কানে হাত দিলেও যাবে শব্দ, খুলিতে প্রবল চাপ – ভারত সফরে ‘হাভানা সিন্ড্রোমের’ উপসর্গ CIA কর্তার : Report

রহস্যজনক ‘হাভানা সিন্ড্রোম’-এর মতো উপসর্গ ধরা পড়েছে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) এক আধিকারিকের। যিনি চলতি মাসে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার অধিকর্তা বিল বার্নসের সঙ্গে ভারতে এসেছিলেন। মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদনে এমনই দাবি করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাসখানেকের মধ্যে এই নিয়ে  দ্বিতীয়বার বিদেশ সফরে কোনও মার্কিন কর্তার ‘হাভানা সিন্ড্রোম’-এর মতো উপসর্গ ধরা পড়ল।

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে তিন সূত্রকে উদ্ধৃত করেছে সিএনএন, তাঁদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন যে সেই ঘটনার জেরে মার্কিন সরকারের অভ্যন্তরে আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হয়েছে। রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন বার্নস। দু’জন সূত্র সিএনএনকে বলেছেন, কয়েকজন সিআইএ আধিকারিক ‘বিষয়টিকে উদ্বেগজনক ঘটনা হিসেবে দেখেছেন, যা সরাসরি বার্নসকে বার্তা দিচ্ছে যে কেউ সুরক্ষিত নন। এমনকী যাঁরা দেশের সেরা গুপ্তচর সংস্থার জন্য সরাসরি কাজ করছেন, তাঁরাও সুরক্ষিত নন।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

গত ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বার্নস এবং মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার আধিকারিকরা। সেই সফরের বিষয়ে চূড়ান্ত গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়েছিল। কোনওপক্ষই বার্নসদের সফরের বিষয়ে মুখ খোলেনি। ভারত থেকে পাকিস্তানে গিয়েছিল মার্কিন দল। সেখানে পাকিস্তানি সেনার প্রধান জেনারেল কোমার বাজওয়াের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বার্নস। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ভারতে যে পরিস্থিতি হয়েছিল, তাতে নাটকীয় প্রভাব পড়তে পারে। সিআইএ অধিকর্তার সফর একেবারে গোপনীয়তার মোড়কে আবদ্ধ রাখা হয়েছিল। কীভাবে সেই সফরের বিষয়ে জানলেন দোষী এবং এরকম আগ্রাসনের জন্য পরিকল্পনা করতে পারলেন, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন মার্কিন আধিকারিকরা।’

সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি সিআইএয়ের মুখপাত্র। ভারতীয় আধিকারিকরাও প্রাথমিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তারইমধ্যে যে সিআইএ কর্তার ক্ষেত্রে ভারতে ওরকম উপসর্গ দেখা দিয়েছিল, তিনি আমেরিকা ফেরার পর চিকিৎসা চলছে।

‘হাভানা সিন্ড্রোম’ কী?

একাধিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে মার্কিন আধিকারিকরা ‘হাভানা সিন্ড্রোম’-এ আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের দাবি, কানের ভিতর সারাক্ষণ আওয়াজ হতে থাকে। কানে চাপা দিলেও সেই আওয়াজ যায় না। কেউ কেউ আবার দাবি করেছেন, সারাক্ষণ গুনগুন শব্দ হয়ে গিয়েছে এবং খুলিতে প্রবল চাপ অনুভব করেছেন। যাঁরা ‘হাভানা সিন্ড্রোম’-এ আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা দীর্ঘদিন মাথা ঘোরার মতো সমস্যার মুখে পড়েছেন। ক্লান্তি অনুভব করেছেন। শারীরিক অবস্থার অবনতির জন্য কয়েকজনকে আগেই অবসর নিতে হয়েছে। যে ‘হাভানা সিন্ড্রোম’ সম্ভবত মাইক্রো ওয়েভসের কারণে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.