বদলে গেল পাকিস্থানের মিডিয়ার সুর! বললো এটা মনমোহন সিং নয়-এটা মোদী, যেকোনো সময় স্ট্রাইক করে দিতে পারে।

২৪ ঘন্টা পারমাণবিক হামলার ভয় দেখানো পাকিস্থান এখন পরমাণু শব্দটাই ভুলে গেছে। ২ দিন আগে যে পাক মিডিয়া ভারতকে উড়িয়ে দেওয়া তারা এখন নিজেদের শান্তিবাদী বলে প্রচার করছে। পাকিস্তান জানিয়েছে যে তারা কট্টরপন্থী সংগঠন, জিহাদি সংগঠনগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা লাগাবে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এই খবর আসতে শুরু হয়েছে যে পাকিস্তান নাকি মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ট আত্মীয়দের গ্রেপ্তার করেছে। জানিয়ে দি, পাকিস্তান একটা কট্টর ইসলামিক দেশ।পাকিস্তান এখন যা কিছুই করছে সমস্তটাই আল-তাকিয়া অর্থাৎ ছলনা।

পাকিস্তান এখন বুঝতে পেরেছে যে ছলনা না করলে আন্তর্জাতিক চাপে দেশ পুরোপুরি অবিচল হয়ে যেতে পারে। তাই এই সময় আল-তাকিয়া করা সবথেকে শ্রেষ্ঠ উপায়। পাকিস্তান ৩ পূর্ব বিদেশ সচিব পাকিস্তান সরকারকে উপদেশ দিয়েছে যে সরকার যেন ভারতের আক্রমনরূপের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যাবহার করে। পুলবামা হামলার পর থেকে ভারত সরকার একশন মুডে রয়েছে। ভারতের কূটনীতিযে পাকিস্থানের ব্যাবসা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। পাকিস্তানের আর্থিক রাজধানীর করাচিতে সন্ধে হলেই ব্ল্যাক আউট শুরু হয়ে যায় শুধুমাত্র ভারতের নৌসেনার ভয়েতে।

ভারত একটা এয়ার স্ট্রাইক করেছে এবং নৌ সেনা স্ট্রাইক করতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে। যার জন্য পাকিস্তান চাপে রয়েছে। পাকিস্থানের মিডিয়ার শব্দও এবার পরিবর্তন হতে শুরু হয়েছে। পাক মিডিয়া দা ডনে প্রকাশিত বিশেষ লিখনিতে পাকিস্থানের বিদেশ সচিব, রক্ষা বিশেষজ্ঞরা পাকিস্থানকে ধর্য্য ধরা উচিত বলে মন্তব্য করেছে। পাকিস্থানের বুঝতে পেরেছে যে ভারতকে বেশি উস্কানি দিলে মহা প্রলয়ের সম্মুখীন হতে হবে, তাই এখন ছলনার(আল-তাকিয়া)আশ্রয় নেওয়াটাই ভালো।

পাক সাংবাদিক ময়ীদ পীরজাদা বলেছেন মোদী একজন ভয়ঙ্কর মানুষ তাই সাবধানে থাকা উচিত। ময়ীদ পীরজাদার মতে মোদী একজন পাগল ব্যাক্তি যিনি যে কোনো সময় স্ট্রাইক করে দিতে পারে। পাকিস্থানের সাংবাদিক থেকে রাজনীতিবিদ সকলেই এটা উপলব্ধি করেছে যে এটা মনমোহনের ভারত নয়, এটা মোদীর ভারত। এই ভারত শত্রুকে ঘরে ঢুকে মারার শক্তি সাহস রাখে। তাই সকল পাকিস্থানি মিলে এখন মোদীকে হিংসাপূর্ন এবং ইমরান খানকে শান্তিবাদী বলে প্রচার শুরু করে। আবারো জানিয়ে দি-এটা পুরোটাই পাকিস্থানের আল-তাকিয়া অর্থাৎ ছলনা।

পীরজাদা বলেছে- ভারতের পাইলট অভিনন্দনকে ছেড়ে দেওয়াটা আমাদের ঠিক হয়নি কিন্তু মোদী রাতারাতি ব্রহ্মস লাগিয়ে পাকিস্থানে আক্রমন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যার জন্য চাপে পড়ে পাকিস্থান ৫৬ ঘন্টার মধ্যে অভিনন্দনকে ছেড়ে দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.