মালেয়শিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহতির মহম্মদ পাকিস্তান ঘেষা হওয়ার কারণে, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর ভারত মায়েলশিয়ার সম্পর্কে চীড় ধরতে শুরু করে। যার ফলে ভারতের বিপক্ষে যাওয়ার কারণে মালেয়শিয়ার পাম তেলের ব্যবসা তলানিতে এসে ঠেকে। সংকটের মধ্যে পড়ে তখন, মালেয়শিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বদল করতে বাধ্য হয় সরকার। নতুন প্রধানমন্ত্রী আসার পরবর্তীতে ফের ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন পথ উন্মোচিত হতে শুরু করে।
বদল করা হয় মালেয়শিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে
নতুন প্রধানমন্ত্রী আসার পর থেকে আর সেভাবে কোন গোলযোগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে নি। ভারতও কোন বিশেষ বদলার পদক্ষেপ না নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় তাঁদের পাকিস্তানের সমর্থনের যোগ্য জবাব দিয়েছিল। নতুন প্রধানমন্ত্রীর আগমনে ভারত- মালেয়শিয়ার সম্পর্কে ফের পূর্বেকার পথে হাটতে শুরু করে এবং ব্যবসায়িক দিকেও অনেক বদল ঘটতে দেখা যায়।
ফিরছে সম্পর্কের বন্ধন
নতুন সম্পর্কের জেরে গত সপ্তাহেই ভারত থেকে প্রায় ১ লক্ষ টন চালের আমদানীর খবর পাওয়া গিয়েছে মালেয়শিয়ার তরফ থেকে। রয়টার্স নিউজ এজেন্সির মারফত আরও জানা যায়, এই ঘটনার পর ভারতও প্রায় ২ লক্ষ টন ক্রুড তেলের আমদানির বরাত দেয় মালেয়শিয়ার থেকে। এই তেল জুন-জুলাইয়ের মধ্যেই ভারতে পৌঁছবে বলেও জানা গিয়েছে।
ভারত পাম তেল আমদানী করেছে
২০২০ সালের প্রথম চার মাসের মধ্যেই ভারতের পাম তেলের আমদানি ২০১৯ সালের তুলনায় ২৫ শতাংশ কমে গিয়েছিল। ভারত বিশ্বের সর্ববৃহত খাদ্য তেলের উতপাদিন এবং মালেয়শিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হল পাম তেলের উৎপাদক স্থল। মালেয়শিয়ার প্লান্টেশন ইন্ড্রাস্টিস এবং কমিডিটিস মিনিস্টার জানিয়েছেন, ভারত সরকার মালেয়শিয়া থেকে পাম তেলে কেনার পর, মালেয়শিয়ার পাম তেলের দাম আগের তুলনায় কিছুটা হলেও সঠিক অবস্থানে ফিরবে। পাশাপাশি ছোট ব্যবসায়ী, এমনকি কৃষকরাও কাজের সন্ধান পাবে।
বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানীকৃত তেল
দুই দেশের মধ্যেকার এই নতুন সম্পর্কের জেরে এক দেশ অপর দেশের ট্রেড ডেফিসিটও দূর করতে ধীরে ধীরে রাজী হচ্ছে। ভারত বছরে প্রায় ৯০ লক্ষ টন পাম তেল আমদানী করে, যার বেশিরভাগটাই আসে মালেয়শিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে। এছাড়াও আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল থেকে সোয়াতেল এবং ইউক্রেন থেকে সর্ষের তেল আমদানী করে ভারত।