পর্যটক সংখ্যায় আমেরিকার স্ট্যাচু অব লিবার্টিকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেল স্যাচু অফ ইউনিটি! হচ্ছে মোটা টাকার রাজস্ব আদায়।

নর্মদা নদীর তীরে তৈরি হওয়া বিশ্বের সবথেকে বড়ো মূর্তি স্ট্যাচু অফ ইউনিটি (Statue of Unity) নিয়ে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। এত বড়ো মূর্তি কেন গড়া হবে তা নিয়েই প্রথম থেকে মাঠে নেমে পড়েছিল মোদী বিরোধিরা। বলা হয়েছিল যে দেশে অনেক মানুষ খেতে পায় না সেখানে এত বড়ো মূর্তি কেন? শুধু এই নয়, মোদী মুখে গান্ধী গান্ধী করে কিন্তু মূর্তি নির্মাণের সময় সর্দার প্যাটেলের করলো, এই নিয়েও বিতর্ক উঠেছিল। কিছুজনের দাবি ছিল, স্ট্যাচু অফ ইউনিটি থেকে সরকার কোনো লাভ করতে পারবে না। তবে এখন স্ট্যাচু অফ ইউনিট সংক্রান্ত একটা বড়ো খবর সামনে আসছে।

উদ্বোধনের ১ বছর পর স্ট্যাচু অফ ইউনিটির(Statue of Unity) পর্যটক সংখ্যা আমেরিকার ১৩৩ বছর পুরানো স্ট্যাচু অফ লিবার্টিকে (Statue of Liberty) টক্কর দিচ্ছে। সম্পতি আসা এক রিপোর্ট অনুযায়ী, স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দেখতে আসাপর্যটক সংখ্যা স্যাচু অফ লিবার্টিকে পেছনে ফেলে দিয়েছে।গুজরাটে তৈরি স্ট্যাচু অফ ইউনিটিকে দেখতে এখন প্রতিদিন ১৫,০০০ এর বেশি পর্যটক উপস্থিত হচ্ছে। নভেম্বর ২০১৮ থেকে অক্টোবর ২০১৯ পর্যন্ত আসা পর্যটকদের সংখ্যা যা ছিল তা এখন ৭৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্বিতীয়বছরের প্রথম মাস থেকে পর্যটক সংখ্যা নিত্য১৫,০০০ ছাড়িয়ে গেছে।

সর্দার সরোবর নর্মদা নিগম লিমিটেড এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সপ্তাহান্তের দিনগুলিতে তা বেড়ে 22,430 হয়েছে”। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের স্ট্যাচু অফ লিবার্টিতে 10,000 জন পর্যটক ভ্রমণ করে। স্ট্যাচু অফ ইউনিটি হ’ল দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের (Vallabhbhai Patel) 182 মিটার উঁচু মূর্তি। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম মূর্তি এবং দেশের মানুষের জন্য একটা অনুপ্রেরণা। ইংরেজরা ভারত ছেড়ে যাওয়ার সময় দেশকে ৫৫০ টি খণ্ড খণ্ড ভাগে ভাগ করার চেষ্টা করেছিল। সর্দার প্যাটেল সকল খণ্ডের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে পুরো ভারতকে এক করেছিলেন।

গুজরাতের কেভাদিয়া কলোনীতে নর্মদা নদীর সরদার সরোবর বাঁধের কাছে স্থিত রয়েছে এই মূর্তিটি। ভারতীয় ভাস্করশিল্পী রাম ভি সুতার এটি ডিজাইন করেছিলেন। প্রকল্পটি প্রথম ঘোষণা করা হয়েছিল ২০১০ সালে। এটি 31 অক্টোবর 2018 এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উন্মোচিত করেছিলেন। সরদার সরোবর নর্মদা নিগম লিমিটেড এই স্মৃতিসৌধে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য জঙ্গল সাফারি, শিশু পুষ্টি উদ্যান, ক্যাকটাস গার্ডেন, বাটারফ্লাই গার্ডেন, একতা নার্সারি, রিভার রাফটিং, নৌকা বাইচ ইত্যাদির মতো নতুন পর্যটন আকর্ষণগুলিকে মনে করা হয়েছে। স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দেখতে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ৩০,৯০,7২৩ পর্যটক কেভাদিয়ায় পৌঁছেছেন এবং ৮৫.৫7 কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.