কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নিতেই হবে। রাজ্য সরকারগুলির বিরোধিতা উপেক্ষা করে ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশনের (UGC) সিদ্ধান্ততে একপ্রকার শিলমোহর দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আদালত সাফ জানিয়ে দিল, পরীক্ষা ছাড়া পড়ুয়ারা পরের ক্লাসে উঠতে পারে না। তাই রাজ্য সরকারগুলিকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিতেই হবে। তবে, প্রয়োজন পড়লে ৩০ সেপ্টেম্বরের ডেডলাইন পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
করোনা আবহে সেই মার্চ মাস থেকেই বন্ধ স্কুল-কলেজ। এই পরিস্থিতিতে স্কুল এবং কলেজের প্রায় সব স্তরের পরীক্ষাই বাতিল করতে হয়েছে। ব্যতিক্রম শুধু চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা। ইউজিসির দাবি ছিল, নিয়ম অনুযায়ী কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা না নিয়ে কোনও পড়ুয়াকে ডিগ্রি দেওয়া সম্ভব নয়। তাই, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরে চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নিতেই হবে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান করোনা আতঙ্কের মধ্যে অনেক রাজ্যই এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নিতে রাজি হয়নি। যার মধ্যে সবার উপরের সারিতে ছিল পশ্চিমবঙ্গ। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ইউজিসির পক্ষেই রায় দিল।
শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা ছাড়া ছাত্রছাত্রীদের পাশ করানো যায় না। তাই রাজ্য সরকারগুলিকে পরীক্ষা নিতেই হবে। কিন্তু আদালতের এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়ে যেতে পারেন বহু পড়ুয়া। কারণ, আনলক পর্বে সেভাবে গণপরিবহণই চলছে না। বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউনের ভিন্ন ভিন্ন কড়াকড়ি। সেক্ষেত্রে কীভাবে পরীক্ষা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন পড়ুয়ারা, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। তাছাড়া এই অনিশ্চয়তার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিও যে ভালভাবে হয়নি, সেটাও বলার অপেক্ষা রাখে না।