ভোট বড় বালাই। এ এমন এক পর্ব যেখানে নামী অভিনেত্রীকেও ভ্যানিটি ভ্যান ছেড়ে সানস্ক্রিন মেখে মাঠেঘাটে ঘুরতে হয়। এমন এক খেলা যেখানে অভিজ্ঞ দুঁদে নেতাকেও প্রতিপক্ষের তাড়ায় শখের গল্ফ কোর্ট ছেড়ে হরিসংকীর্তণ করতে হয়। কথায় বলে না, ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না ! তেমনই বিপক্ষে অর্জুন না থাকলে দীনেশের দেখা মেলে না। এমনই কথা শোনা যাচ্ছে ব্যারাকপুর লোকসভা অঞ্চলে কান পাতলে। প্রায় দশ বছর সাংসদ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে খুব একটা দেখতে পাননি এলাকার মানুষ, এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর। কিন্তু, বিজেপির হয়ে ভাটপাড়ার দলত্যাগী তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিংহ প্রার্থী হতেই মাধুকরী হয়ে ব্যারাকপুর ঘুরে বেড়াচ্ছেন দীনেশ ত্রিবেদী। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ নিজের নির্বাচনী এলাকার অন্তর্গত নৈহাটি বিধানসভার ১ নম্বর বিজয়নগর অঞ্চলে একটি নাম-সংকীর্তনের অনুষ্ঠানে যান তিনি। গত দু’তিন ধরেই সেখানে অধিবাসীদের হরিনাম সংকীর্তন অনুষ্ঠান চলছে।
সেখানে গিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়ে কপালে চন্দনের তিলক এঁকে বসে পড়েন তিনি। গলায় পরে ফেলেন রজনীগন্ধার মালা। তারপর উপস্থিত ভক্তদের সঙ্গে শুরু করেন নাম-সংকীর্তন। খোল-করতাল বাজিয়ে রীতিমতো কীর্তনের তালে নাচতেও দেখা যায় বর্ষীয়ান প্রাক্তন রেলমন্ত্রীকে।
সেখানে উপস্থিত ভক্তদের সামনে অবশ্য ভোট সম্পর্কিত কোনও কথা বলেননি দীনেশ ত্রিবেদী। তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান ইন-চার্জ সনৎ দে। প্রায় ৪০ মিনিট এই সংকীর্তনে থাকার পর সেখান থেকে ফিরে যান দীনেশ। দীনেশের সঙ্গী তৃণমূল নেতা সনৎ দে বলেন, “এলাকার নাম সংকীর্তন অনুষ্ঠানে সাংসদ যোগ দেবেন এটাই তো স্বাভাবিক।
বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করা উচিত হবে না।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১০ বছর সাংসদ থাকাকালীন কোনওদিনও হরিনাম সংকীর্তন অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি দীনেশ ত্রিবেদীকে। তাহলে কী অর্জুনের জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়েই এবার হরিনাম সংকীর্তেনর পথ ধরলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ?