাল ট্রাস্টের মাধ্যমে হওয়া মোট অনুদানের ৭৬ শতাংশই গিয়েছে গেরুয়া শিবিরে। কংগ্রেসের হাতে গিয়েছে মাত্র ১৬ শতাংশ।
ADR রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে মোট ২১টি রেজিস্টার্ড ট্রাস্টের মধ্যে ৭টি আয়-ব্যয়ের হিসেব দিয়েছে। এই ট্রাস্টগুলি রাজনৈতিক দলগুলির চাঁদা বাবদ মোট বিনিয়োগ করেছে ৩৬৩.৫২ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু বিজেপিই পেয়েছে ২৭৬.৪৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৭৬.১৭ শতাংশ। BJP’র তুলনায় কংগ্রেসের প্রাপ্ত অনুদান অনেক কম। তারা পেয়েছে ৫৮ কোটি টাকা। যা মোট অনুদানের মাত্র ১৫.৯৮ শতাংশ। তালিকায় তৃতীয় স্থানে আম আদমি পার্টি। তারা অনুদান পেয়েছে ১১.২৭ কোটি টাকার। অনুদানকারীদের মধ্যে সবার উপরে আছে JSW স্টিল, Apollo টায়ারের মতো সংস্থাগুলির ট্রাস্ট।
[আরও পড়ুন: ‘রসিকতা করেছিলাম’, আদালতে ‘সব মোদিই চোর’ মন্তব্যের সাফাই দিলেন রাহুল]
আসলে, ২০১৪ সালের পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমুল বদলে গিয়েছে। একটা সময় গোটা দেশে যে কংগ্রেস অপ্রতিরোধ্য ছিল, তারাই এখন প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়ে গিয়েছে। সাত বছর কেন্দ্রে ক্ষমতায় নেই। রাজ্যগুলিতেও একের পর এক ক্ষমতা হারিয়েছে দল। স্বাভাবিকভাবেই কমছে দলের তহবিলে জমা পড়া চাঁদার পরিমাণও। তাছাড়া, রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ক্রমাগত কর্পোরেটদের আক্রমণও কংগ্রেসের জন্য গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো হয়েছে। কর্পোরেট চাঁদার পরিমাণ এই মুহূর্তে তলানিতে। অন্যদিকে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই কর্পোরেটদের সঙ্গে সখ্য তৈরি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। যার সুফল এখনও পাচ্ছে বিজেপি।