পাকিস্তান আগে সন্ত্রাস দমন করুক, তারপর কথা, জিনপিংকে বললেন মোদী

পাকিস্তান সন্ত্রাস দমনে কড়া পদক্ষেপ না করলে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ফের শুরু করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশকেকে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলনে চিনের প্রেসিডেন্ট জ়ি জিনপিংকে এ কথা বলেন মোদী।

বিশকেকের শীর্ষ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার জিনপিংয়ের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে সন্ত্রাস মোকাবিলায় ইসলামাবাদের ভূমিকা নিয়ে পরিষ্কার দিল্লির মনোভাব ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীকে উদ্ধৃত করে বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে জানান, পাকিস্তানের উচিত সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ তৈরি করা। কিন্তু এই মুহূর্তে সেরকম কিছু দেখা যাচ্ছে না। নয়াদিল্লির আশা, ইসলামাবাদ শীঘ্রই এই দিকে সদর্থক পদক্ষেপ করবে। জিনপিংকে এ কথা পরিষ্কারই বলেছেন মোদী।

চিন পাকিস্তানের রণকৌশলের সঙ্গী। পাকিস্তানের পরিকাঠামোগত প্রকল্পে প্রচুর অর্থ সাহায্য করে চিন। জিনপিংয়ের সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানেরও বৈঠক হওয়ার কথা বিশকেকে। কদিন আগেই ইমরান ও তাঁর বিদেশ মন্ত্রী শাহ মেহেমুদ কুরেশি দ্বিপাক্ষিক কথাবার্তা ফের শুরু করার আবেদন জানিয়ে মোদী ও সদ্যনিযুক্ত বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে কাশ্মীর-সহ সমস্ত দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে কথা ফের শুরু করার জন্য আগ্রহ দেখানো হয়েছে পাকিস্তানের তরফে। বিশকেকে এই শীর্ষ সম্মেলনে মোদী ও ইমরান দুজনেই উপস্থিত থাকলেও, একান্ত বৈঠকের কোনও সম্ভাবনা নেই। যদিও প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা ইমরান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে এই প্রথম তাঁর সঙ্গে মোদীর মুখোমুখি দেখা হচ্ছে।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন। তার পর থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আগের চেয়েও কঠোর মনোভাব নিয়েছে ভারত। সন্ত্রাস নির্মূল করতে আন্তর্জাতিক চাপও রয়েছে পাকিস্তানের উপর।

চিনের কাছ থেকেও কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে পাকিস্তান। জইশের প্রধান মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি বলার ক্ষেত্রে আপত্তি তুলে নেয় বেজিং।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.