আত্মনির্ভর (Aatmanirbhar) হওয়ার প্রথম ধাপ হল নিজের দেশকে নিয়ে গর্ব করা। ফেব্রুয়ারির শেষ রবিবার মাসিক ‘মন কি বাত’ (Mann ki Baat) রেডিও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে ফের আত্মনির্ভরতার পক্ষেই সওয়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। তাঁর কথায়, ”আত্মনির্ভর ভারত অভিযান কেবল কোনও সরকারি নীতি মাত্র নয়। এটা এক ধরনের জাতীয় চেতনা।” দেশকে নিয়ে গর্ব করার প্রসঙ্গে তিনি তুলে আনলেন দেশের বিজ্ঞানীদের প্রসঙ্গ। দেশের যুব সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর আহ্বান, তারা যেন দেশের বিজ্ঞানের ইতিহাস ও বিজ্ঞানীদের অবদান সম্পর্কে পড়াশোনা করে।
এদিনের বক্তব্যে বিজ্ঞান চেতনার কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”যখন আমরা বিজ্ঞানের কথা বলি, তখন তা কেবল ফিজিক্স-কেমিস্ট্রি অথবা ল্যাব পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু বিজ্ঞানের বিস্তৃতি তার থেকেও অনেক বেশি। আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে বিজ্ঞানের বিরাট অবদান রয়েছে। আমাদের বিজ্ঞানকে ‘ল্যাব থেকে ল্যান্ড’ এই মন্ত্রে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।” দেশের যুব সম্প্রদায়ের সম্পর্কে বলতে গিয়ে এদিন সন্ত রবিদাসের কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। জানিয়ে দেন, তরুণরা কখনও পুরনো ধ্যানধারণা নিয়ে চলে না। তারা সৃজনশীল মন নিয়ে এগিয়ে চলে।
এদিন তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে জল সংরক্ষণের কথাও। মাঘ মাসে হরিদ্বারে কুম্ভ উৎসব পালিত হচ্ছে। সে প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, এদেশে নিয়মিতই কোনও না কোনও জল উৎসব পালিত হয়। জল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথা বলতে গিয়ে তিনি মনে করিয়ে দেন বর্ষার জল ধরে রাখার গুরুত্বের কথা। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর মোদি সরকার গঠন করেছে জলশক্তি মন্ত্রক। সেই মন্ত্রকের তরফে এই বিষয়টিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি। তাঁর মতে জল পরশপাথরের থেকেও দামি। তিনি বলেন, ”বলা হয় পরথপাথরের স্পর্শে লোহাও সোনা হয়ে যায়। একই ভাবে জলের স্পর্শ জীবনের জন্য, অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।”