দক্ষিণের চার আসনে আসল ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট দিলে দ্বিতীয় দফায় বিজেপি অন্ততঃ ২৫

আগামীকাল নির্বাচন আরও তিরিশটি বিধানসভা আসনে। হাই-ভোল্টেজ নির্বাচন—কারণ ভোট হতে চলেছে নন্দীগ্রাম, কেশপুরের মত আসনে এবং ভোট শুরু হবে বিপজ্জনক দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়। নন্দীগ্রামসহ পূর্ব মেদিনীপুরের নয়টি আসনে, পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়টি, বাঁকুড়ার আটটি এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার চারটি আসনে নির্বাচনের পর আগামীকাল এবারের মত শেষ হবে দুই মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া জেলার নির্বাচন। কি হতে চলেছে? প্রথম দফার চাইতে অধিক সংঘাতপূর্ণ ও অশান্তিসঙ্কুল হবে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন—এমন আন্দাজ যুক্তিযুক্ত। আশঙ্কা শুধু নন্দীগ্রামের ভোট নিয়ে নয়, ভোট হতে চলেছে কেশপুরে এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার গোসাবা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা ও সাগর বিধানসভা কেন্দ্রে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর আসনটি চিরকালই এ রাজ্যে ক্ষমতার রাজনীতির একটি ল্যাণ্ডমার্ক। কেশপুর সাধারণতঃ শাসকের রক্তচক্ষুর প্রতীক এবং সততই শাসক-অনুগত। ২০১১য় যখন অন্য প্রায় সব আসনেই হেরেছিল সিপিএম, কেশপুর জিতিয়েছিল তাদের এবং পাল্টি খেয়েছিল ক্ষমতার পূর্ণ হাতবদলের পর, ২০১৬য়। ২০১৬’র বিধানসভা নির্বাচনে ও ২০১৯ এর লোকসভায় কেশপুরের মোট ভোটের যথাক্রমে ৭১% ও ৬৯% শতাংশ পড়েছিল তৃণমূলের পক্ষে। অতএব ধরা যেতে পারে কেশপুর এবারও থাকবে তৃণমূলের পক্ষে। কিন্তু ভোটের দিন এমত শাসক-অনুগত নির্বাচনী বিহেভিয়ারের অন্যথা হচ্ছে বলে মনে হতে আরম্ভ করলে সংঘাত বাঁধার আশঙ্কা। তাই নন্দীগ্রাম ছাড়াও চোখ থাকবে কেশপুরে। বস্তুতঃ ২০১৯ এর লোকসভায় কেশপুরে বিজেপির পক্ষে ভোট পড়েছিল ২২%. সেই শতাংশ যদি এবার আরও কিছু বৃদ্ধি পায়, তখন নির্বাচন কমিশনকে সাহসী পদক্ষেপ নিতে হতে পারে।

সামান্য কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া প্রথম দফায় মূলতঃ হত্যাহীন নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ্। কিন্তু দ্বিতীয় দফার ভোটে কমিশনকে হয়ত মুখোমুখি হতে হবে আরও কড়া চ্যালেঞ্জের। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আশা করার পাশাপাশি ভয়ঙ্কর গোলযোগ-মোকাবিলার প্রস্তুতিও বোধ করি থাকবে কারণ কেশপুর ও বাকি মেদিনীপুর ছাড়াও ভোট হবে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়। জেলাটি গুণ্ডাদের (এবং জেহাদীদেরও) ডেরা যারা এককালে CPM এর ও এখন TMC’র সুরক্ষাপ্রাপ্ত।

বাস্তবে কেশপুর বা মেদিনীপুরের পলিটি (Polity) রাজনৈতিক নেতৃত্বের একটি হায়ারার্কি মেনে চলে। হায়ারার্কির প্রতি স্তরের প্রতি নেতার কিছু অনুগামী থাকেন, যাঁরা নেতার নির্দেশ ব্যতীত কোনো নির্বাচনী বা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেন না। হায়ারার্কিতে উপরের দিকে নেতাদের অনুগামীর সংখ্যা এই হিসেবে সর্বাধিক। এই অনুশাসনবদ্ধ আচরণের কারণেই মেদিনীপুরের লোক্যাল হায়ারার্কি ভেঙ্গে জেতার সম্ভাবনা সাধারণতঃ কারুর নেই এবং এই হিসেবেই অধিকারী-পরিবার মেদিনীপুরে রাজনৈতিকভাবে প্রতিপত্তিশালী। সেই অনুশাসন ভাঙ্গার অনুরোধ নিয়েই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেছিলেন প্রলয় পালকে, তাঁর হয়ে কাজ করার আর্জি নিয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন মেদিনীপুরের লোক্যাল হায়ারার্কিতে প্রলয় পালের অনুগামীরা প্রলয়ের নির্দেশ অনুযায়ীই চলবেন।  

দ্বিতীয় দফায় যেহেতু নন্দীগ্রামের মত আসনসহ ভোট শেষ হচ্ছে দুই মেদিনীপুরে, তাই মেদিনীপুর এই নির্বাচনে কিভাবে সাড়া দিতে পারে তা আন্দাজ করতে মেদিনীপুর সংক্রান্ত এটুকু তথ্য বোধ করি জরুরী ছিল।

বিধানসভা-ওয়াড়ী পর্যবেক্ষণ

২০১৬’র বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সব আসনেই নীরবে অনবরত শক্তি বৃদ্ধি করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি, মূলতঃ সিপিএমের পালের হাওয়া কেড়ে নিয়ে। সংগৃহীত ও প্রাপ্ত নির্বাচনী তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের সব আসনেই টিএমসি’র পর দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল বিজেপি, এবং ভোট-শতাংশের তফাৎ অধিকাংশ কেন্দ্রেই ছিল কম। ব্যতিক্রমী আসন ছিল পাঁশকুড়া পশ্চিম। এই কেন্দ্রে বিজেপি ছিল প্রথম স্থানে। উপরন্তু, এগরা ও পাঁশকুড়া পশ্চিম ছাড়া পূর্ব মেদিনীপুরের সব বিধানসভা কেন্দ্রই হয় কাঁথি নয় তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত যে লোকসভা দুইটির সাংসদ যথাক্রমে শিশির ও দিব্যেন্দু অধিকারী যাঁরা দুইজনেই বর্তমানে বিজেপিতে। সকল তথ্যই পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপির সম্ভাব্য সাফল্যের নির্দেশক।

পূর্ব মেদিনীপুরের একমাত্র শহুরে আসন হলদিয়া ২০১৬ য় জিতেছিলেন সিপিএমের তাপসী মণ্ডল, যিনি এখন বিজেপিতে। ২০১৯’র লোকসভায় হলদিয়ায় সিপিএমের ভোট সরে আসে TMC ও BJP’তে।‌ সেই তাপসী মণ্ডলই এবারের নির্বাচনে হলদিয়ার বিজেপি-প্রার্থী। উপরন্তু, উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে পেট্রোলিয়ামের সন্ধান পাওয়ার পর নিকট ভবিষ্যতে হলদিয়া পরিশোধনাগার ও সংশ্লিষ্ট শিল্পক্ষেত্রে বিপুল বৃদ্ধিও প্রত্যাশিত। ৪৭০০ কোটি টাকার প্রকল্প এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে হলদিয়ায় উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এতদসকল তথ্যের নিরিখে হলদিয়া আসনটি এবার বিজেপির হতে চলেছে বলে অনুমান করা কঠিন নয়।

পূর্ব মেদিনীপুরের পর্যটনক্ষেত্র চাঁদিপুর। এই আসনে বিজেপি প্রার্থী এলাকার ছেলে পুলক কান্তি গুরিয়া। তিনি তাঁর প্রচারে চাঁদিপুরের অতি সংকীর্ণ রাস্তা ইত্যাদি নানা স্থানীয় সমস্যার কথা তুলে ধরছেন যেখানে অন্যদিকে তৃণমূলের প্রার্থী বাংলা ফিল্মস্টার সোহম চক্রবর্তী। গ্রামীণ নির্বাচন ক্ষেত্র চাঁদিপুরের নির্বাচকরা কাকে বাছবেন? অভিনেতাকে? নাকি চাঁদিপুরের ভূমিপুত্র পুলক গুরিয়াকে?

১০০% শহুরে আসন পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর সদর। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি শ্রী দিলীপ ঘোষের লোকসভা কেন্দ্র মেদিনীপুরের অন্তর্গত এই আসনটি মূলতঃ বিজেপির ঘাঁটি

সংগৃহীত ও প্রাপ্ত নির্বাচনী তথ্য অনুযায়ী সবং, ঘাটাল ও কেশপুর ব্যতীত পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্য সব আসন এবং বাঁকুড়ার সব কটি আসনে গৈরিক অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা প্রবল, যদিও ডেবরা আসনটিতে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলেছে দুই এক্স-আইপিএস বিজেপির ভারতী ঘোষ ও তৃণমূলের হুমায়ুন কবীরের মধ্যে। ৩০ শে মার্চ নন্দীগ্রাম, ডেবরা ও পাঁশকুড়া পশ্চিমে শ্রী অমিত শাহ্ এর রোড-শো’এ বিপুল জনজোয়ার মেদিনীপুরে বিজেপির  নির্বাচনী সাফল্যের মাত্রা বৃদ্ধি করতে চলেছে বলে স্থানীয়দের অভিমত।

ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে অভিনেতা দেব জনপ্রিয় এবং ঘাটালে তাঁর জনসংযোগও ভালো। কিন্তু পরপর দু’বার ঘাটালের সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও ঘাটালের বাৎসরিক বন্যা-নিবারণে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহনে দেব ব্যর্থ হয়েছেন এবং ভারত সরকারকে দিয়ে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করাতে পারেন নি। অতএব ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের জন্য কৌশলে ভারত সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে ঘাটালের মানুষ কি এবার ঘাটাল বিধানসভায় বিজেপিকে নির্বাচন করবে? উত্তর পাওয়া যাবে সময়ে।

গোসাবা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা ও সাগর বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আত্মরক্ষার্থে সিআরপিএফ জওয়ানদের গুলি চালানোর অনুমতি ও প্রথম দফার চেয়েও অধিক সংখ্যক সিআরপিএফ জওয়ান দ্বিতীয় দফায় মোতায়েন করার মত কিছু তাৎপর্যপূর্ণ অতিরিক্ত ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশন নিয়েছে। সেই সঙ্গে খালি করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে সমস্ত হোটেল, লজ, বিয়েবাড়ি, গেস্ট হাউস ইত্যাদিকে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নিরাপত্তার স্বার্থে এমত পদক্ষেপগুলি গুরুত্বপূর্ণ।

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার চারটি আসনই হয় বাংলাদেশের সীমান্তে, নয় সীমান্ত-নিকটবর্তী। অনুপ্রবেশদীর্ণ, হতদরিদ্র, সমুদ্রতটবর্তী গ্রামীণ মানুষগুলির ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ও আমফান। কিন্তু তারপর স্থানীয় প্রশাসনের থেকে দুইখানি বাঁশ বা একখানি ত্রিপলের মত ন্যূনতম সাহায্যটুকু পর্যন্ত পায় নি এলাকার অসংখ্য মানুষ, যদিও এঁরা প্রায় সকলেই তৃণমূলের ভোটার। বিদ্যুৎসংযোগ-পুনর্স্থাপনে এই অঞ্চলগুলিতে সময় লেগেছিল মাসাধিককাল। কেবলমাত্র সাইক্লোনের সময় নয়, রেশনের খাদ্যশষ্য বিতরণ ও কোভিড মহামারীকালে মানুষের মৃত্যু ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়েও সুপরিকল্পিত, ঠাণ্ডা মাথার দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছে শাসকদল, মানুষের ক্ষোভের পারদ চড়েছে তুঙ্গে। ২৩শে মার্চ গোসাবার সভায় এসে শ্রী অমিত শাহ্ বলেন জিতলে এসআইটি গঠন করে সব দুর্নীতির তদন্ত হবে। মানুষের উচ্ছ্বসিত করতালি প্রমাণ করেছিল যে এবারের নির্বাচনে আমফান-দুর্নীতি ও অন্যান্য নানা দুর্নীতি ও বঞ্চনার ক্ষোভ ভোটের বাক্সে উগরে দেবেন দক্ষিণের সমুদ্র-সংলগ্ন জেলাটির মানুষেরা। গোসাবার সভায় অমিত শাহ্ দক্ষিণের দ্বীপ-অঞ্চলগুলিতে রাস্তা ও প্রয়োজনীয় ব্রিজ পরিকাঠামো নির্মাণে বিপুল অর্থ বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করেছেন।‌ বলেছেন সুন্দরবনে এআইআইএমএস হাসপাতাল তৈরি করা হবে যাতে এলাকার মানুষকে চিকিৎসার জন্য শহরে যেতে না হয়, সুন্দরবনে হবে বিশ্বমানের পর্যটন ব্যবস্থা ও পরিকাঠামো, গঙ্গাসাগর তীর্থ ক্ষেত্রকেও গড়ে তোলা হবে উপযুক্ত মর্যাদাসহ এবং ক্ষমতায় আসার দু’বছরের মধ্যে প্রতি ঘরে পৌঁছবে বিশুদ্ধ পানীয় জলের পাইপলাইন। দক্ষিণের এই চারটি আসন SC-ST অধ্যুষিত, এঁরা শাসক-অনুগত ভোটার কারণ শাসকের রক্তচক্ষুর বিরুদ্ধে যাওয়ার সাধও নেই, সাধ্যও নেই। অনেকেই নিজের ভোট নিজে দেওয়ার সুযোগটুকু পর্যন্ত পান না। ভারতীয় জনতা পার্টি SC-ST শ্রেণীর মানুষের উন্নতির জন্য বিশেষ অর্থ বরাদ্দ করেছে, SC-ST শিশুদের শিক্ষা ও বিকাশের জন্য প্রকল্প নিয়েছে একলব্য বিদ্যালয়ের। কিন্তু এতদসত্ত্বেও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা যেহেতু টিএমসি-সন্ত্রাসের দুর্গ বলে পরিচিত, সাধারণ ভোটারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এখানে অতিরিক্ত দূরদর্শিতা ও অন্তর্দৃষ্টির প্রয়োজন হবে নির্বাচন কমিশনের। শুধু ভোটের দিনে নয়, ভোটের আগে এবং পরেও এলাকার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন যাতে আদৌ তাঁরা নিজেদের ভোট নিজেরা দিতে যেতে উৎসাহী হন। ভোট দিতে আসার কারণে প্রাণ গিয়েছে এমন ঘটনা এ অঞ্চলে সাধারণ। বুথ-জ্যামারদের ডানা ছাঁটা, সীমান্তের আঁটসাঁটোকরণ, সন্ত্রাসের মূল কারিগরদের এলাকাভিত্তিকভাবে অকেজো করা এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার অজস্র বোমার ভাণ্ডারকে নিউট্রালাইজ করার কাজ নির্বাচন কমিশন নিশ্চয় করবে।

01.04.2021   30 Assemblies211ChandipurPurba Medinipur   9 Assemblies out of 16 Total   Purba Medinipur Election Over
210Nandigram
209Haldia
208Mahishadal
207Nandakumar
206Moyna
205Panskura Pashchim
204Panskura Purba
203Tamluk
224Kharagpur SadarPashchim Medinipur   9 Assemblies out of 15 Total   Pashchim Medinipur Election Over
225Narayangarh
226Sabang
227Pingla
229Debra
230Daspur
231Ghatal
232Chandrakona
235Keshpur
251TaldangraBankura   8 Assemblies out of 12 Total   Bankura Election Over
252Bankura
253Barjora
254Onda
255Bishnupur
256Kotulpur
257Indas
258Sonamukhi
127GosabaSouth 24 Parganas 4 Assemblies out of 31 Total
130Patharpratima
131Kakdwip
132Sagar

দেবযানী ভট্টাচার্য্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.