রাজ্যসভায় পাশ মহামারী রোগ (সংশোধনী) বিল, ২০২০। শনিবার সংসদের উচ্চকক্ষে এই বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. হর্ষ বর্ধন। গত এ এপ্রিল মাসে এ বিষয়ে একটি অধ্যাদেশ জারি করার পর এ দিন বিলটি পাশ হয়ে যায় রাজ্যসভায়। বিল অনুযায়ী এবার থেকে করোনা যোদ্ধা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরে হামলা করলে সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে পাঁচ বছরের জেল।

করোনা সংক্রমণ মহামারীর আকার নেওয়ার পর থেকেই সারা দেশে স্বাস্থ্যকর্মীদের নানা ভাবে হেনস্তা করার ঘটনা সামনে এসেছে। কোথাও হামলা কিংবা সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ যেমন এসেছে, তেমনই নিজের এলাকায় করোনা যোদ্ধাদের ঢুকতে না দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এই ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য কেন্দ্রের তরফে গত এ এপ্রিল মাসে রোগ আইন, ১৮৯৭-এর সংশোধন করে ওই অর্ডিন্যান্স পাশ করান হয়েছিল। অবশেষে বিল পাশ করে এই অর্ডিন্যান্সকে আইনে পরিণত করতে পদক্ষেপ করল কেন্দ্র।এই বিলে বলা হয়েছে, বর্তমান মহামারীর সময়ে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কোনও কর্মীর প্রতি কোনও রকম হেনস্থা মেনে নেওয়া হবে না। স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিৎসকদের শারীরিক হেনস্তা ছাড়াও কোনও চিকিৎসা কেন্দ্র, কোয়ারান্টাইন কেন্দ্র অথবা মহামারীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত কোনও স্থানে ভাঙচুর করলেও শাস্তি হবে।  

নয়া বিল অনুসারে এই ধরনের কোনও অভিযোগ এলে ইন্সপেক্টর পর্যায়ের কোনও আধিকারিক ৩০ দিনের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন । বিচার শেষ করতে হবে এক বছরের মধ্যে। তবে আদালত চাইলে কোনও লিখিত কারণের ভিত্তিতে বিচারের সময়সীমাকে বর্ধিত করতে পারে। অপরাধ প্রমাণিত হলে তিন মাস থেকে পাঁচ বছরের জেল হতে পারে। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। ওই অধ্যাদেশ অনুযায়ী, স্বাস্থ্যকর্মীদের গাড়ি অথবা ক্লিনিকে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হলে বাজারমূল্যের থেকে দ্বিগুণ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ক্ষতিপূরণের অর্থ হামলাকারীদের কাছ থেকে আদায় করা হবে। প্রয়োজনে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.