কথা বলতে বলতে মানুষের মুখ থেকে কখন যে কি বেরিয়ে যায় সেটা সে নিজেও বুঝতে পারে না। কথা বলতে বলতে মানুষ বহুবার নিজেই নিজের পোল খুলে ফেলে। আর আজকে রাহুল গান্ধীর জামাইবাবু তথা প্রিয়াঙ্কা ভাদ্রার বর রবার্ট ভাদরা সেই কাজ করে দেখিয়েছেন। এক পরোক্ষভাবে রবার্ট ভাদরা স্বীকার করে নিয়েছেন যে উনি দেশকে লুটেছে। রবার্ট ভাদরা স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনি দেশের সম্পত্তি লুটেছেন। বিগত কয়েকদিন ধরেই দেশে তদন্তকারী সংস্থাগুলি রবার্ট ভাদ্রা বিশাল সম্পত্তি কালো টাকা এবং জমির উপর তদন্ত শুরু করেছে।
জানিয়ে দি, রবার্ট ভাদ্রা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়িতে ঘুরে বেড়ানো ব্যাক্তি ছিলেন, যিনি রাতারাতি কোটিপতিতে পরিণত হয়েছেন শুধুমাত্র দুর্নীতির হাত ধরে। আজ রবার্ট ভাদরা নিজের মুখে দেশকে লুটে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। রবার্ট ভাদরা বলেছেন অন্যরা তো দেশকে লুটে দেশ থেকে পালিয়ে গেছে কিন্তু আমি তো এখানেই আছি। বলার অর্থ এই যে অন্যান্য চোরেরা যেমন নিরব মোদী,মেহুল চক্সি দের মত লোকেরা দেশকে লুটে নেওয়ার পরে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন কিন্তু রবার্ট ভাদরা দেশকে লুটে নেওয়ার পরেও বেঁচে থেকেছেন।
এক কথায় ভাদ্রা নিজেকে সাহসী চোর বলে স্বীকার করে নিয়েছে। ভাদ্রা বলতে বলতে এটা স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনি দেশকে লুটেছেন। তিনি বলেছেন যে তিনি একা তো চুরি করেননি, অনেকেই তো দেশকে লুটেছে কিন্তু তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। জানিয়ে দিয়ে দেশের বাকি চোরেরাও কংগ্রেস আমল পর্যন্ত দেশে ছিল কিন্তু মোদি ক্ষমতায় আসার পরেই তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় তবে ভাদ্রা এটা বিশ্বাস করতো যে তাকে মোদী কিচ্ছু করতে পারবে না কারণ সে কংগ্রেস খানদানি জামাই। তবে মোদি যেভাবে অ্যাকশন শুরু করে দিয়েছে তাতে এখন ভাড়ার জন্য পরিস্থিতি খুবই কঠিন হয়ে উঠেছে।
না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা নীতি নিয়ে মোদী কাজ করছে যার জন্য দেশের চোরেদের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এমন যে রবার্ট এর মতো লোকেরাও মুখ ফসকে সত্য স্বীকার করে নিচ্ছে।