বোম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালা একটি রায়ে জানান, যৌনতামূলক কার্যকলাপের অভিপ্রায়ে ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ হলে, তবেই তা যৌন নিগ্রহ হিসেবে প্রমাণিত হবে, বুধবার সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)

ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ মামলায় বম্বে হাই কোর্টের রায় নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। আদালত জানিয়েছিল, পোশাকের উপর নাবালিকার স্তনে হাত দিলে পকসো আইনের আওতায় তা যৌননিগ্রহ হিসেবে গ্রাহ্য হবে না। বুধবার সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

দেশজুড়ে চলা বিতর্কের মাঝে এদিন অভিযুক্তের মুক্তি আটকে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এই মামলার প্রেক্ষিতে একটি নোটিস জারি করেছে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানে দু’সপ্তাহের মধ্যে অভিযুক্তের কাছে তার জবাব জানতে চাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের একটি মামলায় ১৯ জানুয়ারি বোম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালা একটি রায়ে জানান, যৌনতামূলক কার্যকলাপের অভিপ্রায়ে ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ হলে, তবেই তা যৌন নিগ্রহ হিসেবে প্রমাণিত হবে। পোশাক না খুলে যদি স্তনে হাত দেওয়া হয় তাহলেও সেটি যৌন নিগ্রহের আওতায় পড়বে না। পকসো আইনের ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই রায় দেওয়া হয়েছে।

বম্বে হাই কোর্টের এই রায়ের পরই দেশজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। বুধবার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল। তাঁর বক্তব্য, এই রায় খুবই নেতিবাচক। ভবিষ্যতে এটি ভয়াবহ উদাহরণ হয়ে থাকবে। তারপরই মামলায় হস্তক্ষেপ কোর শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে অভিযুক্ত নির্যাতিতা নাবালিকাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর স্তনে হাত দিয়ে জামা খোলার চেষ্টা করে। অভিযুক্তর নামে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে এফআইআর করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয় ব্যক্তিকে। সেশনস কোর্ট তাকে ৩ বছর কারাবাসের সাজা দেয়। এরপর মামলা গড়ায় বোম্বে হাই কোর্ট পর্যন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.