কৃষি বিল ও বামপন্থী মিথ্যাচার

কৃষি বিল হয়নি এতদিন। কৃষিপণ্যের বাজারে সরকারি নিয়ন্ত্রণ ছিল। বহুজাতিক সংস্থাগুলি কৃষকদের কাছে সরাসরি পণ্য ক্রয় করতে পারত না। ফলে কৃষকদের অবস্থা খুব ভাল ছিল। কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য ন্যায্য দামে বিক্রি করত সরাসরি বাজারে, অথবা ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে। এবং তার পরিশ্রমের ফসল বেচে সে চাষের সিজিন শেষে যথেষ্ট লাভের মুখ দেখত। পেঁয়াজ আলু ডাল ইত্যাদি পণ্য অত্যাবশকীয় পণ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ফলে তা কেউ অতিরিক্ত পরিমাণে স্টোর করতে পারত না। এবং আলু ডাল ইত্যাদির দাম সারাবছর কম থাকত। এতে করে মধ্যবিত্তের সুরাহা হত। কোনও পণ্য নিয়ে কেউ কালোবাজারি করলে, সরকার তাকে লাইটপোস্টে বেঁধে ক্যালানির ব্যবস্থা করত। কোনও জিনিশের দাম বাড়লে সরকার টাস্কফোর্স তৈরি করত, তারা বাজারে নিজেরা গিয়ে একগাছা
দড়ি এনে সরকারের গলায় ঝুলিয়ে দিত। কত কত ভাল ব্যবস্থা এই কংগ্রেস এই সিপিএম এই তৃণমূলরা সব করে রেখেছিল। আর যেই মোদি এলো, কৃষি বিল আনছে। বহুজাতিকদের লাভের কথা ভেবেই এই বিল। তারা যা খুশী দামে কৃষকের থেকে ফসল কিনে নিয়ে গুদামজাত করে রাখবে। তারপর যতখুশি দামে বেচে, ক্রেতার পকেট কাটবে। তারা চুক্তিচাষ করবে, নীলচাষের যে ইতিহাস আমরা পড়েছি, তার পুনরাবৃত্তি হতে থাকবে।

চলো হে কৃষক, এতদিন সুখে ছিলে, এবার পথে নামো! রেল অলরেডি বন্ধ, তাও রোকো। দেশ অলরেডি বন্ধ, তাও বন্ধ ডাকো। জীবন অলরেডি স্তব্ধ, আরও স্তব্ধ করে কৃষকের উপকার করবে মহামতি লেনিন কমরেড মাও দেশবন্ধু অধীর চৌধুরী। গাদা গুচ্ছের মিথ্যে ভয় দেখাবে কিছু লোককে।

বহুজাতিক সংস্থাগুলির হাতে ব্যবসার রাশ চলে গেলে কৃষকের স্বার্থ কে দেখবে? তারা যাখুশী দাম, যাখুশী অমুক তমুক করবে। কৃষক মরে যাবে গো!

যেন বেঁচে আছে কৃষক। যেন আত্মহত্যা করছে না কৃষক, যেন তার পা ফাটছে না এখন, সব মখমলের মোজা পরে ঘুমুচ্ছে।

ক্রমাগত মিথ্যাচার ভীতিপ্রদর্শনের সস্তা রাজনীতি।

যারা করছে এই রাজনীতি, তাদের একদল ভোটের কারণে করছে। আর একদল করছে স্বাভাবিক বাম অন্ধত্ব থেকে। ৯১ থেকে দেশে যখন খোলাবাজার অর্থনীতি এলো, তারপর প্রায় দশ বছর সিপিএম ক্রমাগত বন্ধ করেছে, আন্দোলন করেছে। দেশ বিক্রি হয়ে গেল গো করে কান্নাকাটি করেছে। বিনিময়ে কী হয়েছে। ৯১-এর আগের অন্ধকার কাটিয়ে দেশ রীতিমতো উন্নতি করেছে। উন্নতি করেছে শুনেই হাড়পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে না বামধর্মের অনুসারীদের তো!

এত লোক না খেয়ে আছে, হাড়জিরজিরে শিশুর ছবি, এই আদিবাসী, ওই জঙ্গল, সেই কালাহান্দি, এই এত শতাংশ এই, অত শতাংশ তাই। লে বিশ্বাস কর, না দেশ খুব খারাপ আছে।

তো কী করতে হবে?

এই রোগী ওষুধ পাচ্ছে না, গর্ভবতী মা অপুষ্টিতে ভুগছে, স্কুল কলেজে শিক্ষা নেই, শিক্ষা শেষে চাকরি নেই, লে শালা মান যে, দেশ রসাতলে চলে গেছে।

মানলাম, কী করতে হবে, বললে হয়!

এই আম্বানি বড়লোক হচ্ছে, ওই টাটা প্লেন চাপছে, ওই নীরব মোদি পালিয়ে গেল, সেই মুকেশের বড় বউয়ের পেট হল!

কী করব তবে?

করবেন? হেঁহেঁ! কী করবেন, জানতে চান? বামপন্থী পার্টিকে ভোট দিতে হবে, যারা ভোটের পাখি নয় যারা, তারা এককাঠি সরেস, জঙ্গলে গিয়ে লোক খুন করতে বলবে। পুলিশ মারো! পুলিশ মারলেই আম্বানি ছোটলোক হয়ে যাবে, কৃষকের পায়ে নাগড়া জুতো!

দীর্ঘদিন এই এক বেকার ক্যাচক্যাচানি চলছে। মানসিকতায় বদল দরকার। ধনীরা শত্রু৷ ব্যবসায়ী সব আমার আপনার মতই সংকীর্ণ ছোটলোক অসৎ গলাকাটা। সুযোগ পেলেই ঠকায়। এইসব স্টুপিড সেকেলে ধারণাগুলো আমাদের ছোটলোক বানিয়ে রেখেছে প্রকৃতঅর্থে। এর ঠিক উল্টোটা সত্যি। আমি কথায় হয়-কে নয় করতে পারা বামপন্থী তাত্ত্বিকদের বিকৃত মিসলিডিং মিথ্যে পরিসংখ্যানের অসারতা প্রমাণে ব্যস্ত হতে পারব না। বানানো স্ট্যাটিসটিকস দিয়ে, কল্পিত গবেষণাপত্রের রেফারেন্স দিয়ে ওরা হয়-কে নয় করে দেখায়। তাতে লোকসান বই লাভ কিছু হয়নি।

অনেক অনেক দশক বামপন্থীরা অর্থনীতি বিষয়ে ভুল বুঝিয়ে বুঝিয়ে ক্রমাগত কিছু ভুল ধারণা তৈরি করে যাচ্ছে। প্রাইভেট লিমিটেড খারাপ, পিপিটি খারাপ, ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ না থাকা খারাপ, বিদেশী বিনিয়োগ খারাপ, পুঁজি খারাপ, কর্পোরেট সিস্টেম খারাপ, ব্যবসা খারাপ, ব্যবসায়িক কম্পিটিশন খারাপ, মিল খারাপ, মেশিনারি খারাপ, কম্পিউটার খারাপ, ইংরেজি খারাপ, মালিক খারাপ, কারখানা খারাপ, সরকার খারাপ, রাষ্ট্র খারাপ, দেশ খারাপ, দেশের জাতীয় পতাকা খারাপ, জাতীয় সংগীত খারাপ, আমেরিকা খারাপ, জাপান খারাপ, সব খারাপ, সব খারাপ, সব খারাপ!

খারাপ। কারণ, এই সংক্রান্ত গড়ে তোলা সব ধারণাগুলো সত্যিই খারাপ। কিন্তু ঘটনা এই যে, ৯০-এর দশকের গোড়ায় যখন থেকে দেশ খোলাবাজার অর্থনীতির দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে, তখন থেকে মানুষের জীবনযাত্রার আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। একটু ফ্যান জুটত না নব্বইয়ের আগে মানুষের। মানুষের সেই দারিদ্র্য আমাদের চোখে দেখা। টাকাই ছিল না মানুষের হাতে। জিনিশপত্রের দাম কম ছিল, কিন্তু কেনার উপায় ছিল না। বাবুদের হাতেপায়ে ধরে কাজ পেত না পেত না একটা লেবার, পেলেও শুধু একবেলা খাবার বিনিময়ে সারাদিন খাটত মানুষ। সেদিনকার তুলনায় মানুষ আজ অনেক ভাল আছে। এই ভাল থাকার ক্রেডিট কংগ্রেস সিপিএম বিজেপির ব্যাপার নয়, এটাই গুণ খোলাবাজার অর্থনীতির। বাজারের কিছু নিয়ম আছে, যা অর্থনীতিকে অটোমেটিক্যালি এগিয়ে নিয়ে যায়। বড়পুঁজির বহুজাতিক ব্যবসায় ছ্যাঁচড়ামি করলে টেকা যায় না। কমদামে কৃষিপণ্য কিনে নিয়ে গুদামজাত করে, আকাল তৈরি করে বাজারে চড়াদামে পণ্য বিক্রি দেশী মধ্যস্বত্বভোগীরা করে। তা বিশেষ বিশেষ কতগুলো ফসলের ক্ষেত্রে প্রতি বছর আমরা ফেস করি৷ সরকার কিচ্ছু করে না কিছু সস্তার নাটক ছাড়া। কৃষিপণ্য সরাসরি শপিং মল মালিকের কাছে বিক্রি করার সুযোগ পেলে কয়েক বছরের মধ্যে চাষীর অবস্থা ফিরে যাবে। চুক্তিচাষ হলে কেবল পেপসি আলু হবে আর আমরা না খেয়ে মরে যাব, এমন নয়। বাজারে যার চাহিদা আছে, তা-ই উৎপাদিত হবে, আমাদেরই দেশের মানুষ সেখানে শ্রম দেবে, বিনিময়ে পারিশ্রমিক পাবে, আমাদেরই মানুষ শপিং মলে কাজ করবে, মাইনে পাবে, আমাদের দেশের মানুষ চাইলে ওই শপিং মলটির শেয়ার কিনতে পারবে, বেচতে পারবে, চিন্তা করতে পারবে যে, এরকম নেটওয়ার্ক ছোট বা বড় আকারে গড়ে তোলা যায় কিনা। আমাদের কেনার তালিকায় বহুপণ্যের বাজারে অলরেডি বহুজাতিক সংস্থাগুলি রীতিমতো জমিয়ে ব্যবসা করছে, নামে হয়তো তারা ভারতী এয়ারটেল, হয়তো তারা দেশপ্রমের কথা বলে বিজ্ঞাপন দেয়, কিন্তু তারা ব্যবসা করছে, আমরা তাদের কনজিউমার। এবং আমরা মোটের ওপর তাদের সঙ্গে ডিল করে খুশী। মার্কেট এটাই। কেউ ছ্যাঁচড়ামি করলে নিজেই উড়ে যায়। মার্কেটে কম্পিটিশন থাকবেই, এবং সেই কম্পিটিশন তাকে ঠিক রাস্তায় ধরে রাখবে। ব্যবসার ওপর কোনও আইনি নিয়ন্ত্রণ বাজারের রীতি বিরুদ্ধ ও অর্থনীতির ওপর সুদূরপ্রসারী কুপ্রভাব আনে। মুক্ত বাজার অর্থনীতিই একমাত্র রাস্তা। তাই বলে কি আইন বা সরকারি ভিজিলেন্স থাকবে না? থাকবে, যেমন আছে উন্নত দেশগুলিতে। মানুষের জীবন ধারণের মান উন্নত হলে সে দাবী তুলতে শেখে। গণতন্ত্রে সরকারকেও ভোটে যেতে হয়, বামপন্থীরা যেমন প্রচার করে যে, সব কর্পোরেট চালায়, কর্পোরেট সরকার বানায় ভাঙে, এসব বামপন্থীদের বাজে ভিত্তিহীন একঘেয়ে মিথ্যাচারের অংশ। তাহলে তারাও যখন ক্ষমতায় আসে, কর্পোরেট আনে, এমনটা হয় না। গণতন্ত্রে সরকার গঠনে জনগণের ভূমিকা থাকে, থাকবে, ফলে সরকারি ভিজিলেন্স থাকবে কোম্পানিগুলোর ওপর, কেউ মোনোপলি করতে পারবে না৷ সরকার আটকাবে। এবার কেউ একটা দুটো বিচ্ছিন্ন বিরুদ্ধ উদাহরণ তুলে আনতেই পারেন। ওরকম দু’একটা কেস হয়। বামপন্থীরা ক্ষমতায় এসেছে, মাও জে দঙ ৪৫ মিলিওন লোককে খুন করেছেন বলেই, বামপন্থীরা জিতলেই খুন শুরু করবে, এটা যেমন ভাবা বাহুল্য, তেমনই বাজার উন্মুক্ত হলেই মোনোপলি হবে, সুতরাং জনগণের আর্থিক সংকট হবে, এরকম সরল বেনিয়মে অর্থনীতি বেশীদিন চলে না। এবং গুগুল ফেসবুক বা মাইক্রোসফটের মতো আন্তর্জাতিক মোনোপলি আমরা নিজেরা উপভোগ করছি। মোনোপলি কখনো হলেও বাজারের নিয়ম তাকেও মানতে হয়। নাহলে তাদের সার্ভিস আমরা উপভোগ করতে পারতাম না। বাজার অর্থনীতির সুফল সবার কাছে পৌঁছচ্ছে না। বিরাট সংখ্যক মানুষ এর বাইরে থেকে যাচ্ছে। থেকে যাবে। কোনও সিস্টেম সবাইকে তুলে আনতে পারে না। বিশেষ করে এই দক্ষিণ এশিয়ায় যেখানে জনসংখ্যা একটা ভয়ানক অভিশাপ। একে নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে কঠিনভাবে। আগামী দশ বছরে যদি জনসংখ্যাকে একটা সীমার মধ্যে বাঁধা যায়, ধীরে ধীরে সকলেই আধুনিক ব্যবস্থার সুফল পেতে শুরু করবে। এই ক্ষেত্রে সরকার একা হলে হবে না, সামাজিক কাজ চাই। শিক্ষা বিস্তার স্বাস্থ্যসেবা হাইজিন মাদক নিবারণ ইত্যাদি নিয়ে কাজের দরকার আছে। বিপ্লবীরা ফেসবুকে কৃষিবিল বিরোধী প্রবন্ধ না লিখে, গ্রামে গিয়ে কাজ করুন। কাজ হবে।

কৃষকরা ভাল নেই। কৃষকরা মোটেও ভাল ছিল না। মধ্যস্বত্বভোগীরা সব খেয়ে নিচ্ছে। এর অবসান দরকার। কৃষিবাজার খুলে যাক, চাহিদা মোতাবেক কোম্পানিরা চাষাবাদ করাক, কৃষিপদ্ধতির আমূল বদল ঘটবে। জমিগুলো কাজে লাগুক। কৃষকের জীবনের উন্নতি হোক, ক্ষতি নেই। যারা আন্দোলন করছে, বেকার করছে। এই আন্দোলনে কারও লাভও হবে না ক্ষতিও হবে না। কিছু কৃষককে কিছুদিনের জন্য ভয় দেখানো যেতে পারে। কিন্তু আগামী দশ বছরে ভারতবর্ষ বদলে যাবে। ৯০-এর গোড়ায় যেমন ভারত বন্ধ বামপন্থীরা করেছিল, মনমোহন সিং নরসিমা রাওয়ের সংস্কারমুখী সিদ্ধান্তগুলির বিরুদ্ধে, কিছু লাভ হয়নি৷ গ্যাটচুক্তি মেনে নেওয়ার ফলে দেশের ভাল হয়েছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি তা।

সব মানুষের ক্ষিদে মেটেনি। মিটবে না। মাওবাদীরা ক্ষমতায় এলে ওদের মেরে ফেলবে। অন্য সরকার ওদের এক্সপ্লয়েট করে। গরিব আছে আমাদের দেশে, চিনেও আছে, আমেরিকাতেও আছে। জিডিপি কমবে বাড়বে, কিন্তু খোলাবাজার অর্থনীতিতে মানুষের জীবনযাত্রা দ্রুত বদলে যেতে থাকবে। যেমন বদল আমরা চোখের সামনে দেখেছি ৯০-এর পর। বামপন্থীরা তথ্য পরিসংখ্যান সহ ক্রমাগত মিথ্যাচার করে যাবে, এতে লাভ লোকসান কিছুই হবে না। মেধার অপচয় হয় অবশ্যই। যখন মনমোহনের আমলে সরকার উর্দ্ধমুখী জিডিপি দেখিয়ে প্রমাণের চেষ্টা করত যে দেশ এগুচ্ছে, বামেরা বলত, জিডিপি বাড়লেই উন্নতি প্রমাণ হয় না। যখন জিডিপি কম, তখন আবার জিডিপিই উন্নতিরি প্রধান ক্রাইটেরিয়া। যে উদ্যোমে বামপন্থীরা এইসব মিথ্যা কথার ঝুড়ি নিয়ে বসে মিসগাইড করে লোককে, তার অর্ধাংশ খরচ করে গ্রামে হেলথ হাইজিন এডুকেশন নিয়ে প্রচার করলে মানুষের ভাল হত। কিন্তু ওরা তা করবে না। ওরা কুৎসা করতে ভালবাসে, করুকগে। বামপন্থীরা পৃথিবীটা চালাচ্ছে না, তাই ওদের কথা শোনার দরকার নেই। পৃথিবীটা চালাচ্ছে পুঁজি, চালাচ্ছে বিজিনেস, চালাচ্ছে মুক্ত অর্থনীতির প্র‍্যাকটিস, আমাদের ভাবনাকে দ্রুত সেই মডেল অনুযায়ী পুনর্নির্মাণ করতে হবে।

দারিদ্র্য নিয়ে কান্নাকাটি করে যখন দারিদ্র্য ঘোঁচেনি, এবার এগোতে হবে। বামপন্থীরা নেগেটিভ মাইন্ডেড ব্যাকডেটেড অন্ধ। ওদের ইগনোর করতে হবে। কৃষিবিল আসুক। লাগু হোক। কৃষক শুধু নয় সকলেই উপকৃত হবে। যে যে দেশ পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে যত আগে অভ্যস্ত হয়েছে, তত দ্রুত তারা উঠে এসেছে প্রভাবশালী গোষ্ঠীতে, বাকিরা ধরিমাছ না ছুঁই পানি করে ইন্ডিয়ার মতো না ঘরকা না ঘাটকা হয়ে পিছিয়ে থেকেছে। বিদেশি বিনিয়োগ, বেসরকারিকরণ, গভর্নমেন্ট জব আউটসোর্সিং সব হোক, পুরোদমে আর্থিক সংস্কার হোক, মানুষ সাবালক হোক, দেশ সাবালক হোক, সকলের উন্নতি হোক, সকলে সকলের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন, গরিব মানুষকে স্কিল শেখানো হোক, তাদের মানুষ করা হোক আগে, তারা তাদের দাবী নিজে বুঝে নেবে। অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণের রাজনৈতিক স্টুপিডিটি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুক।

কৃষিবিল ভাল করবে না কেবল মাত্র ওই গ্রামীণ আলু ব্যবসায়ী রেশন ডিলারদের জন্য। এই বিল তাদের অস্তিত্বের সংকট আনবে। আনাটা অনেক আগে জরুরি ছিল।

সুজিত কুমার দাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.