জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা শুনে সুকুমার রায়ের একটি কবিতা স্মরণে আসছে। “ভয় পেয়ো না, ভয় পেয়ো না, তোমায় আমি মারব না।” শনিবার সন্ধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই বোঝাতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন,”এসমা জারি করতে চাই না। গুজরাটে নরেন্দ্র মোদীর জমানায় ১৫০ জন ডাক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আমি চাই, শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক। সব দাবি পূরণ করেছি”। মু্খ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ”অন্যান্য রাজ্য কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে অন্য ব্যবস্থা নেয়। ওড়িশা, দিল্লি, গুজরাত, রাজস্থান— সর্বত্র এসমা জারি করা হয়েছে এর আগে। মানবিকতায় বিশ্বাস করি বলে এসমা করিনি। রেজিস্ট্রেশন বাতিল করিনি। কারও কারও প্ররোচনায় ছাত্রছাত্রীরা আসছেন না হয়তো।
গতকাল আসব বলে আজ সিদ্ধান্ত বাতিল করলেন কেন?বললেন, ”আমরা এখানে এসমা জারি করতে চাই না। কিন্তু ডাক্তাররা তাড়াতাড়ি কাজে যোগ দিন। আমাদের হাতে আইন আছে। কিন্তু প্রয়োগ করতে চাই না। কারও কেরিয়ার নষ্ট করতে চাই না।” মমতার দাবি, ”স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে কাজে যোগ দেওয়ার লোক আছে। যারা কাজ শুরু করতে চায়, করুক। সকলে এরপর একে একে করবে। বাঁধ ভাঙবে।”
বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের গণ ইস্তফার প্রসঙ্গ উঠলে তা উড়িয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আইনত এই গণ ইস্তফার কোনও মূল্য নেই। আমরা অপেক্ষা করছি ওরা আলোচনায় আসবেন। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সম্মান জানানো উচিত।”
চাইলে তিনি কি কি করতে পারেন তা প্রায় সবকিছুই এদিন নবান্নে বসে বলে দেন মমতা। আবার এটাও বললেন, চাইলেই তিনি করতে পারতেন অনেক কিছু। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই তা করছেন না। এদিন তিনি বলেন, ”আমরা এখানে এসমা জারি করতে চাই না। কিন্তু ডাক্তাররা তাড়াতাড়ি কাজে যোগ দিন। আমাদের হাতে আইন আছে। কিন্তু প্রয়োগ করতে চাই না। কারও কেরিয়ার নষ্ট করতে চাই না।” মমতার আরও দাবি, ”স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে কাজে যোগ দেওয়ার লোক আছে। যারা কাজ শুরু করতে চায়, করুক। সকলে এরপর একে একে করবে। বাঁধ ভাঙবে।”
এমনকি, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের গণ ইস্তফার প্রসঙ্গ উড়িয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আইনত এই গণ ইস্তফার কোনও মূল্য নেই। আমরা অপেক্ষা করছি ওরা আলোচনায় আসবেন। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সম্মান জানানো উচিত।” ভাবখানা এমন, যেন, “তোমায় আমি কামড়ে দেব। মিথ্যে অমন ভয় পেলে।” কিন্তু এমন চাপা হুমকি সত্ত্বেও জুনিয়র ডাক্তাররা যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মাথা ঝোকাতে নারাজ।