নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং ১৯৫০ সালের ১৯শে এপ্রিল শিল্প ও সরবরাহ মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে পদত্যাগ বিষয়ে সংসদে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য #IndiaSupportsCAA

আমি অন্যদের সাথে সাথে পূর্ববঙ্গ হিন্দুদের আশ্বাস দিয়েছিলাম যে তারা যদি ভবিষ্যতের পাকিস্তান সরকারের হাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যদি তাদের নাগরিকত্বের প্রাথমিক অধিকার বঞ্চিত করা হয়, যদি তাদের জীবন ও সম্মান বিপন্ন বা আক্রান্ত হয়, তবে স্বাধীন ভারত অলস দর্শক হিসাবে থাকবে না।

তাদের ন্যায়ের দায়িত্ব ভারত সরকার এবং ভারতের জনগণ সাহসের সাথেই গ্রহণ করবে।

আমরা ভুলতে পারি না যে পূর্ববাংলার হিন্দুরা কেবল মানবিক বিবেচনার ভিত্তিতেই ভারতের সুরক্ষার দাবীদার নন, বরং তাঁদের দুঃখ-কষ্ট ও ত্যাগের বিনিময় মূল্য হিসাবে ভারতের উচিত তাঁদের রক্ষার দায়িত্ব নেওয়া।

তাঁরা কোন সংকীর্ণ প্রাদেশিক স্বার্থের জন্য আত্মত্যাগ করেননি, বরং প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাঁরা ভারতের রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং বৌদ্ধিক বিকাশের ভিত্তি স্থাপনের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন।

ইসলামীয় শাসন হ’ল পাকিস্তানের আদর্শ। হিন্দু ও শিখদের পরিকল্পিতভাবে নির্মূল করা, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ তাদের নীতি। এই নীতির ফলাফল হিসাবে, পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের জীবন বিভীষিকাময়, পশুতুল্য এবং সংক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। আমরা যদি ইতিহাস থেকে শিখতে ব্যর্থ হই, তবে তা আমাদের বিপদকেই ত্বরান্বিত করবে। আমি কিন্তু সুপ্রাচীন সময়ের কথাও বলছি না, পাকিস্তানের জন্মের সময় থেকে সংঘটিত ঘটনাবলী যদি কেউ বিশ্লেষণ করে, তবে অবশ্যই প্রতীয়মান হবে যে সেখানে হিন্দুদের এর জন্য কোন সম্মানজনক পরিসর নেই। এই সমস্যাটি যত না সাম্প্রদায়িক তার চেয়ে অনেক বেশি রাজনৈতিক।

প্রস্তাবনা

“কেন আজ আমাদের এই বিল দরকার? স্বাধীনতার সময় যদি কংগ্রেস ধর্মের ভিত্তিতে ভারতভাগ না করতো, তবে আজ আমাদের এই বিলের দরকার পড়ত না। কংগ্রেস ধর্মের ভিত্তিতেই ভারতের বিভাজন করেছিল।” – লোকসভায় ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের উপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের পূর্বাবধি ভারতীয় রাজনীতি প্রায়শই ভোট-ব্যাংকের মারাত্মক রোগে ভুগছিল। জাতীয় স্বার্থ,সভ্যতা এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়,মানবিক ও প্রশাসনিক বিষয়গুলি ভোট-ব্যাঙ্কের স্বার্থে বিবেচিত হত। সিদ্ধান্তও হত তদনুরূপ। বর্তমান সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণে  দ্বিধাগ্রন্ততাহীন ও জনস্বার্থে নিবেদিত প্রাণ।  তাই যখন এই সরকার দেশভাগের ফলে বিধ্বস্ত বিপুলসংখ্যক ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি যে রাষ্ট্রীয় অবিচারগুলি সংশোধন করেছিল, তা মোটেই অভাবনীয় কিছু ছিল না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক এটাই যে যাঁরা দীর্ঘকাল ধরে ভারত শাসন করেছেন  তাঁরা সংসদে ভোট-ব্যাংকের ভিত্তিতে তাদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এ বিলের বিরোধিতা করা তাদের পক্ষে ভণ্ডামিপূর্ণ আচরণ ছিল, কারণ এর আগে এই দলগুলির  অনেক নেতাই পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত সংখ্যালঘুদের স্বার্থের পক্ষে মতামত দিয়েছিলেন। এই শ্বেতপত্রতে তাদের পূর্ব প্রতিশ্রুতি সংক্রান্ত সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণই সন্নিবিষ্ট হয়েছে। হঠাৎ  এই দলগুলি এবং তাদের নেতৃবৃন্দ আপনাদের পূর্বতন অবস্থান বিস্মৃত হয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ পাসের বিরোধিতা করলেন। যে দলগুলি পশ্চিমবঙ্গের মতো সীমান্তবর্তী দেশে ভোট-ব্যাংক রাজনীতি করেন,তারা এই সংশোধনীর বিরোধিতা করে চলেছে । কার বিরোধিতা? এই বিলের যা বিপুল সংখ্যক দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে নাগরিকত্ব প্রদান করবে।

ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস, যা দেশ বিভাগের জন্য দায়ী এবং আসামের সমস্যার সূচনাকারী, সংসদে এই বিলটির বিরোধিতা করেছিল। তারা তাদের বিরোধিতার মাধ্যমে এই বার্তা প্রেরণ করে যে ভারত নিপীড়িত হিন্দু ও শিখদের জন্য আশ্রয়ভূমি নয়। যাঁরা ভারতে রোহিঙ্গাদের অনিয়ন্ত্রিত ও নিখরচায় প্রবেশের পক্ষে ছিলেন তাঁরা এই বিলটির বিরোধিতা করেছিলেন কারণ বিলটি থেকে লাভবান হচ্ছে হিন্দু,শিখ, জৈন, খ্রিস্টান এবং পার্সীরা। তাঁরা মনে করেন যে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলিতে স্থিত এই সংখ্যালঘুদের কোনও মানবাধিকার নেই। বিশেষতঃ হিন্দু ও শিখরা এমনকি নিগৃহীত হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ারও যোগ্য নয় এবং তাই ভারতীয় নাগরিকত্বের অনধিকারী। বিরোধী দল কংগ্রেস সর্বাত্মকভাবে বিলের বিরোধিতা করে। আজ একথা সর্বজনস্বীকৃত যে কংগ্রেস ঐতিহাসিকভাবে সর্বদাই পাকিস্তান / পূর্ব পাকিস্তান এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশের হিন্দুদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তাদের সুরক্ষা দিতে প্রতিশ্রুত কংগ্রেস আপন প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হয়েছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের (টি এম সি) নেতারা লোকসভায় বিতর্কে অংশ নেওয়ার সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং স্বামী বিবেকানন্দের উদ্ধৃতি ছাড়া কথাই বলেন না, তাঁদের একজন নিজেকে  সংসদে  “বাঙালি হিন্দু” বলে দাবি করেছিলেন, মজার কথা হল তাঁরা এই বিলটি বিরোধিতা করেন যা লক্ষ লক্ষ অসহায় বাঙালি হিন্দুকে শরণার্থীর দুর্দশা থেকে মুক্তি দিয়ে নাগরিকত্বের সম্মান দেবে। এই দ্বিচারিতার কারণ অনুপ্রবেশকারীদের ভোট ব্যাঙ্ককে নিজেদের পক্ষে রাখা। এই রাজনৈতিক সুযোগবাদ পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু শরণার্থীদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার আরেকটি ঐতিহাসিক নজির।

এই সংশোধনীর মাধ্যমে উপকৃত মতুয়া সমাজের প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের এই বিশ্বাসঘাতকতা হৃদয়ভেদী। টিএমসি ছাড়াও বাম দলগুলিও এর আগেও বহু বার এই সম্প্রদায়ের নাগরিকত্বের পক্ষে তাদের সমর্থন জানিয়েছিল,কিন্তু তারাও মতুয়াদের নাগরিকত্ব প্রদানকারী এই বিলের বিরোধিতা করে সংসদে তাদের ভণ্ডামিই স্পষ্ট করেছে। এটি কেবল দেখায় যে কংগ্রেস,কমিউনিস্ট দলগুলি এবং টিএমসি কেবলমাত্র তাদের রাজনৈতিক এজেণ্ডাএগিয়ে নেওয়ার জন্য শরণার্থীদের ব্যবহার করেছে। তাদেরকে এই দেশে মর্যাদাপূর্ণ অস্তিত্ব এবং স্থায়ী নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য কখনও কাজ করেনি।

এখানে উল্লেখযোগ্য  এই যে এই শরণার্থীদের বেশিরভাগই তফশিলী বর্ণ। তা  সত্ত্বেও ভারতে বহুজনদের উদ্ধারকর্তা বলে দাবি করা মায়াবতী এবং তাঁর বহুজন সমাজ পার্টি এই বিলটি সমর্থন করার মতো সাহস জোগাড় করতে পারেননি। সম্ভবত এই ভয়ে যে এটি তাদের মুসলিম ভোট-ব্যাঙ্কে সিঁদ কেটে দেবে। এইসব রাজনৈতিক দলগুলি প্রচার করছে যে এই সংশোধনীটি নাকি ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নং অনুচ্ছেদের লঙ্ঘনকারীর,সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের বিরোধী এবং সর্বোপরি বিলটি নাকি মুসলিম বিরোধী। এই শ্বেতপত্রে এইসব রাজনৈতির অপপ্রচারের সদুত্তর দেওয়া হয়েছে। এই উত্তরগুলি  ভারতীয় রাজনৈতিক ভণ্ডামি ও দ্বিচারিতাকে স্পষ্ট করার জন্য আবশ্যক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ,বিল নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন সংসদের উভয় সভায় একবার নয়  বহুবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে ভারতীয় মুসলমানদের সাথে এই সংশোধনীর কোনও যোগসূত্র নেই। ভারতীয় মুসলমানদের এই বিলটি পাস হওয়ার কারণে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন দরকার নেই। এই বিলটি কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য।

মজার বিষয় হল, অতীতের দিকে যদি একবার নজর দেওয়া যায় তবে সংবিধান নির্মাতা গণপরিষদের বহু বিশিষ্ট সদস্যরা, যেমন  পণ্ডিত ঠাকুরদাস ভার্গব, সর্দার ভোপিন্দর সিং মান, অধ্যাপক শিবনলাল সাক্সেনা, ১৯৪৯ সালের ১১ ও ১২ ই আগস্ট বিশ্বব্যাপী হিন্দু ও শিখদের জন্য ভারতকে একমাত্র স্বদেশ গণ্য করে তাঁদের ভারতের নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য প্রার্থনা জানিয়েছিলেন। যদিও এই প্রার্থনাটি জওহরলাল নেহেরু আপন ভেটো প্রয়োগ করে নস্যাৎ করেছিলেন।

কিন্তু আজ যেহেতু পাকিস্তান সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাই এক্ষেত্রে ঐদেশের সংখ্যালঘুরা ভারত রাষ্ট্রের দায়িত্ব হয়ে গেছে। ভারত তাঁদেরকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে বা জোর করে ধর্মান্তরের সম্মুখীন করতে পারে না। এটি ছিল বিভাজনের একটি অসম্পূর্ণ এজেণ্ডা। এমনকি প্রয়াত শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর অধীনে এনডিএ-২ সরকারও হিন্দু ও শিখ শরণার্থীদের নাগরিকত্বের আবেদনের সিদ্ধান্ত নিতে রাজস্থান ও গুজরাটের জেলা কালেক্টরদের বিশেষ অধিকার প্রদান করে একই ধরণের চেষ্টা করেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তাঁর ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাস ২০১৪ সালে এবং আবারও ২০১৯ সালে প্রদান করেন। বিলটি পাস করে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের মাধ্যমে তাঁর সেই আশ্বাস এখন পূর্ণ হয়েছে।

কেউ যদি বলেন যে এই বিল মুসলমানদের প্রতি বৈষম্যমূলক, তবে এর প্রেক্ষাপট বুঝতে হবে। এই বিলটি তিনটি দেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ প্রদান করতে চায় যাঁরা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার। যেহেতু এই তিনটি দেশ – পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে, সেহেতু মুসলমানরা ঐসব দেশে সংখ্যালঘুও নন এবং ধর্মীয় কারণে নিপীড়িতও নন। তাই তাঁরা ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য যোগ্যও নন।

বিলে এই শ্রেণিবিন্যাসটি সংবিধানের ১৪ নং অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা দেওয়ার জন্য ‘যুক্তিসঙ্গত শ্রেণিবিন্যাসের’ পরীক্ষার যোগ্যতা অর্জন করেছে। দেশের সংবিধান মোতাবেকই এই বিল লিখিত হয়েছে। বিলে কোনও ধর্মীয় বৈষম্য নেই। এটি সংখ্যালঘুদের দেশভাগের সময় যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেই প্রতিশ্রুতি পালন করার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। বিরোধী দলগুলির ভাঁওতা আজ প্রকাশিত হয়ে গেছে। তারা এই শরণার্থীদের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে, ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি তাদেরকে ন্যায়নীতির প্রতি অন্ধ করে দিয়েছে।

ডাঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ১৯৫০ সালের ৮ ই এপ্রিল নেহেরু-লিয়াকত চুক্তি স্বাক্ষরিত হতেই নেহেরু মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তিনি তাঁর প্রজ্ঞার মাধ্যমে বুঝেছিলেন এবং অগ্রিম বলেও ছিলেন যে ‘দিল্লি চুক্তি’ ব্যর্থ হবে। দুর্ভাগ্যজনক যে এক তথাকথিত মেকী ধর্মনিরপেক্ষ বিবেকের দোহাই দিয়ে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার লক্ষ লক্ষ শরণার্থীদের সাথে বঞ্চনা করা  হয়েছিল। এই বিতর্কের প্রসঙ্গে ডঃ মুখোপাধ্যায়ের সত্যদৃষ্টি আজও কর্ণকূহরে অনুরণিত হয়, “আমরা ভুলে যাব না যে পূর্ববাংলার হিন্দুরা কেবল মানবিক বিবেচনার ভিত্তিতেই ভারতের সুরক্ষার দাবীদার নন, বরং তাঁদের দুঃখ-কষ্ট ও ত্যাগের বিনিময় মূল্য হিসাবে। তাঁরা কোন সংকীর্ণ প্রাদেশিক স্বার্থের জন্য আত্মত্যাগ করেননি, বরং প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাঁরা ভারতের রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং বৌদ্ধিক বিকাশের ভিত্তি স্থাপনের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন। যেসব নেতারা প্রাণ দিয়েছেন এবং যে সব যুবকদের ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বর হাসতে হাসতে ফাঁসির দড়ির দিকে এগিয়ে গেছে, স্বাধীন ভারতের পক্ষে সেই আত্মদানের প্রতি ন্যায়বিচার করার সুযোগ এসেছে।” সেই ন্যায়বিচার এখন শেষ পর্যন্ত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ঐতিহাসিক নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি পাস করার ফলে। এই বিলের যৌক্তিকতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ। একটি ঐতিহাসিক ভুল সংশোধিত হয়েছে, একটি ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হয়েছে।

এই শ্বেতপত্রটি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, এর বিভিন্ন দিক, উত্থাপিত বিতর্কগুলি, এবং বর্তমান পরিসরে এই আইনকে বোঝার জন্য রচিত হয়েছে।

ডঃ অনির্বাণ গাঙ্গুলী

নির্দেশক

ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রিসার্চ ফাউণ্ডেশন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.